সাংবাদিক পরিচয়ে বেপক চাঁদাবাজি আতঙ্কে এলাকাবাসী

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নাম বিক্রি ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অবাদে চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে আনিস, ফাহাদ ও শারুখ নামে এই তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে । এতে সাধারণ মানুষ আতঙ্কে রয়েছে বলে জানা যায়।

পৌরসভার দৌলেরবাগ এলাকার শাহজাহান ও পেয়ার আলী গণমাধ্যমকে জানান, গত (২৬ মার্চ) রবিবার দুপুরে আনিস, ফাহাদ ও শারুখ নামে তিনজন সাংবাদিক পরিচয়কারী ভ্রাম্যমাণ আদালতের নাম বিক্রি করে আমার কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদাদাবি করে। আমি চাঁদা দিতে না চাইলে আমার বাড়ির গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিবে বলে ভয়ভীতি দেখায় তারা। বিভিন্ন সময় আমাকে ফোন দিয়ে হুমকি ধমকিও দিয়ে থাকে। তবে তিনজন আমার কাছ থেকে তিন হাজার টাকা নিয়ে যায়।

মোগরাপাড়া ইউনিয়নের সাদিপুর এলাকার ফাহাদুল ইসলাম, একই ইউনিয়নের হাবিবপুর এলাকার ভাড়াটিয়া শারুখ আহমেদ, ও পৌরসভার দৌলেরবাগ এলাকার আনিস।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি সাংবাদিকদের জানায়, যারা অবৈধ উপায়ে গ্যাস সংযোগ চালিয়ে আসছেন এমন গ্রাহকদের আতঙ্কে ফেলে দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিক ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নাম বিক্রি করে কথিত তিনজন ব্যক্তি অবাদে চাঁদাবাজি করছে।

এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী পেয়ার হোসেনের বোন জামাই সাংবাদিক মোক্তার হোসেন নামধারী হলুদ সাংবাদিক ফাহাদ, শাহরুখ ও আনিসের সাথে যোগাযোগ করলে, অভিযুক্ত ঐ তিন সাংবাদিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আপনার পরিচয় দিয়েছে বলে আপনার সমন্দিকে ছাড় দিয়েছি। মাত্র তিন হাজার টাকায় আমরা মেনে গেছি। হলুদ সাংবাদিক আনিস, সাংবাদিক মোক্তারকে হুমকি দিয়ে বলেন, আপনার সমন্দি যদি এ বিষয়টি আর করো সাথে কিছু বলে, তাহলে তাকে প্রতি মাসেই টাকা দিতে হবে। সে কোটিপতি হয়েও সরকারি গ্যাস অবৈধভাবে ব্যবহার করে মাদ্রাসা চালায় এবং কতোগুলো বাসা বাড়ির ভাড়াও দেয়।

এ সময় সাংবাদিক মোক্তার বলেন, আপনার বড়িতেও অবৈধ গ্যাস সংযোগ আছে? সাংবাদিক আনিস বলেন, আমি সাংবাদিক, কার সাহস আছে? আমার বড়ির গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে আসবে।

এ বিষয় সোনারগাঁ থানার পুললিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। যদি অভিযোগ করে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আগামী সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা চায় ইসি

অনলাইন ডেস্কঃ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেন, ‘কমিশন অবশ্যই সিসি ক্যামেরা চায়। আমাদের হান্ড্রেড পার্সেন্ট ইচ্ছা আছে। তবে এখানে অর্থনীতি বড় জিনিস।’

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ইভিএমের প্রজেক্ট পাস করার বিষয় ছিল, কিন্তু সিসি ক্যামেরার জন্য প্রজেক্ট পাস করতে হবে না বলে মনে করেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেন, ‘ওই রকম বিষয় না। যদি প্রজেক্ট পাস করতে  হয়, সেটা নির্বাচনের বাজেটের ব্যাপার। সিসি ক্যামেরা বাদ দিছি, এমনও ডিসিশন হয়নি। আমরা আনবোই আনবোই এমনও ডিসিশন হয়নি।’

দ্বাদশ ভোট বছরখানেকের মতো দেরি জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, ‘এই এক বছরের মধ্যে দেশের অর্থনীতির পরিস্থিতি কোনদিকে যায়, সেটাও আমরা বুঝতে পারবো। সব মিলিয়ে এটা ডিসিশনের প্রশ্ন।’

তিনি বলেন, ‘ভোটে সিসি ক্যামেরা হলে ভালো হয়। আমাদের জন্য ভালো হয়। আপনাদের জন্যও ভালো হয়। ভোটারদের জন্য ভালো হয়। সব মিলিয়ে সর্বোপরি ভালো হয়। আমরা তো চাইবো ভালোটার দিকে, খারাপের দিকে যেতে চাইবো না।’

অর্থনীতি এখানে বড় জিনিস জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, ‘কমিশন চাইলে নিজে নিজে তো করতে পারবে না। সবকিছু মিলিয়ে পরিবেশ পরিস্থিতি যদি পারমিট করে আমরা অবশ্যই করবো। তা না হলে তো আমরা আসলে কিছু  বলতে পারছি না। হবে না হবে, কোনোটাই না। আমাদের হান্ড্রেড পার্সেন্ট ইচ্ছা আছে। কমিশন অবশ্যই সিসি ক্যামেরা চায়। সরকারের ওই পর্যায়ে যাওয়া হয় না।’

সিসি ক্যামেরা প্রসঙ্গে এই কমিশনার বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা দিয়ে ভোট করবো কী করবো না, এ বিষয়ে আমাদের ডিসিশন হয়নি। আইনে কোথাও দেওয়া নাই— সিসি ক্যামেরা করতেই হবে। আমরা পরীক্ষামূলকভাবে করেছি। সিসি ক্যামেরার একটা ইফেক্টিভ রেজাল্ট। সেটাও কিন্তু একটা বড় বাজেট লাগবে। তিনশ’ আসন একটা ম্যানেজমেন্ট বা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে হবে। সেটা কীভাবে করা যায়, আদৌ সম্ভব কিনা, করলে কতটুকু করা যায়, এ বিষয় নিয়ে আমরা এক ধরনের আলোচনা করে আসছি।’

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রসঙ্গে এই কমিশনার বলেন, ‘আমাদের হাতে যেগুলো আছে, সেটা দিয়ে আমরা করবো। এ পর্যন্ত আমাদের ডিসিশন। একবারে করবো না, সেটা কিন্তু না। ইলেকশনে ব্যবহার চলছে। আস্তে আস্তে রিপোর্টটা পাবো। তবে ৫০ থেকে ৭০-এর মধ্যে বিষয়টা থাকবে।’

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান