এশিয়ার সবচেয়ে ধনী নারী ইয়াং হুইয়ান

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্ক ॥

এশিয়ার সবচেয়ে ধনী নারীর শীর্ষস্থানে উঠে এসেছেন ইয়াং হুইয়ান। ১৯৮১ সালে দক্ষিণ চীনের ক্যান্টন প্রদেশের শুন্দে এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা চীনের অন্যতম ধনকুবের ইয়াং গুওচিয়াং।

জানা গেছে, ইয়াং হুইয়ানের বাবা গুওচিয়াং যখন স্থানীয় কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কাজ শুরু করেন, তখন তার বয়স ছিল মাত্র পাঁচ বছর। সেই সময় চীনের অর্থনীতি বিকাশমান। অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে বিস্তৃত হচ্ছিল নগরায়ণ। ১৯৯২ সালে গুয়াংচৌতে ইয়াং গুওচিয়াং প্রতিষ্ঠা করেন কান্ট্রি গার্ডেন হোল্ডিং কোম্পানি।

চীনের শহরগুলোতে আবাসন প্রকল্প ও হোটেল বাণিজ্যে ছড়িয়ে পড়ে কোম্পানিটি। ইয়াং হুইয়ান কোম্পানির সঙ্গেই বেড়ে উঠেছেন। কৈশোর থেকেই অংশ নিতেন কোম্পানির জরুরি অধিবেশনগুলোয়।

হুইয়ান শিক্ষাজীবনেও পরিচয় দিয়েছেন মেধার। পড়াশোনার জন্য পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। ২০০৩ সালে ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে কলা ও বিজ্ঞানে সম্পন্ন করেন স্নাতক। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র থেকে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা ছিল না তার। ২০০৫ সালে কান্ট্রি গার্ডেন হোল্ডিংসের শেয়ার পান বাবার কাছ থেকে। বাবার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে যোগ দেন।

২০০৭ সালের এপ্রিলে সম্পত্তির পরিমাণ ১৬৫ কোটি ডলারে উন্নীত করেন হুইয়ান। তখন তার বয়স মাত্র ২৫। অথচ নাম লিখিয়ে ফেলেছেন চীনের সবচেয়ে ধনী নারী হিসেবে।

২০১৮ সালে তিনি কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। সম্প্রতি তার বাবা পদত্যাগ করলে তিনিই উত্তরাধিকারী হিসেবে ব্যবসার ভার নেন। তার সঙ্গে ছোট বোন জিয়িং কোম্পানিটির নির্বাহী প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছেন। ইয়াং হুইয়ান সাদামাটা জীবনযাপনের জন্য পরিচিত। তার পরও সংবাদ যেন তার পিছু ছাড়ে না। ২০১৮ সালে তিনি সাইপ্রাসের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছিলেন বলে খবরের শিরোনাম হন তিনি। চীনের আইনে দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়া অবৈধ।

ইয়াং হুইয়ান ব্যবসায়িক জ্ঞানসম্পন্ন সৃজনশীল নারী। গত বছর নাম লেখান বিশ্বব্যাপী আতিথেয়তা খাতের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায়। করোনার পর থেকে বাজারে তার অবস্থা জটিল রূপ নিতে শুরু করে। ২০২০ সালে চীনের রিয়েল এস্টেট বাজারই সংকটে পড়ে। ঋণদাতা ব্যাংকগুলো আর্থিক সাহায্য দেওয়া নিয়ে দর কষাকষি শুরু করে। তারল্য সংকট বাড়তে থাকলে ২০২১ সালের দিকে খেলাপি হয়ে যায় ডলার বন্ডে। দেউলিয়া হয়ে যায় কয়েকটি বড় ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান। কান্ট্রি গার্ডেন মহামারির সময়ে চালু থাকলেও ডলার সংকটে পড়ে।

 

তবে কি সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ দাঙ্গাকে উসকে দিচ্ছেন নেতানিয়াহু?

তবে কি সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ দাঙ্গাকে উসকে দিচ্ছেন নেতানিয়াহু?

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে দুর্বল করতে সংখ্যালঘু দ্রুজদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল— এমন মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। এমন অভিযোগও রয়েছে, ঐক্য ভাঙতে সিরিয়ার অভ্যন্তরীন দাঙ্গাকে উসকে দিয়েছেন কৌশলী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। দ্রুজ সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা শুধুই বাহানা। তাদের সহায়তার মধ্য দিয়ে মূলতঃ যুদ্ধাবস্থা জিইয়ে রাখাই তার লক্ষ্য।সিরিয়ায় সংখ্যালঘু দ্রুজ ও বেদুইনদের মধ্যকার দাঙ্গা, সরকারি বাহিনীর হস্তক্ষেপ এবং সবশেষ দেশটির রাজধানীতে ইসরায়েলের হামলা পরিস্থিতি রীতিমতো ঘোলাটে। যদিও ইসরায়েলের দাবি দ্রুজদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংঘর্ষে জড়িয়েছে তারা।

মূলত ১১শ’ শতকে ‘আল-তাওহীদ’ নামে নতুন এক ধর্মীয় মতাদর্শ প্রচারের মাধ্যমে দ্রুজ গোষ্ঠীর আবির্ভাব। আল তাওহীদ অর্থ একেশ্বরবাদ। দ্রুজ অনুসারীরাও নিজেদের পরিচয় দেয় আল- মুহাদ্দিন হিসেবে। তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসে রয়েছে গ্রিক, পারস্য ও ভারতীয় দর্শনের প্রভাব। প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম ‘কিতাব আল-হিকমা’- যার অর্থ জ্ঞানগ্রন্থ। বলা হয় সারা বিশ্বে দ্রুজদের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ।ইসরায়েল ও দখলকৃত গোলান মালভূমিতে প্রায় ১ লাখ ৫২ হাজার দ্রুজের বসবাস। এমনকি সামরিক বাহিনী আইডিএফেও রয়েছে তাদের ব্যাপক অংশগ্রহন। দ্রুজদের উপর আক্রমন প্রতিহতে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে তেলআবিবের হামলার পেছনে নেতানিয়াহুর চতুরতা এবং অন্য উদ্দেশ্য আছে বলে মত বিশ্লেষকদের।

তেলআবিব ইউনিভার্সিটির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ জোয়েল ডি পারকার বলেন, ইসরায়েল থেকে অন্তত এক হাজার দ্রুজ তাদের সম্প্রদায়ের প্রতি সংহতি জানিয়ে সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে। আমি কখনো দেখিনি ইসরায়েল নিজেরাই তাদের নাগরিককে অন্য দেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়। যারা সিরিয়ার গিয়েছে তাদের সাথে অস্ত্রও থাকতে পারে। আমার ধারণা, এটা ইসরায়েলর তরফ থেকে একধরনের সতর্কবার্তা।

সাবেক ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত এলোন পিনকাসের মতে, ব্যাপারটি পুরোপুরি সুযোগসন্ধানী। বন্ধু দ্রুজদের সহায়তার নামে নেয়া উদ্যোগ দেখা যায়নি কুর্দিদের জন্য। মূলত সিরিয়াকে ঐক্যবদ্ধ হিসেবে দেখতে চান না বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আহমেদ আল শারার নেতৃত্বে শক্তিশালী শাসন ব্যবস্থা গড়ে উঠলে সেটি তার জন্য সুবিধার হবে না।রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সিরিয়াকে ঐক্যবদ্ধ দেখতে চান না বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তাই দ্রুজদের সহায়তার নামে দেশটির অভ্যন্তরীন দাঙ্গাকে জিইয়ে রাখার ফন্দি এঁটেছেন তিনি।

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
হাজির করা হলো ট্রাইব্যুনালে, হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড়