আমার মন মজরে গানের স্বত্ববিরোধের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার:
হবিগঞ্জ জেলার, নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা ইউপির রোকনপুর গ্রামের ,আধ্যাত্মিক সাধক ও গীতিকার হযরত জবান শাহ (রহ.)-এর লেখা জনপ্রিয় গান ‘আমার মন মজরে’ সম্প্রতি অন্যের নামে প্রচারিত হচ্ছে—এমন অভিযোগ উঠেছে। ভক্ত ও অনুসারীদের দাবি, গানটি বর্তমানে কামরুজ্জামান রাব্বি নামে এক শিল্পী ফকির আছিম শাহ নামে বিভিন্ন টেলিভিশন, ফেসবুক ও ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করছেন, যেখানে মূল গীতিকারের নাম সম্পূর্ণভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে।

হযরত জবান শাহ (রহ.)-এর অনুসারীদের ভাষ্যে, এই গানটি বহু বছর ধরে তাঁর দরবার ও আধ্যাত্মিক আসরে পরিবেশিত হয়ে আসছে। গানটির কথা ও ভাব হযরতের আধ্যাত্মিক দর্শন ও মানবপ্রেমের আত্মশুদ্ধির প্রতিফলন বহন করে। তাই এটি অন্যের নামে প্রকাশ করা কেবল অনৈতিক নয়, বরং আইনগত ভাবেও দণ্ডনীয় অপরাধ এবং অন্যায়।

একজন অনুসারী বলেন, “আমাদের প্রিয় পীর সাহেবের লেখা গানকে অন্যের নামে ছড়িয়ে দেওয়া আমাদের হৃদয়ে আঘাত দিয়েছে। আমরা চাই মূল গীতিকারের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হোক।”

আইনজীবীরা বলছেন, অন্যের রচনা বা শিল্পকর্ম অনুমতি ছাড়া নিজের নামে বা অন্য কারো নামে প্রকাশ করা বাংলাদেশের কপিরাইট আইন, ২০০০ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ক্ষেত্রে মূল লেখকের স্বত্ব নিশ্চিত করা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।

ভক্ত ও সাংস্কৃতিক মহলের দাবি, এ ঘটনায় দ্রুত তদন্ত করে প্রকৃত গীতিকারের স্বীকৃতি নিশ্চিত করা হোক, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের সাংস্কৃতিক চুরি বন্ধ হয় এবং শিল্পীদের অধিকার সুরক্ষিত থাকে।
এ বিষয়ে কামরুজ্জামান রাব্বির বিরুদ্ধ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করেছের ভক্তবুন্দ।

তদন্ত চেয়ে মহাপরিচালককে চিঠি: নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ!

বিশেষ প্রতিবেদক:
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের নৌযান ড্রাইভার ও মাষ্টার পরীক্ষার অনিয়ম,দুর্নীতি,প্রশ্নপত্র ফাঁস , প্যাকেজ পাশ, কোচিং বাণিজ্য কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। দালালদের পাশাপাশি অধিদপ্তরের বড় বড় কর্মকর্তারাই জড়িয়ে পড়ছেন এই অনৈতিক কর্মকান্ডে। তারা কেবলমাত্র এই পরীক্ষা খাত থেকেই প্রতিবছর শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। কথিত আছে শস্যে যতি ভুত থাকে তবে আর ভুত তাড়াবে কে? ঠিক একই অবস্থা চলছে এই অধিদপ্তরে।
অভিযোগ পাওয়াগেছে যে, নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের ৪/৫ জন কর্মকর্তা অনিয়ম-দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তারা ঢাকাসহ দেশের নানা স্থানে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। একজন প্রথম শ্রেণির ড্রাইভার ও মাষ্টার প্যাকেজ চুক্তিতে পাশ করাতে তারা মাথাপিছু ১ লক্ষ টাকা আদায় করছেন । এভাবে সেকেন্ড ক্লাস এবং থার্ড ক্লাসে নিচ্ছেন ৭০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা। প্যাকেজ চুক্তিতে প্রতিটি পরীক্ষায় ৭০/৮০ জন পাশ করিয়ে তারা ৪০/৫০ লাখ টাকা উপার্জন করছেন।
এ বিষয়ে গত দশ বছর ধরে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রতিবেদন ছাপা হলেও সেগুলো আমলে নেয়নি নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। ফলে সেটি এখন অনেকটা ওপেন সিক্রেট হয়ে পড়েছে। এখন ড্রাইভারশীপ ও মাষ্টারশীপ পরীক্ষা মানেই টাকা যার পাশ তার। আর এই বাণিজ্যকে নিরাপদ করতে গড়ে তোলা হয়েছে শক্তিদশালী একটি সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের সাথে কতিপয় রাজনৈতিক নেতাদেরও দহরম মহরম সম্পর্ক রয়েছে।
সম্প্রতি এ ধরনের একটি লিখিত অভিযোগ নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। মহাপরিচালক বরাবরে প্রেরিত উক্ত অভিযোগের বর্ণনায় জানাগেছে, নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের চীফ নটিক্যাল অফিসার ও মাষ্টারশীপ পরীক্ষার প্রধান পরীক্ষক ক্যাপ্টেন মো: গিয়াস উদ্দিন আহম্মদ তার অধিনস্থ সহকারী পরিচালক ( প্রশাসন) মো: শাহাদত হোসেন সরকার , সহকারী মো: নজরুল ইসলাম, বহিরাগত দালাল সাগর ,মুন্না ও তুষারের সমন্বয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে প্রার্থীদের পাশ করিয়ে প্রতি পরীক্ষার দিন ৪০/৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। পরীক্ষার্থীদের আবাসিক হোটেলে রেখে সুরক্ষিত পরিবেশে কোচিং করাবার জন্য মতিঝিল এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলও তারা ক্রয় করেছেন। এই হোটেলের নাম হোটেল আল রাব্বী। হোটেলটির মালিক অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) শাহাদাত হোসেন বলে শোনা যাচ্ছে।
অভিযোগের বর্ণনামতে, গত ১০ জুলাই প্রথম শ্রেণীর মাষ্টারশীপ পরীক্ষায় সহকারী পরিচালক শাহাদাতের ৭ জন- যার রোল নং ১৫২,১৫৩,১৫৬,১৬০,১৭০,১৭২,১৮৫ , সহকারী নজরুলের ৩ জন- যার রোল নং ১৪৯,১৫৫,১৭৯, দালাল সাগরের ১ জন- যার রোল নং ১৮৫,দালাল মুন্নার ১ জন- যার রোল নং ১৭৪ চুক্তির ভিত্তিতে লিখিত ও মৌখিক পাশ করানো হয়েছে। এসব প্রার্থীর কাছ থেকে মাথাপিছু ১ লাখ টাকা নিয়েছেন ক্যাপ্টেন মো: গিয়াস উদ্দিন।
বিষয়টি তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে আবেদন জানিয়েছে অভিযোগকারী সঞ্জয় কুমার বিশ^াস।
অভিযোগের সত্যতা জানার জন্য নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করলে তিনি লিখিত অভিযোগটি পেয়েছেন বলে স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তা চীফ নটিক্যাল অফিসার ক্যাপ্টেন মো: গিয়াস উদ্দিন বলেন, এই লিখিত অভিযোগের বিষয়ে তিনি কিছূ জানেন না। অপরদিকে সহকারী পরিচালক( প্রশাসন) মো: শাহাদাত হোসেন ফোন কলই রিসিভ করেন নি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম