নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

ডেস্ক রিপোর্ট:

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে জাতীয় যুবশক্তি আয়োজিত যুব সম্মেলনে তিনি শঙ্কার কথা জানান।

নাসীরুদ্দীন বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ডেট ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে সংস্কার ও নতুন সংবিধানের জন্য যারা শহীদ হয়েছিল, তাদের জীবন ফিরিয়ে দিতে হবে সরকারকে।

তিনি আরও বলেন, সংস্কার এবং নতুন সংবিধান ছাড়া নির্বাচন হলে মায়ের বুকে সন্তানকে ফিরিয়ে দিতে হবে। একই সিস্টেমের মধ্য দিয়ে নির্বাচনে গেলে এতগুলো মানুষের শহীদ হওয়ার প্রয়োজন ছিল না বলেও জানান তিনি। এ সময় গণভবনের মতো বঙ্গভবনের পতনও তরুণদের হাত ধরেই হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।

এনসিপির এ মুখ্য সমন্বয়ক আরও বলেন, মিডিয়ার সম্পাদকদের লজ্জা নাই। বাংলাদেশের মানুষদের তারা ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে। ভারতে তরুণরা বিকল্প মিডিয়া সৃষ্টি করেছিল, বাংলাদেশিদেরও তা করতে হবে। বাংলাদেশপন্থি সাংবাদিকদের জোর করে নিউজ করানো হয়। তারা নতুন বন্দিশালায় পড়েছে। মিডিয়া মালিক এবং সম্পাদকরা দালালি শুরু করেছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যম আগে ছিল হাসিনা মাধ্যম, এখন কী হয়েছে বললে চাকরি থাকবে না। এ সময় গোয়েন্দা সংস্থারও সমালোচনা করেন তিনি।

নাসীরুদ্দীন বলেন, ডিজিএফআইয়ের একমাত্র কাজ মানুষকে ভীতি প্রদর্শন করা। আমরা আয়নাঘর ভেঙে দিয়েছি। সামনে প্রয়োজন হলে ডিজিএফআইয়ের হেডকোয়ার্টারও ভেঙে দেয়া হবে।

তরুণদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, দালাল ব্যবসায়ী শ্রেণি তৈরি হয়েছে। বেকাররা নেমেছিল চাকরির জন্য, তা না হলে কিসের নির্বাচন।

আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে ধরে এনে বিচার কিরতে হবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। তবেই নির্বাচন হবে। তবে আমরা গায়েপড়ে ঝগড়া করতে চাই না। ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে।

জনভোগান্তি সৃষ্টি করবেন না : আকতার হোসেন

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আকতার হোসেন। শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আকতার হোসেন বলেন, ‘ভ্যাট, শুল্ক বৃদ্ধির অধ্যাদেশ এবং টিসিবির ট্রাক সেল কর্মসূচি বন্ধের কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। সব কিছু সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে।

অবৈধ সরকারের আইএফের কারণে বর্তমান সরকার ভ্যাট বৃদ্ধি করেছে। আমরা হুঁশিয়ারি দিতে চাই, এমন কোনো কাজ করবেন না যা জনগণের ভোগান্তি তৈরি করে।’

এ সময় অবিলম্বে ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির অধ্যাদেশ প্রত্যাহার এবং টিসিবির ট্রাক সেল কর্মসূচি চালু করার দাবি জানান তিনি।

কলরেট-ইন্টারনেট-মিষ্টিতে বাড়ল ভ্যাট, ক্ষোভ বাড়ছে মানুষেরকলরেট-ইন্টারনেট-মিষ্টিতে বাড়ল ভ্যাট, ক্ষোভ বাড়ছে মানুষের সাম্প্রতিক সময়ে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও সেই তুলনায় আয় বাড়েনি মানুষের।

এরমধ্যে টিসিবির ট্রাক সেল কর্মসূচি বন্ধ এবং শতাধিক পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ এবং মধ্যবিত্তরা পড়েছেন শঙ্কায়।

নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আকতার হোসেন বলেন, ‘শ্বেতপত্রে নানা জায়গায় দুর্নীতি ও বিদেশে টাকা পাচার হওয়ার তথ্য উঠে এসেছে।

পাচার হওয়া সমস্ত টাকা দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। বাহাত্তরের সংবিধান নিয়ে কিছু রাজনৈতিক দলের অতিভক্তি আছে। নির্বাচিত সরকার ছাড়া সংস্কার সম্ভব নয়, এমন কথায় আমরা একমত নই।’

 

সবা:স:জু- ৭৩৮/২৫

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম