ঠাকুরগাঁও চিনিকলের এমডিসহ দু’জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

 

রুবেল রানা, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ

লিজ নেয়া খেজুর বাগানের মেয়াদকাল শেষ না হতেই একই বাগান পুনরায় (টেন্ডার) দরপত্র আহ্বান করায় ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো: শাহজাহান কবির ও খামার পরিচালক জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মনিরুজ্জামান মনির নামে একব্যক্তি। বুধবার (২৬এপ্রিল) ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে তিনি এ মামলা করেন।
জানা গেছে, গত বছরের ২৫শে এপ্রিল ঠাকুরগাঁও সুগার মিল সদরের নারগুন ইউনিয়নের মোহন কৃষি খামারের বোচাপুকুর শাখার ৪৭০টি খেজুর গাছের রস আহরণের জন্য ভ্যাট ও আয়করসহ ১,৮২,১১০ টাকায় বাগানটি লিজ নেন ওই এলাকার রমিজ উদ্দিনের ছেলে মনিরুজ্জামান মনির। যার মেয়াদকাল ছিলো চলতি বছরের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজাহান কবির বাগানের মেয়াদ শেষ না হতেই আট মাস আগেই পুনরায় ওই বাগানের দরপত্র আহ্বান করেন চলতি মাসের ৪ এপ্রিল।
বাগানের মেয়াদ আরো আট মাস আছে সুগার মিল কর্তৃপক্ষকে বলার পরেও এমডি কাউকে তোয়াক্কা না করে বুধবার (২৬ এপ্রিল) ঠাকুরগাঁও সদর সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে সুগার মিল ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজাহান কবির ও খামার পরিচালক জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন লিজ গ্রহণকারী মনিরুজ্জামান মনির।
আদালত বাদীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে সুগার মিল কর্তৃপক্ষের চলতি মাসের ৪ এপ্রিলের ঘোষিত দরপত্রটি নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এবং সেই সাথে সাত দিনের মধ্যে বিবাদীকে দরপত্রের বিষয়ে ব্যাখা প্রদানের নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালতের এই নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তিনি তার মতো করে টেন্ডার সিডিউল বিক্রি ও গ্রহণ করেন। এবং বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় সকলের উপস্থিতে টেন্ডার বাক্স খুলেন।
ভুক্তভোগী মনিরুজ্জামান মনির জানান, ঠাকুরগাঁও সুগার মিল কর্তৃপক্ষ কোন কিছু না জানিয়ে হঠাৎ করে আমার লিজ নেয়া খেজুর বাগানটি নতুন করে লিজ প্রদানে দরপত্র আহ্বান করে। যা কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিষয়টি আমি জানতে পেরে মিল কর্তৃপক্ষকে বন্ধের অনুরোধ করা হলেও কর্ণপাত করেননি তারা।
তিনি আরো বলেন, ধার-দেনা করে বাগান লিজ নিয়েছি। সময়ের আগেই অন্য কাউকে লিজ দিলে চরম ক্ষতির মুখে পরবো আমি। তাই বাধ্য হয়ে আদালতের আশ্রয় নিয়েছি। এবং ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও খামার পরিচালক এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি।
এ বিষয়ে মনিরুজ্জামান মনিরের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম জানান, সুগার মিল কর্তৃপক্ষ নতুন করে যেন লিজ প্রদান করতে না পারে সে কারণে আদালত একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। পাশাপাশি মামলাটি চলমান রয়েছে।
আর সুগারমিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহজাহান কবির দরপত্র আহবানের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আদালতের কাগজটি গত বুধবার হাতে পাওয়ায় টেন্ডার প্রক্রিয়াটি বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। তবে লিজ দেয়া হবে কি না তা পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে।

ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি নামকরণের দাবিতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাইটেক স্টেশন এলাকায় রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির (বিডিইউ) নাম পরিবর্তন করে গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি নামকরণের গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি’ রাখতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার কবির বলেন, গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি নামটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ও পরিচয় স্পষ্টভাবে তুলে ধরে না। তারা চান, বিশ্ববিদ্যালয়টি ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি’ নামে স্বীকৃতি পাক, যা একাডেমিক ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা নেন শিক্ষার্থীরা।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি’ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত না মেনে শিক্ষার্থীরা ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি’ নামকরণের দাবি জানিয়ে আসছেন। সেই দাবিতে কয়েকদিন ধরেই মানববন্ধন, বিক্ষোভসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন তারা।

গত শনিবার দুপুরে শিক্ষার্থী গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কে মানববন্ধন করেন। এরই অংশ হিসেবে সোমবার সকাল ৯টা থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে কালিয়াকৈর হাইটেক রেলস্টেশন এলাকায় গিয়ে রেললাইনে অবরোধ সৃষ্টি করেন। সেখানে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকা পড়ে।

আটকা পড়া ট্রেনে বেশ কিছু রোগী থাকায় তাদের স্বজনদের অনুরোধে শিক্ষার্থীরা সকাল পৌনে ১০টার দিকে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছড়ে দেন। তবে শিক্ষার্থীরা রেললাইনের ওপর বসে অবরোধ সৃষ্টি করেছেন।

হাইটেক স্টেশনের টিকিট বুকিং কর্মকর্তা মো. আলম বলেন, জয়দেবপুর-যমুনা রোডে ট্রেন চলাচল বন্ধ। অবরোধের কারণে মৌচাক স্টেশনে বুড়িমারি এক্সপ্রেস ট্রেনটি থেমে আছে। এতে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।

জয়দেবপুর জংশনের স্টেশন মাস্টার আবুল খায়ের চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীরা হাইটেক স্টেশনে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসটি বেশ কিছু সময় আটকে রেখে পরে যাত্রীদের অনুরোধ ছেড়ে দিয়েছেন। তবে রেললাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম