দেশান্তরী হচ্ছেন নাসির

ন্টাফ রিপোর্টা্র॥

জাতীয় দলের জার্সিতে সর্বশেষ ২০১৮ সালে খেলেছিলেন নাসির। তখন পারফরম্যান্স খারাপ হওয়ায় বাদ পড়েছিলেন। এরপর আর খেলার সুযোগ পাননি। গেল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। ১২ ম্যাচ খেলে ৩৬৬ রান করার পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছেন ১৬ উইকেট।

এমন নজরকাড়া পারফর্ম করেও নির্বাচকদের নজরে আসতে ব্যর্থ হয়েছেন। বিপিএলের পর কয়েকটি সিরিজ হয়ে গেলেও নাসির ডাক পাননি। সামনে বিশ্বকাপেও তার দলে ডাক পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই। অন্যরা সুযোগ পেলেও নাসির থেকেছেন উপেক্ষিত।

চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও দারুণ ছন্দে রয়েছেন নাসির। তবে এত পারফর্ম করেও কোনো এক অজানা কারণে নাসির সুযোগ পাচ্ছেন না। নাসিরের আশা ছিল অন্তত আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ কিংবা বাংলাদেশ টাইগার্সে ডাক পাবেন। তবে তার কোনোটিই হয়নি। আর এমন দল নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অসন্তুষ্ট নাসির। অনেকটা অভিমানেই যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই ডানহাতি অলরাউন্ডার।

শনিবার গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নাসির হোসেন বলেন, ‘দেখুন, আপনি যদি ঠিকমতো মূল্যায়ন না পান, তবে আপনি কেন বাংলাদেশে থাকবেন। আমার কাছে মনে হচ্ছে যে, আমাকে ঠিকঠাক মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। তাই আমি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাব। এই কথা আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি। এই ডিপিএলের পরেই আমি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছি, ওখানে মাইনর লিগ খেলা আছে। সেখানে খেলতে যাচ্ছি আমি।’

যুক্তরাষ্টের জাতীয় দলের হয়ে খেলবেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে নাসিরের উত্তর, ‘ওই বিষয়ে আমি এখনই কিছু বলব না। দেখি কি হয়, আমার কাছে যদি মনে হয় বাংলাদেশে সঠিক মূল্যায়ন হচ্ছে না, তাহলে হয়তো আমি অন্য কিছু চিন্তা করতেই পারি। বিষয়টি এমন নয় যে আমি আমেরিকায় চলে গেলে আর বাংলাদেশের হয়ে খেলব না, আমি অবশ্যই দেশের হয়েও খেলব।’

জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়া প্রসঙ্গে নাসির আরও বলেন, ‘কেন আমাকে দলে নেওয়া হয়নি তার কারণ আমি বলতে পারব না। তবে আমি আশা করেছিলাম আয়ারল্যান্ড আর ইংল্যান্ড যখন আসল, ওখানে যে অনুশীলন ম্যাচগুলো হয়েছে, সেখানে হয়তো ডাক পাব। বা ছায়া দল অথবা বাংলা টাইগার্সে ডাক পাব। তার কিছুই আসলে হয়নি। কেন ডাকেনি জানিনা। আমাকে দলে না নেওয়ার কোনো কারণ নেই। আমার থেকেও খারাপ পারফর্ম করে অনেকে সুযোগ পেয়েছে। আমি তো আর নির্বাচকদের ফোন করে বলতে পারিনা, কেন আমাকে দলে রাখা হয়নি।’

নির্বাচকদের প্রসঙ্গে নাসির আরও যোগ করেন, ‘আপনি যখন নির্বাচক, তখন কার সঙ্গে আপনার কেমন সম্পর্ক, সেটা তো আর আপনি দেখবেন না। দেশের স্বার্থে যেটা সবচেয়ে ভালো হয়, আপনি সেই সিদ্ধান্তই নেবেন। আমার কাছে মনে হয় আপনি টি-টোয়েন্টি ভালো খেলেন, তবে আপনাকে দিয়ে টেস্ট খেলাচ্ছে। এটা ঠিক নয়। যে যেখানে ভালো খেলবে, তাকে সেখানে সুযোগ দেওয়া উচিত।’

সিদ্ধিরগঞ্জের ভুইয়া পাড়ায় ইয়াবার ছড়াছড়ি

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের একাংশ সিদ্ধিরগঞ্জের প্রতিটি পাড়ামহল্লার অলিগলিতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা ট্যাবলেট। সমাজের উঠতি বয়সের ছেলেরা যেমন এ নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছে তেমনি স্কুল ও কলেজগামী ছাত্ররাও ইয়াবার নেশায় জড়িয়ে পড়ছে। অথচ ইয়াবার বিরুদ্ধে প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১ থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ড রয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার ভুইয়াপাড়া এলাকায় বাদশা মিয়ার ছেলে সাব্বিরের সহযোগি সজিব,ইউসুফ সহ আরো কয়েকজন মিলে মাদকের এক সিন্ডিকেট ঘরে তুলেছে। এই সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসার পাশাপাশি চাঁদাবাজি ব্ল্যাকমেইল, অপহরন সহ এমন কোন হীন অপরাধের ঘটনা নেই যে এই সিন্ডিকেট করেনি, কিন্তু শত অপরাধ করেও তারা এখনো পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাহিরে।

এই সিন্ডিকেটের হাতে অপহরনের শিকার হন দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ পরে টাকা দিয়ে রক্ষা পান সাংবাদিক মাসুদ।
। ওয়ার্ডগুলোর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এলাকাবাসীর সঙ্গে আলাপকালে তারা ইয়াবা কারবারের কথা জানান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, এলাকাভিত্তিক সরকারদলীয় কিছু সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় দিচ্ছে। থানা পুলিশও এ এদের বিরুদ্ধে নিচ্ছে না কোনো আইনগত ব্যবস্থা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব মাদক কারবারির কাছ থেকে মাসোয়ারা পাওয়ার কারণে পুলিশ এদের গ্রেফতার করছে না। তবে যাদের কাছ থেকে পুলিশ মাসোয়ারা পাচ্ছে না কেবল তাদেরকে ইয়াবা, গাঁজা ও ফেনসিডিলসহ আটক করছে বলে এলাকাবাসী জানান। গত এক বছরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ কোনো বড় ধরনের ইয়াবা কিংবা ফেনসিডিল চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করতে অনেক চেষ্টা করার পরেও তারা গ্রেফতারে সক্ষম হয়নি কিংবা উদ্ধার করতে পারেনি কোনো উল্লেখযোগ্য মাদকদ্রব্য। অথচ কোটি কোটি টাকার মাদক কেনাবেচা হলেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে নীরব ভূমিকা পালন করায় সিটিবাসী রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছে। শত শত নারী-পুরুষ জড়িয়ে পড়েছে এই মাদক চোরাকারবারিতে। সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে মাদক কেনাবেচা ও সেবন। রাস্তার মোড়ে মোড়ে মাদক বিক্রেতা ও ক্রেতার আনাগোনা বৃদ্ধি পেতে থাকে। পুলিশের টহল না থাকায় এরা রাতের বেলায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাই এলাকাবাসী প্রতিটি পাড়া-মহল্লা এবং অলিগলিতে র‌্যাব টহলের জোরালো দাবি জানান। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের এলাকার তাঁতখানা এলাকার বাসিন্ধা রফিক বলেন এলাকায় সন্ধার পরে বলে হওয়া বিপদজনক, পাইনাদি নতুন মহল্লা এলাকার বাসিন্দা সুফিয়া এলাকার মেয়েরা এখানে অসহায় বলে বলেন, যেভাবে ইয়াবা ব্যবসা সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে তাতে ঘর থেকে বের হওয়াই দায় হয়ে পড়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে সমাজে বসবাস করা দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সানারপাড়ের বাসিন্দা মো. করিম মিয়া বলেন, পুলিশ প্রশাসনের নজর না থাকার কারণে ইয়াবায় ভাসছে গোটা সিদ্ধিরগঞ্জ।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জের বিলাসবহুল আবাসিক এলাকা হিসেবে খ্যাত হিরাঝিল, সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং, ভূমিপল্লী, সানারপাড়, নয়াআঁটি এ সব এলাকার বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে অনেক মাদক চোরাকারবারি অবাধে মাদক ব্যবসার পাশাপাশি নারীদের রেখে অনৈতিক কারবার চালাচ্ছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে কোনো ছাড় নেই। প্রতিদিনই কমবেশি মাদক উদ্ধার করা হচ্ছে এবং মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম