ছিনতাইকালে ডেমরা থানার এসআই মোজাম্মেল হকসহ গ্রেফতার ৪

স্টাফ রিপোর্টারঃ

নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানা এলাকায় ছিনতাই ও অপহরণের চেষ্টাকালে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)সহ ৪জনকে গ্রেফতার করেছে আড়াইহাজার থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাতে উপজেলার প্রভাকরদি বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে সরকারি পিস্তল ও হ্যান্ডকাফসহ ছিনতাইকৃত টাকা উদ্ধার করা হয়।গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ডেমরা থানার এস আই মোজাম্মেল হক (৩৭), রূপগঞ্জের ভুলতা এলাকার মাসুদ মিয়ার ছেলে আতিকুর রহমান ওরফে সোহেল (২৯), একই এলাকার মনজুর হোসেনের ছেলে হালিম মিয়া( ২০) ও বিজয় (২৬)।এ ঘটনায় ছিনতাইয়ের শিকার সজীব শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকেলে আড়াইহাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় বাদী সজীব উল্লেখ করেন, বৃহস্পতিবার রাতে তিনি ও তার বন্ধু রাসেল মিয়া রূপগঞ্জ উপজেলার গাউসিয়া এলাকা থেকে সিএনজিতে চড়ে নিজ বাড়ি আড়াইহাজারের প্রভাকরদীর উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। যাত্রাপথে সজীব তার মামা সবুজের (৪০) সঙ্গে দেখা করার জন্য আড়াইহাজারের প্রভাকরদি বাজার সংলগ্ন আবদুর রউফের ভাঙারির দোকানের সামনে সিএনজি থেকে কাশবনের মাঠে নামেন।

তবে, সেখানে যাওয়া মাত্র পুলিশের এসআই মোজাম্মেলসহ ৪জন তাদের ঘিরে ফেলেন। এ সময় মোজাম্মেল তার সঙ্গে থাকা পিস্তল বের করে নিজেদের পুলিশের সদস্য বলে পরিচয় দেন এবং সজীব ও তার বন্ধু রাসেলকে হাতকড়া পরিয়ে দেন। এক পর্যায়ে তাদেরকে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং সজীবের কাছে থাকা নগদ ৮২ হাজার ৫শ টাকা, মোবাইল ফোন, তার বন্ধু রাসেলের কাছে থাকা ৩৫ হাজার টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় তারা।

মামলায় সজীব আরও উল্লেখ করেন, এক পর্যায়ে আসামিরা তাদেরকে হাতকড়া পরানো অবস্থায় কাশবনের মাঠ থেকে টেনে হেঁচড়ে সামনের রাস্তায় নিয়ে যায় এবং ধস্তাধস্তি করে একটি সিএনজিতে উঠানোর চেষ্টা করে। এ সময় সজীব ও তার বন্ধু রাসেল চিৎকার করলে রাস্তায় টহলরত এএসআই নুরে আলমের নেতৃত্বে আড়াইহাজার থানা পুলিশের একটি দল এগিয়ে আসে। সেখানে মোজাম্মেল নিজেদের ডেমরা থানা পুলিশের সদস্য পরিচয় দিলে এএসআই নুরে আলম তাদের পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে তারা নিজেদের পরিচয়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়। বিষয়টি ছিনতাই আঁচ করতে পেরে এএসআই নুরে আলম আড়াইহাজার থানায় খবর দিলে অপর একটি পুলিশ টিম ঘটনাস্থলে এসে আসামিদের গ্রেফতার করে।

আড়াইহাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাহিদ মাসুম বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিদের জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলাটি ডিবি পুলিশ তদন্ত করবে।এ বিষয়ে ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুর রহমান বলেন,”এস আই মোজাম্মেল হোসেন নামে একজন এসআই ডেমরা থানায় কর্মরত আছে। তবে, গ্রেফতারকৃত অন্য তিন আসামি তার থানার নয়”। ওসি আরো জানান – এসআই মোজাম্মেল হক ডেমরা থানা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন, ঘটনার তারিখে তার ডিউটি ছিলনা।

রাজধানী বনানী এলাকায় এরাবিয়ান ক্রেজি সিসা লাউঞ্জের নামে চলছে ব্ল্যাকমেইল সহ মাদক বাণিজ্য 

নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজধানী বনানী এর ১১ নাম্বার রোডে বনানী ফার্মেসির
উপরে লিফটের–৪ ,,এরাবিয়ান ক্রেজি সিসা লাউঞ্জে চলছে জমজমাট মাদক ব্যবসাসহ ব্ল্যাকমেইলের রমরমা বাণিজ্য। নানান নামে-বেনামে তরুণ-তরুণী দিয়ে চলছে এই অবৈধ ব্যবসা ও ভয়ংকর অপরাধমূলোক কর্মকাণ্ড। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে স্থানীয় পুলিশের নাকের ডগার উপরে প্রকাশ্যেই চলছে সিসা লাউঞ্জের নামে মাদক ও দেহ ব্যবসার রমরমা আয়োজন।

তেমনি এক অর্থলোভী সিসা লাউঞ্জ ব্যবসায়ীর নাম ,,নিলয় ও সোলেমান হোসেন রনি , । তিনি কলেজ পড়ুয়া মেয়ে ও নারীদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ও পরে ব্ল্যাকমেলই করে দেহ ব্যবসা করাতে বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ
উঠেছে। ,,নিলয়ের ও সোলেমান হোসেন রনি, র,, টার্গেট বৃত্তবান প্রভাবশালী সন্তানরা। অল্প বয়সী নারী দিয়ে ফাঁদ পেতে সেন্টারে ডেকে এনে বিভিন্ন উপায়ে করছেন ব্ল্যাকমেলই।

এব্যপারে সরজমিনে ওই সিসা লাউঞ্জে গিয়ে দেখা যায়, উঠতি বয়েসের তরুণীরা অশ্লীল কায়দায় বসে আছে। এখনে কর্মরত এক ব্যক্তির সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি প্রতিবেদকে এড়িয়ে যান। একপর্যায়ে সাংবাদিক বুঝতে পেরে ওই ব্যক্তি বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ও প্রতিবেদকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
অনুসন্ধানে জানা যায় ,,নিলয় ও সোলেমান হোসেন রনি,, বনানী এলাকায় সিসা লাউঞ্জের অপরাধ জগতের মাফিয়া হয়ে উঠেছে। একটি ভূয়া ট্রেড লাইসেন্স ও ফ্লাট ভাড়া নিয়ে সিসা লাউঞ্জের আড়ালে দেদারসে মাদক বিক্রি ও আধুনিক পতিতাবৃত্তির ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিজাত এলাকাকে পতিতাপল্লীতে পরিণত হয়েছেন। একটি সূত্র জানিয়েছে, রাজধানীর বনানীতে সিসা লাউঞ্জ ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাদের তৎপরতায় এলাকায় অপরাধের সংখ্যাও বেড়েই চলেছে। নষ্ট হচ্ছে সামাজিক ভারসম্য।
এধরনের অবৈধ সিসা লাউঞ্জের প্রতিষ্ঠানে জড়িয়ে পড়ছে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী, তরুন তরুণী। এই অপরাধমূলক ব্যবসা ধরে রাখতে কেউ নিজেকে পরিচয় দিচ্ছেন ডিআইজির চাচাতো ভাই, ওসির খালতো বোন, কেউ পুলিশ কর্মকর্তা বন্ধু, সাংবাদিকের বন্ধু, এমনকি স্থানীয় নেতা প্রভাবশালীদের নাম উঠেছে। দীর্ঘ অনুসন্ধানে দেখা যায়, তাদের অপরাধের কার্যক্রম ভিন্ন রকম। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান বাহিরে তালা দিয়ে ভিতরে চলছে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে এ যেন কানামাছি খেলা। ডিজিটাল কায়দাকে কাজে লাগিয়ে নামিদামি ব্র্যান্ডের সিসি ক্যামেরাও লাগিয়েছেন প্রতিষ্ঠানে।
বনানী সোসাইটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে সমাজ থেকে অশ্লীলতা পাপাচার দূর করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানায় স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ।

এব্যপারে বনানী থানার ওসি কে  মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল ধরেননি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের