নির্বাচনের আগে এসপি ওসিদের বদলি হবে লটারিতে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নির্বাচনের আগে এসপি ওসিদের বদলি হবে লটারিতে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ডেস্ক রিপোর্ট:

নির্বাচনের আগে পুলিশ সুপার (এসপি) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) লটারির মাধ্যমে বদলি ও পদায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। জাতীয় নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির দিকনির্দেশনা মূলক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন আমার হাতে এসপি ও ওসিদের বদলি পদায়নের ক্ষমতা রয়েছে। তাই নির্বাচনের আগে সংশ্লিষ্ট সবার উপস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে বদলি ও পদায়ন করা হবে। এখানে সচিবালয় সাংবাদিক সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককেও লটারিতে উপস্থিত রাখা হবে।

উপদেষ্টা জানান আসন্ন নির্বাচনকে উপলক্ষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৮ লাখ সদস্য কাজ করবে। তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। নিজ নিজ এলাকায় তাঁরা প্রশিক্ষণ নেবেন। তিনি বলেন নির্বাচন জাতীয় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়, সে জন্য যা যা করার দরকার তা করা হবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে ভাষণে নির্বাচনের যে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন সে অনুযায়ী আমরা আমাদের কাজ এগিয়ে নিচ্ছি। ওই ভাষণের ধারাবাহিকতায় আজকে এই সভা ডাকা হয়েছে। নির্বাচনের আগে যে সমস্ত লজিস্টিক সাপোর্ট দরকার তা নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

পর্দা কেলেঙ্কারির হোতা সাজ্জাদ মুন্সিকে কাজ দিতে শর্ত ভঙ্গ

মাঠপর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ করে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) বিভাগে পাঠানোর জন্য ৫ হাজার ৭৯০টি ট্যাবলেট পিসি কিনছে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। এ জন্য সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ প্রদানের আনুষ্ঠানিকতাও প্রায় সম্পন্ন। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, বিতর্কিত ঠিকাদারের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে এ ক্ষেত্রে সূক্ষ্মভাবে কিছু অনিয়মের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, ট্যাবলেট পিসি কেনার টেন্ডার প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ শর্ত সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে। টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশনের প্রথম শর্তে বলা আছে, ট্যাবলেট পিসি হতে হবে ‘স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের’। কিন্তু এ ক্ষেত্রে শর্তের ব্যত্যয় ঘটিয়ে দেশীয় কোম্পানি ওয়ালটনের ট্যাবলেট পিসি কেনার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। আর এই অনিয়ম করা হয়েছে বিতর্কিত ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার জন্য।

জানা গেছে, ট্যাবলেট পিসিগুলো কিনতে ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। ইতিমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। কার্যাদেশ দেওয়া হচ্ছে ‘আয়ান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল’ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে, যার মালিক সাজ্জাদ মুন্সি। তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ‘পর্দা কেলেঙ্কারি’র হোতা। এ কারণে তাঁকে কারাভোগও করতে হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের কালো তালিকাভুক্ত দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাও তাঁর পরিবারের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সুপারিশে ২০২০ সালের ৯ জুন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব হাসান মাহমুদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ১৪ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই তালিকার দুটি প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স অনিক ট্রেডার্স’ এবং ‘মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজ’-এর মালিকানার পেছনেও রয়েছেন সাজ্জাদ মুন্সি। যদিও ট্রেড লাইসেন্সে কোনোটিতে ছেলের নাম, আবার কোনোটিতে ভাইয়ের নাম দিয়ে রেখেছেন তিনি।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ওই ঠিকাদারের যোগসাজশে টেকনিক্যাল সাবকমিটিকে চাপ প্রয়োগ করছেন অধিদপ্তরের একজন পরিচালক ও একজন উপপরিচালক।

প্রসঙ্গক্রমে তাঁরা এটাও বলেন যে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ২০২২ সালে প্রায় ৪ লাখ ওয়ালটন ট্যাবলেট পিসি ক্রয় করে, যা বর্তমানে অচলাবস্থায় পড়ে আছে। এসব ট্যাবলেট পিসি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতরণের সুপারিশ করা হয়। কিন্তু কোনো মন্ত্রণালয় সেগুলো নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি। এত কিছুর পরেও অধিদপ্তরের একটি অসাধু চক্র সরকারের বিপুল অর্থের ক্ষতিসাধন করতে এই উদ্যোগ নিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (লজিস্টিকস অ্যান্ড সাপ্লাই) মো. হুমায়ূন কবীর তালুকদার বলেন, কার্যাদেশ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। কারিগরি কমিটি সুপারিশ করেছে। এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও কার্যাদেশ দেওয়া হয়নি।

বিতর্কিত ও কালো তালিকাভুক্ত ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে এই পরিচালক বলেন, এ বিষয়ে তাঁর জানা নেই, এমনকি তাঁকে কেউ তা জানায়নি।

এছাড়া পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে দুর্নীতি, লুটপাট এবং বদলী ও পদায়ন বাণিজ্যে করে যাচ্ছে একটি চক্র। দীর্ঘদিন ধরে অপকর্ম গুলো চালিয়ে যাওয়ার মূল হোতাদের অন্যতম হলেন সহকারী পরিচালক সমন্বয় কারী মতিউর রহমান। সে দীর্ঘ একযুগেরও বেশি সময় ধরে একই চেয়ারে থেকে বহাল তবিয়তে সিন্ডিকেট পরিচালনা করেন। কথিত আছে যে ডিজিই আসুক না কেনো মতিউরকে সরাতে পারে না। বরং মতিউরের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এছাড়া পরিচালক প্রশাসন খান মো: রেজাউল করিম নিজেকে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির ঘনিষ্ঠ লোক পরিচয় দিয়ে চলে। ডিজিকে পরিচালক প্রশাসন একদম পাত্তা দেন না। অধিদপ্তের সকল ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে রেজাউল করিম জড়িত, মতিউর রহমান ও রেজাউল করিমের অবৈধ কালো থাবা থেকে বাঁচতে পারেনি একজন ডা: মনোয়ার নামে এক মেডিক্যাল অফিসার। প্রমোশন/পদায়নের জন্য পঞ্চাশ লাখ টাকা দাবি করেছিলো এই চক্রটি। মনের দুঃখে ঐ কর্মকর্তা অফিসেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। যা অনুসন্ধানে আরো অজানা সত্য ও ভয়াবহ দুর্নীতি ও লুটপাটের ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন