পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ, ছুরিকাঘাতে যুবক খুন

পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ, ছুরিকাঘাতে যুবক খুন

সিলেট সংবাদদাতা:

সিলেটের সদর উপজেলার খাদিম জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন বড়গুল চা বাগান এলাকায় দুই হাজার টাকা পাওনা নিয়ে বিরোধের জেরে ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন আজাদুর রহমান (২৫) নামের এক যুবক। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন মো. বদরুল (২০) নামের আরেক যুবক। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

নিহত আজাদুর রহমান ও আহত বদরুল দুজনেই সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বিন্নাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। আজাদুর পেশায় শ্রমিক এবং বদরুল ট্রলিচালক। ছুরিকাহত অবস্থায় দুজনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আজাদুরকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত বদরুল বর্তমানে হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আজাদুরের ছোট ভাই সৈয়দুল আলম খালেদ অভিযোগ করে জানান একই গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন এই ছুরিকাঘাতের ঘটনার সঙ্গে জড়িত।

তিনি আরও জানান দেলোয়ার গতকাল বিকেলে ফোন করে আজাদুরকে খাদিম উদ্যানের দিকে ডাকেন। পরে সেখানেই তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। দেলোয়ারের দাবি ছিল আজাদুরের কাছে তার দুই হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। এ নিয়ে আগে থেকেই বিরোধ চলছিল। বিষয়টি পরিবারকে জানালে তারা দেলোয়ারকে টাকা পরিশোধের আশ্বাস দেন।আজাদুরের মরদেহ বর্তমানে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

সিলেট বিমানবন্দর থানার ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পাওনা টাকা নিয়েই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। অভিযুক্ত দেলোয়ার ঘটনার পর থেকেই পলাতক। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।

কামরাঙ্গীরচর থেকে হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার: 

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জহিরুল ইসলাম ডালিম হত্যা মামলার আসামি ভিকটিমের সৎমা ও ভাইকে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় তাদের গেপ্তার করে র‌্যাব-১০ ও র‌্যাব-৬ এর যৌথ আভিযানিক দল।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মোসা. জুলেখা বেগম এবং মো. সিয়াম হাওলাদার।

জানা যায়, জহিরুল ইসলাম ডালিমের বাবা এবং তার বড় ভাই মারা যাওয়ার পর থেকে জহিরুলের সম্পত্তি ভোগ দখল করতে চায় তার সৎমা মোসা. জুলেখা বেগম এবং সৎভাই মো. সিয়াম হাওলাদার। তারা সম্পত্তি ভোগ করার জন্য জহিরুলকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে।

সূত্র জানায়, চলতি বছরের গত ১৮ জুলাই দুপুরের খাবার খেতে বসে জহিরুলের সৎমা ও ভাইয়ের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় পূর্বশত্রুতার জের ধরে ভিকটিমের সৎভাই সিয়াম হাওলাদারসহ অপর আসামিরা অতর্কিতভাবে হামলা করে। হামলার এক পর্যায়ে আসামিরা লাঠি ও ঘরের দরজার ডাসা দিয়ে জহিরুলের মাথা ও শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। গুরুতর জখম করে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে ১৯ জুলাই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এরপর নিহত জহিরুলের বোন মোসা. সালমা বেগম বাদী হয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা ওই হত্যাকাণ্ডে তাদের সরাসরি সম্পৃক্তার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তার আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

সবা:স:জু- ২৯৪/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে আরও দেড় হাজারের বেশি আবেদন সতর্ক মন্ত্রণালয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের