রামগড় ৪৩ বিজিবির ১২তম বিওপি ছোট ফরিংগা বিওপি উদ্বোধন

রামগড় ৪৩ বিজিবির ১২তম বিওপি ছোট ফরিংগা বিওপি উদ্বোধন

নুর আলম শরীফ, রামগড়(খাগড়াছড়ি)প্রতিনিধি:

১৭৯৫ সালে সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধের জন্য রামগড় এলাকায় ৪৪৮ জন সৈনিক নিয়ে তৎকালীন রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন”গঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করছে। বর্তমানে জনগণের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক হচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। প্রত্যেক বিজিবি সদস্য সীমান্তবর্তী এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সীমান্ত সুরক্ষা, মানবপাচার রোধ, মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধকল্পে ২৪/৭ সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করছে। সীমান্তে নিরাপত্তা আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে রামগড় ব্যাটালিয়ন (৪৩ বিজিবি) এর ১২তম বিওপি হিসেবে “ছোট ফরিংগা” বিওপি এর শুভ উদ্বোধন করা হয়।

রবিবার (০৫ অক্টোবর) সকালে বিওপিটি উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ পূর্ব রিজিয়ন, চট্টগ্রাম রিজিয়নের, রিজিয়ন কমান্ডার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সোহেল আহমেদ, পিবিজিএম, পিএসসি।

প্রধান অতিথি বলেন, সীমান্তে অর্পিত পবিত্র দায়িত্বসমূহ এ এলাকায় আগের চেয়ে অনেক বেশি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পালন করতে পারবে। বিওপিটি সীমান্তে সুরক্ষার পাশাপাশি মাদক, অবৈধ অস্ত্র পাচার প্রতিরোধ, চোরাচালানসহ সকল ধরণের সীমান্ত অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বিজিবি সূত্রে জানায়, চট্টগ্রাম জেলার মীররসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের ০৯নং ওয়ার্ড এবং ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের মধ্যবর্তী প্রায় ০৫ কিলো মিটার এলাকা নিকটস্থ বিওপি সমূহ হতে কিছুটা দূরবর্তী ছিল। ছোট ফরিংগা বিওপিটি উদ্বোধন এর ফলে এই দূরত্ব লাঘব হবে এবং এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা, মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধ সহ সকল প্রকার সীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধ করা রামগড় ৪৩ বিজিবির জন্য সহজ হবে।

ছোট ফরিংগা বিওপিটি উদ্বোধনের মাধ্যমে বিজিবির সক্ষমতা, বিশেষ করে রামগড় ৪৩ বিজিবির আভিযানিক দক্ষতা আরও বৃদ্ধি পাবে। সীমান্তে অর্পিত পবিত্র দায়িত্ব সমূহ আগের থেকে অনেক বেশি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পালন করতে পারবে। এই বিওপিটি সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি মাদক, অবৈধ অস্ত্র পাচার প্রতিরোধ, চোরাচালানসহ সকল ধরণের সীমান্ত অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিগত এক বছরে সীমান্তের নিরাপত্তা ও চোরাচালান প্রতিরোধকল্পে ছোট ফরিংগা বিওপিসহ সর্বমোট ১০টি নতুন বিওপি সংযোজনের ফলে সার্বিকভাবে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রমে আরও গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

উদ্বোধনে আরো উপস্থিত ছিলেন গুইমারা সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার, কর্নেল মোঃ মিজানুর রহমান, পিএসসি, জি, রামগড় জোন কমান্ডার ও অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আহসান উল ইসলাম, পিএসসি ও অন্যান্য সদস্যগণ।

মুজিবনগর হাসপাতাল দুর্নীতিবাজ জামাত শিবির নেতা জোহার হাতে বন্দী

 

নিজেস্ব প্ততিবেদক:
মেহেরপুর জেলার শালিকা গ্রামের জামাত-শিবির নেতা দুর্নীতিবাজ এসএম জোহার হাতে মুজিবনগর হাসপাতাল বন্দি। বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঐতিহাসিক মুজিবনগর হাসপাতালকে ব্যবহার করে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ টাকা লোপাট করছে দুর্নীতির মাধ্যমে। হাসপাতালের সমস্ত টেন্ডার জোহা নিয়ন্ত্রণ করে প্রতিবছর এবং বাজার দরের চেয়ে বেশি মুল্যে ক্রয় দরপত্রে। দুর্নীতিবাজ জোহার নিজের নামে ভুয়া একটা ট্রেড লাইসেন্স আছে। নেই ড্রাগ লাইসেন্স, আমদানি রপ্তানি লাইসেন্সও নেই এবং ব্যাংকে কোম্পানির একাউন্টে যে পরিমাণ স্থিতি থাকা দরকার দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী সেটাও ছিলোনা তারপরও তার কোম্পানি জোহা এন্টারপ্রাইজ কিভাবে টেন্ডার বরাদ্দ পায় বিগত দুই ২০২১- ২০২২ ও ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে । ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের এমএস আর সামগ্রী দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ৬ অক্টোবর২০২৩ ভোরের কাগজে। দরপত্র ক্রয়ের শেষ তারিখ ছিল ২২ অক্টোবর ও দরপত্র দাখিলের তারিখ ছিল ২৩ অক্টোবর২০২৩ এবং একইদিন দরপত্র খোলার সময় ছিল ১২.৩০ মিনিটে। এমএসআর সামগ্রী যেমন ( ক ) মেডিসিন (খ) যন্ত্রপাতি (গ) কেমিক্যাল রি- এজেন্ট (ঘ ) আসবাবপত্র ও কিচেন সামগ্রী (ঙ) লিলেন সামগ্রী (চ) গজ,ব্যান্ডেজ ও তুলা। যাহার ব্যাংক পে অর্ডার ছিল ক- ৫০০০০/-,খ-৩০০০০/-, গ- ১০০০০/-, ঘ- ১০০০০/-, ঙ- ২০০০০/-, চ- ২০০০০ টাকা, প্রতিবারের মত এবারও সিডিউল জমা সম্পন্ন হয়েছে তবে জনমনে বা এলাকাবাসী মনে করছে আাবারও দুর্নীতিবাজ জোহা মুজিবনগর হাসপাতালের বরাদ্দপত্র বা ওর্য়াক অর্ডার পাবে। এখানে পরিষ্কার জানা যাচ্ছে একই ব্যক্তি বারবার এক এক কোম্পানিকে ব্যবহার করে টেন্ডারের বরাদ্দ নিয়ে নিচ্ছে।
মুজিবনগর হাসপাতালে প্রতি বছর এমএসআর সামগ্রী টেন্ডারের টাকা দুর্নীতিবাজ জামাত শিবির নেতা এম এস জোহা দেদারসে গিলে খাচ্ছে হাসপাতালের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আসাদুজ্জামানের যোগসাজশে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন দেখার কেউ নেই নিম্নমানের ওষুধ এবং হাসপাতালে নিম্নমানের ব্যবহার্য সমস্ত এমএস আর সামগ্রী দিয়ে গিলে খাচ্ছে সমস্ত অর্থ।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে অবৈধভাবে হাসপাতাল কর্মকর্তা ও কতিপায় দালালের মাধ্যমে প্রতি বছর টেন্ডারের বিপুল পরিমাণ টাকা লুটপাট করছে। একদিকে হাসপাতাল যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অন্যদিকে নিম্নমানের ঔষধ এবং সার্জিকাল যন্ত্রপাত দিয়ে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর নিকট জানতে চাইলে তারা বলেন এই জোহা একজন জামাত-শিবির কর্মী তার পরিবারের সবাই জামাত শিবিরের সাথে জড়িত বিধায় এই দুর্নীতিবাজ জোহার নিকট থেকে মুজিবনগর হাসপাতালকে মুক্তি চায় আমরা এলাকা বাসী।

নিম্নমান ঔষধ ও সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে প্রতি বছর জোহা। রোগীদের কাছে ভয়ংকরুপি মানুষ হিসেবে ধারণ করেছে এই দুর্নীতিবাজ জামাত শিবির নতা জোহা থেকে হাসপাতাল মুক্ত না করলে হাসপাতাল আরো ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিধায় যথায টেন্ডারের সঠিক যাচাই-বাছাই পূর্বক সঠিক কোম্পানিকে কাজ দিয়ে হাসপাতাল থেকে দুর্নীতিবাজ মুক্ত করাজরুরি বলে মনে করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আসাদুজ্জামানকে বার বার কল দিযেও তার মন্তব্য পাওযা যায়নি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের