হাসপাতালটি যেন মৃত্যুকূপ: ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু!

 

রায়হান হোসাইন, চট্টগ্রামঃ-

চট্টগ্রামে সাউদার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায়।দুইদিন পর রোগীর আকষ্মিক,অনাক্ষাঙ্কিত প্রশ্নবিদ্ধ লোমহর্ষক মৃত্যুতে অভিযোগ।তিন চিকিৎসকের নামে মামলা হলে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটির নির্দেশ। ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ রোগী পক্ষের। পেট ব্যথার রোগীকে দিনে পরপর দুইবার অপারেশন অতঃপর মৃত্যু ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় মৃত্যুর কারণ ও অভিযোগ নিহত স্ত্রীর স্বামী বাদী পক্ষের।

গত ২০শে ডিসেম্বর মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৫ এর বিচারক মো. সাদ্দাম হোসেন এ আদেশ দেন।গত১৮ ডিসেম্বর অভিযোগটি দেওয়া হয়।

তথ্যমতে,নিহত পপি আক্তার (৩০)এর কোন সময়,কোন রকম,কোন রোগ ছিল না। সুস্থ স্বাভাবিক সব কাজে কর্মক্ষম থাকা অবস্থায় হঠাৎ অসুস্থ হলে দুইদিন পরেই মৃত্যু। চিকিৎসার অবহেলা গাফিলতির কথা কোনো স্বচক্ষে দেখা চিত্র ভুলতে পারছেন না। যা ভুল চিকিৎসার শতভাগ নিশ্চিত হয়ে ও প্রত্যক্ষদর্শী স্বামী নিজেই বাদী হয়ে থানায় ৪-৫ বার ঘুরেও মামলা নেয়নি থানা কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক কারণে। অতঃপর দৃষ্টন্তামূলক বিচারের দাবিতে কোর্টে মামলা দায়ের করে নিহত স্বামী মীর আবদুল পিরু (৩৫)।

সাউদার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষসহ তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা তদন্ত কমিটি,৩০দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে আদালতের নির্দেশ দেন।রোগী পক্ষের বাদীর অভিযোগ ও তথ্যসূত্রে জানা যায়,অপারেশনের দুদিন পর পপি আক্তার নামে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।অভিযোগে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকার সাউদার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা.মোহাম্মদ ইমরান হোসেন (৪৫), সহকারী অধ্যাপক ডা.আদনান বাচা (৪০) ও অধ্যক্ষ ডা. জয়ব্রত দাশকে (৫৫) বিবাদী করা হয়েছে। নিহতের স্বামী মীর আবদুল পিরু বাদী হয়ে অভিযোগটি দেন। তিনি নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকার বাসিন্দা।

অভিযোগে বাদী সূত্রে জানা যায়,আমার স্ত্রী পপি আক্তার গত ২২অক্টোবর সকালে পেটের ব্যথা অনুভব করলে বাসার পাশের সাউদার্ন মেডিক্যালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাই। চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি দেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা শনাক্ত করেন এবং অতিদ্রুত অপারেশন করতে বলেন।

গত ২৬অক্টোবর সকাল ৯টায় রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। তিন ঘণ্টা পর অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করে চার নম্বর ওয়ার্ডে আনা হয়। নিয়ে আসার পর সারাদিন পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করে এবং রক্তপাত হয়। তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে দুই ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়। ওই দিন রাত ১১টার দিকে পুনরায় তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে দ্বিতীয়বার অপারেশন করা হয়। দ্বিতীয় বার অপারেশনের পর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। অক্সিজেন সাপোর্ট প্রয়োজন হয়,প্রেশার কমে যায়। ঐ সময় চিকিৎসকদের সক্রিয় উপযুক্ত যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়া,নিরবতা অবহেলা গাফলতি লক্ষ্য করি তাদের রেসপন্স তেমন একটা ছিল না। যার ফলে রোগীর অবস্থা আরো ভয়ানক অবনতি হতে থাকে।

পরের দিন ২৭অক্টোবর সকালে ডিউটি ডাক্তার জানায়, রোগীর শারীরিক অবস্থা খারাপ। তড়িঘড়ি করে ডিসচার্জ করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।আসংখ্যাজনক মুমুর্ষ অবস্থায় দ্রুত পাশে অবস্থিত মেরিন সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮অক্টোবর সকাল ৬টা ৫৪মিনিটে রোগীকে মৃত ঘোষণা করে কর্তব্যরত চিকিৎসক।

মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হেলাল বলেন, চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুতে অভিযোগের ভিত্তিতে। অভিযোগ আমলে নিয়ে মহামান্য আদালত
আদেশ দিয়েছেন তদন্তের মাধ্যমে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য। চমেক হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধানকে দায়িত্ব দিয়ে তিন সদস্যের কমিটি করে দিয়েছেন। কমিটির অপর দুই সদস্য থাকবেন চমেক হাসপাতালের মেডিসিন ও অ্যানেস্থেশিয়া বিভাগের দুই সহকারী অধ্যাপক। কমিটিকে আগামী ৩০দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা।

বিষয়টি জানতে চাইলে ডাক্তার আদনান বাচা বলেন,সেটা তো ওরা করছে রোগীপক্ষের বলা কথা। আমরা চিকিৎসা তো অবশ্যই দিছি। অলরেডি আমাদের ইন্টারনাল একটা তদন্ত হয়েছে। সেটা রিপোর্টও আমাদের কাছে আছে। রোগীপক্ষ কিভাবে সেটা পাবে এটাতো কনফেডেনশিয়াল।এটার জন্য এপ্লাই করতে হয়। তদন্ত রিপোর্ট তো সবার হাতে দেওয়া হয় না। এ বিষয়ে রোগীর পক্ষের কেউ আমার সাথে কোন আলাপ হয়নি। সেটা তো রোগীপক্ষ কেউ আসলেই তো বলতে পারবো। না আসলে কিভাবে আমরা কথা বলতে পারবো। আমার কাছে আসে নাই। আমার নাম্বার কোথায় পেয়েছেন? আমি এখন একটু ব্যস্ত আছি একটু পরে আমি দিতে পারবো। এখন পারবো না।

উল্লেখ্যঃ সাদাকে সাদা বলতেই হবে কিন্তু বলতে গেলেই আসে বাধা-বিপত্তি ঝুঁকি ঝামেলা জীবনের প্রতিটা মুহূর্তেই বাধাবিঘ্নতা। নানচাপে নানাভাবে জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ প্রতিটি মুহূর্ত কাঠে নিরাপত্তাহীনতায়। কাল হয়ে উঠে শুভ সকাল দুপুর বিকেল প্রতিটা মুহূর্ত বেড়ে যাই বন্ধুবেশী শত্রুরা। রোগী পক্ষ অসহায় ও নিরুপায় অপরদিকে ডাক্তার পক্ষ শক্তিশালী ও তাদের সাংগঠনিক একতাই কোনভাবেই আইনি অধিকার ও ঘটনার পেছনের ঘটনা ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসা গাফিলতি অবহেলা তদন্ত রিপোর্টে উঠে আসে না।

ভুক্তভোগীদের অনেক অভিযোগ দেখেছি। বাস্তবে দেখা যায় কিন্তু ওই অভিযোগ পর্যন্তই শেষ রোগীপক্ষ সরজমিনে পায় না তার রোগীর অপচিকিৎসা গাফিলতির প্রমাণ দলিল যাবতীয় গ্রহণযোগ্য প্রমাণ । তদন্ত কমিটির তদন্তের নামে হয় আরেক নতুন আধ্যায় যেখানে উঠে আসে না রোগীর সত্যতা। অভিযোগ দিয়েও যেন সে নিজেই অভিযুক্ত হয়ে ওঠে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আর্থিক শারীরিক মানসিক সময় ও শ্রম শিকার হয় অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতির। দুর্দিনের দুঃসময় পাশে কাছে থাকে না কেউই সবই যেন গল্প নাটকের মতই সত্য।কাছের মানুষটিকেও পাওয়া যায় না পাশে।

অনিয়ম দূর্নীতি করেও ধরা ছোয়ার বাইরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান

স্টাফ রিপোর্টার॥
চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান। অনিয়ম দূর্নীতির সাথে জড়িত থাকলেও ধরা ছোয়ার বাইরে তিনি। চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান হওয়ার আগে তিনি একই সংস্থার পরিচালক (হারবার) ছিলেন। চট্টগ্রাম বন্দরে যা ব্যতিক্রম । (একই ব্যক্তি ঘুরে ফিরে ফের আগের জায়গায় আসা)
বন্দর চেয়ারম্যান হওয়ার আগে তিনি মোংলা বন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান ছিলেন। তার দূর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে খুলনার মেয়রের নেতৃত্বে মিছিল সমাবেশও হয়েছিলো।
বাবা ছিলেন নৌ বাহিনীর ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী। চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর এলাকায় বসবাস করতেন। নিম্নবিত্ত ঘরের সন্তান শাজাহান নেভী স্কুল এবং চট্টগ্রাম কলেজে লেখাপড়া করেন। তাদের গ্রামের বাড়ী নোয়াখালি। ছাত্রজীবনে (৮৩ সালে) চট্টগ্রাম কলেজে পড়াকালীন সময়ে শিবিবের কট্টর সমর্থক ছিলেন। বন্ধু বান্ধব যারা ছাত্রলীগ করতো তাদের নিয়ে হাসি মশকরা করা সাজাহান এখন বড় আওয়ামীলীগার। এক সময়ে টানা পোড়নের সংসার ছিল তাদের। এখন তিনি বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক।
চট্টগ্রাম বন্দরের মেম্বার (হারবার) থাকাকালীন সময়ে চট্টগ্রাম আত্মীয় স্বজনদের চাকুরি দিয়েছেন । চট্টগ্রাম বন্দরের মেম্বার (হার্বার) থাকাকালীন সময় কাটার মেশিন ক্রয় সংক্রান্ত দূর্নীতির সাথে জড়িত ছিলেন। যার সাপ্লাইয়ার ছিলেন তারই ঘনিষ্ট এনএইচ খান। মেরিন ডিপার্টমেন্টে একচেটিয়া কাজ করেন এনএইচ খান। ক্যাপ্টেন ফরিদ তার কাজের জোগান দেয়। আগে টাকা তারপর কাজ এ ভিত্তিতে কাজ দেয় চেয়ারম্যান শাহজানের অনুগত ক্যাপ্টেন ফরিদ। এমএইচ খান, ক্যাপ্টের ফরিদ ছাড়াও চেয়ারম্যানের ঘনিষ্টজন হলেন ঠিকাদার মাহহফুজুর রহমান লাদেন, চাদপুর বাড়ি, চট্টগ্রামের সাংসদ আফসারুল আমিনের ছোটভাই এরশাদুল আমিন, চট্টগ্রামের রামপুর এলাকার সেচ্ছসেবক লীগের নেতা পাপ্পু। বন্দর চেয়ারম্যান তার ভাতিজা বদরুলকে লালদিয়ার চরে ড্রেজিং এর কাজ পাইয়ে দিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির নাম এসএম ট্রেডিং। চট্টগ্রাম বন্দরে মেম্বার (হারবার) থাকাকালীন সময়ে ২০১৫-১৬ সালে দুদকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো। ২০১৬ সালে তার নেতৃত্বে ৩ টি জাহাজ আনা হয়। তা সাপ্লাই দেয় বন্দরের তৎকালীন চেয়ারম্যান নিজামের ভায়রা । চীন থেকে আনা জাহাজগুলো অলস বসে আছে। যার কোন আয় নেই তবে খরচ আছে। বলা যায়, বন্দরের জন্য এই জাহাজগুলি শ্বেতহস্তী। জাহাজগুলি পানগাঁও বন্দরের জন্য আনা হয়েছিলো বলে জানা যায়।
এছাড়া বোট সাপ্লাই না দিয়ে টাকা উত্তোলনের ঘটনায় দুদকে মামলা হয়েছিলো। এতেও তার সম্পৃক্ততা ছিল বলে জানা যায়।
ছোট থেকে বড় যে কোন কাজ বন্দরের চেয়ারম্যান এর নির্দেশ ছাড়া হয়না। কথিত আছে সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকাও ঘুষ নেন তিনি। মুখ খুললে সবার ব্যবসা বানিজ্যর ক্ষতি হবে তাই এ্ই ব্যাপারে একদম নীরব বন্দর সংশ্লিষ্টরা। তথ্যসুত্র জানায় তার দেশের বাইরে টাকাগুলো পাচার করছে নোয়াখালীর এনএইচ খান আর চাদুপরের মাহাফুজুর রহমান লাদেন। এই দুই ঠিকাদার ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতির সাথে জড়িত। আরেকটি সুত্র বলছে, ঢাকার অনেক ব্যবসায়ী চট্টগ্রামে ওয়ার্ক অর্ডার লোকাল ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেয়। কাজটি নীরবে হচ্ছে দীর্ঘদিন। শোনা যায়, ———তারেক সিদ্দিকী এবং পিএম কার্যালয়ের বেশ কয়েকজন সহ একটি চক্রের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান হয়ে আসেন শাজাহান। এই ভয়ে নীরবেই সব হজম করছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা। ভয়ে ক্ষতিগ্রস্তরাও কোন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে চায়না। (চট্টগ্রাম বন্দরের বার্থ অপারেটর, ঠিকাদার এবং সিবিএ নেতাদের কাছ থেকে পাওয়া এই তথ্য)

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার পথেই হাঁটছে বকশীগঞ্জের সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা রাজউকের ইমারত পরিদর্শক মনিরুজ্জামান ৭ বছরেই শত কোটি টাকার মালিক শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ নতুন ইতিহাস গড়লেন দীপিকা পাড়ুকোন