সম্পত্তিই কাল হলো প্রতিবন্ধী এলেমের: ভাইয়ের হাতে হতে পারে খুন!

রায়হান হোসাইন, চট্টগ্রাম প্রতিনধিঃ

দলিল যার ভূমি তার আদালতের এমন নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জোরপূর্বক প্রতিবন্ধি ভাইয়ের জমি দখলে নিতে মরিয়া আপন ভাই। জায়গা জমি কিংবা সম্পত্তি পার্থিব জগতের মূল্যবান বস্তু। তবে সেই সম্পদ-ই এখন কাল হয়ে দাড়িয়েছে এক প্রতিবন্ধীর জীবনে৷ বলছিলাম প্রতিবন্ধী এলেম উদ্দিনের কথা।

সম্পত্তির কারণে দুভাইয়ের মাঝে যেকোন সময় ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। হত্যা কিংবা খুনের মত ঘটনাও ঘটে যেতে পারে বলে আশংখা করছেন প্রতিবন্ধী এলেম উদ্দিন ও স্থানীয়রা । আর এত সবকিছুই হতে পারে একই রক্তের মায়ের পেটের দুভাইয়ের মাঝে। সাবেক কারাভোগ করা দাগী আসামী ইব্রাহিম আনিসের হাতে খুন হতে পারে প্রতিবন্ধী এলেম উদ্দিন।

বন্দরনগরীর ইপিজেড থানার সিমেন্স হোস্টেল এলাকার কুরবান আলী সওদাগর পাড়ার চাঁদ মুন্সী বাড়ির মৃত আব্দুল মন্নানের তিন পুত্র ও তিন মেয়ের মধ্যে এক পুত্র ও এক কন্যা মারা যান। বাকি অন্যদের মধ্যে কারো সাথে কারো তেমন বিরোধ না থাকলেও প্রতিবন্ধী এলেম উদ্দিন এর সাথে আপন বড় ভাই ইব্রাহিম আনিস এর সাথে দীর্ঘ দুই বৎসর যাবত পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে এমনকি বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান আছে । বিজ্ঞ আদালত  উক্ত জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করে কোন প্রকারের স্থাপনা কিংবা পূর্ণনির্মানের নিষেধাজ্ঞা জারী করে। তবে তাতে কি? পেশীশক্তিকে পুজি করে দাগী আসামী ভাই মামলা তুলে নিতে এলেম উদ্দিনকে দীর্ঘ দিন ধরে চাপ প্রয়োগ করে আসছে। শুধু তাই নয়, ভাড়াটিয়া গুন্ডা দিয়ে এলেমের ঘড় ভাংচুরসহ তার উপর হামলা করে। আর এরই প্রেক্ষিতে ইপিজেড থানায় সাবেক দাগী আসামী ইব্রাহিম আনিসের বিরুদ্ধে জানের নিরাপত্তাহীনতা এবং এটেম টু মাডারের অভিযোগ দায়ের করে প্রতিবন্ধী এলেম উদ্দিন।

বিবাদী ইব্রাহিম আনিসের কাছে উক্ত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উনি বলেন আদালতে মামলা চলছে এ বিষয়ে আপনার সাথে কথা বলার কোন প্রয়োজন আমি মনে করছি না।

পাশাপাশি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন মহোদয়ের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছেন প্রতিবন্ধী এলেম উদ্দিন। প্রতিবন্ধী এলেম উদ্দিন এর দাবি আমি পৃথিবীর অন্যান্য আট দশ জন মানুষের মত আমার স্ত্রীর সন্তান দের নিয়ে আশঙ্কা মুক্ত জীবন যাপন করতে চাই ও আইন যেন আমার ন্যায্য অধিকার আমাকে ফেরত দেয়।

জানের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে প্রশাসন কর্তৃক যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনপূর্বক জায়গাজমির কাগজপত্রাদি যাচাই বাচাই করে প্রকৃত মালিকের কাছে জমিখানা হস্তান্তর করবে বিজ্ঞ আদালত আর এমনটাই মনে করছেন এলাকাবাসীসহ সচেতন মহল।

পটিয়ায় অতিথি পাখির কিচির-মিচির শব্দে মুখরিত হাতিয়াঘোনা ডোবা

অনলাইন ডেস্কঃ

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের হাতিয়াঘোনা (হেক্কার) ডোবা এলাকা। প্রতিদিন পাখির কিচির-মিচির শব্দে ঘুম ভাঙে এখানকার মানুষের। হাজার হাজার পাখি সারাক্ষণ মুখরিত করে রেখেছে ডোবা এলাকা। এলাকাজুড়ে অতিথি পাখির আগমন ঘটে শীত মৌসুমে। প্রতিদিন পাখি দেখতে ডোবা এলাকায় ভিড় করেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

জানা যায়, পৃথিবীতে ১০ হাজারেরও বেশি প্রজাতির পাখি রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় দুই হাজার প্রজাতির পাখি পরিযায়ী বা অতিথি পাখি। এরা নিজ দেশের তীব্র শীত থেকে বাঁচতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আসা-যাওয়া করে থাকে। সাইবেরিয়া, ইউরোপ, এশিয়া, হিমালয় থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি নভেম্বর থেকে জানুয়ারিতে আমাদের দেশে আসে। শীতটা শেষ হলে আবার তারা পাড়ি জমায় নিজ দেশে। যেসব অতিথি পাখি শীতের সময় আমাদের দেশে আসে, তাদের মধ্যে রয়েছে- লালবুবা, বক, পানকৌড়ি, শামুককনা, গাঙ, কবুতর, থাম, পাইজ, জলপিপি, পেরিহাঁস, পাতিবাটান, পাতিকুট, গিরিয়া, পাতারি প্রভৃতি।

সরেজমিনে দেখা যায়, কচুয়াই ইউনিয়নের ফকিরপাড়া রোড ৯নং ওয়ার্ড দিয়ে পাহাড়ের পাশে মেজর শহীদ ছবুরের নামে সরকারি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে। স্কুলের পাশ দিয়ে পাহাড়ী এলাকায় গড়ে উঠেছে ছোট বড় বেশ শতাধিক মৎস্য প্রজেক্ট। সেই সাথে পাহাড়ী অঞ্চলের আশেপাশে কয়েক হাজার একর জমিতে নানান প্রজাতির সবজি ও ধানের চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে স্থানীয় জনসাধারণ। সেখানে হাতিয়াঘোনা (হেক্কার) ডোবায় মৎস্য প্রজেক্টে শান্ত জলের বুকে কচুরিপানার সবুজ গালিচার মাঝে ঝাঁক বেঁধে ডানা মেলছে অতিথি পাখির দল। উড়ে চলা পাখির কিচির-মিচিরে মুখরিত চারপাশ।

স্থানীয়রা জানান, কচুয়াই ইউনিয়নের পাহাড়ী এলাকা যেন অপরুপ সৌন্দর্য্যে সমারোহ। এখানে সরকারিভাবে হাতিয়াঘোন (হেক্কার) ডোবার আশপাশের এলাকা নিয়ে একটি বিনোদন স্পট গড়ে তোলার দাবি জানান তারা।

স্থানীয় ডোবার মৎস উৎপাদনকারী আবু তৈয়ব জানান, কচুয়াই ইউনিয়নে ৯নং ওয়ার্ড হাতিয়াঘোন (হেক্কার) ডোবায় ৫০ কানি জায়গা মৎস্য উৎপাদন করছি। সে সাথে আশেপাশে আমার ছোট বড় আরো ১০টি মৎস্য প্রজেক্ট রয়েছে। প্রতিবছর শীতের মৌসুম এলেই পাখিগুলো যে কোথা থেকে আসে তা জানি না। তবে প্রচুর পাখি আসে এই গ্রামের হেক্কার ডোবায়। সন্ধ্যায় রক্তিম সূর্য দেখতে খুব ভালো লাগে। আমি মনে করি সরকারের পক্ষ থেকে পাখিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল সৃষ্টিতে পদক্ষেপ নেওয়া হলে আগামীতে এই এলাকায় পাখিদের আরো বেশি আগমন ঘটবে। সেই সঙ্গে এলাকাটি বিনোদন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।

পটিয়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আতিকুল মামুন বলেন, পটিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের খাল-বিল ও পাহাড়ী অঞ্চলের জলাশয়ে অসংখ্য অতিথি পাখি আগমন করে। পাখি প্রকৃতির অলংকার। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য পাখির বিচরণক্ষেত্র যাতে কোনভাবে ঝুঁকিপূর্ণ না হয় এ বিষয়ে আমরা সজাগ আছি। পাখি শিকার অনেকটাই বন্ধ। এখন পর্যন্ত পাখি শিকারের কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। সর্বস্তরের মানুষকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

এ ব্যাপারে কচুয়াই ইউপি চেয়ারম্যান এসএম ইনজামুল হক জসিম জানান, কচুয়াই ইউনিয়নের পাহাড়ী অঞ্চলে গড়ে উঠেছে অসংখ্য মৎস প্রজেক্ট। সেখানে ছোট বড় এই মৎস্য প্রজেক্টে শীতের মৌসুমে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখির আগমন ঘটে। অতিথি পাখির কিচির-মিচির ডাকে এলাকা যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য মুখরতি হয়ে উঠে।

সূত্রঃ আলোকিত বাংলাদেশ

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি