পাকিস্তানে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে ফাঁকা গুলি, বহু হতাহত

পাকিস্তানে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে ফাঁকা গুলি, বহু হতাহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পাকিস্তানের করাচিতে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় ফাঁকা গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭৫ জন। জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়ছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে পাকিস্তান। স্বাধীনতা উদযাপন করতে করাচি শহরে ছররা গুলিতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। শহরের আজিজাবাদ এলাকায়ে বুলেটের আঘাতে এক আট বছর বয়সি মেয়ে শিশু নিহত হয়েছে। আর কোরাঙ্গি এলাকায় স্টিফেন নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, করাচির লিয়াকতাবাদ, কোরাঙ্গি, লায়ারি, মেহমুদাবাদ, আখতার কলোনি, কেমারি, জ্যাকসন, ওরাঙ্গি টাউন, পাপোশ নগর, শরিফাবাদ, জামান টাউন, উত্তর নাজিমাবাদসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় মানুষের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর এসেছে। এসব ঘটনায় কমপক্ষে ৩৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মোমিনাবাদ, লিয়াকতাবাদ, সামানাবাদ ও ওরাঙ্গি টাউনসহ কয়েকটি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র আর গোলাবারুদ জব্দ করা হয়েছে। হতাহতের ঘটনায় মামলাও হয়েছে।

পাকিস্তানে প্রতি বছর ফাঁকা গুলি চালিয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে অনেকে। এর ফলে প্রাণহানি এবং আহত হওয়ার মতো মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। কর্তৃপক্ষ বারবার সতর্ক করলেও তা বন্ধ হয়নি। গত বছর (২০২৪ সালে) করাচিতে একই ধরণের উদযাপনের সময় অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৯৫ জন আহত হন।

গাজায় হত্যাযজ্ঞ নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ৮০০ ছাড়াল

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্ক: 

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় একদিনে কমপক্ষে আরও ৪৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪৪ হাজার ৮০০ ছাড়াল। এ ছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরও ১৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ হাজার ৮০৫ জনে পৌঁছেছে বলে বুধবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত এক লাখ ৬ হাজার ২৫৭ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসনে ১৯ জন নিহত এবং আরও ৬৯ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

 

সবা:স:জু-৩১৮/২৪

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম