রিজেন্ট সাহেদের অভিযোগ ও তদন্ত রিপোর্ট সাংঘর্ষিক

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈশ্বিক মহামারি করোনা কালীন সময়ে দেশের সবচেয়ে আলোচিত ও অন্যতম ঘটনা রিজেন্ট সাহেবের গ্রেফতার। কিন্তু সময় গড়িয়েছে দেশে ঘটেছে অসংখ্য চটকদার ঘটনা। এসব ঘটনা ও অঘটনের খবরের মাঝে সেই সময়ের সর্বাধিক আলোচিত বিষয়টি যেন হারিয়ে গিয়েছে।

রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মোহাম্মদ শাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্ত রিপোর্টের বর্তমান নিয়ে মোঃ শাহেদের পরিবারের দাবি পুরোটাই ভিন্ন রকম। সাহেবের পরিবারের দাবি অপরাধ না করেও অপরাধী তিনি। পরিবারের দাবি ও তদন্ত রিপোর্ট-নিরীক্ষে আজকের স্পেশাল মোহাম্মদ শাহেদ এর অভিযোগ বনাম তদন্ত রিপোর্ট:
নিজস্ব প্রতিবেদক:

অভিযোগ করা হয়েছে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মোহাম্মাদ শাহেদ করোনা রোগী পরীক্ষা করা বাবদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বিপুল পরিমনা টাকা নিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে শাহেদ কোন টাকা নিয়েছে ওই সংক্রান্ত দায়ের করা মামলার চার্জশীটে উল্লেখ নেই। সেখানে বলা হয়েছে, বলা হয়েছে শাহেদ কোন টাকা গ্রহন করেননি। চার্জশীটে বলা হয়েছে শাহেদ একটি বিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে জমা দিয়েছিলেন। খুঁজে পাওয়া গেছে শাহেদ কোন বিলও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে জমা দেননি। শাহেদের স্ত্রীর নামে একটি এফডিআর রয়েছে কিন্তু জানা গেছে যায় শাহেদের স্ত্রী ওই এফডিআর এর অর্থ পেয়েছেন অনেক বছর আগে এবং তার সরকারী কর্মকর্তা বাবার কাছ থেকে, এ বিষয়ে তার ট্রাক্স ফাইলও রয়েছে। ফাইলে যাবতীয় তথ্য উলে­খ করা হয়েছে। শাহেদের পিতা সাতক্ষিরা শহরের একজন স্বানমধন্য মানুষ ছিলেন। শহরের তাদের একাধিক বিপনী বিতান নির্মিত হয়েছে শাহেদের জন্মেরও আগে। শাহেদের পিতা তার নিজ নামে ব্যাংকে একাউন্ট খুলে অর্থ জমা রেখেছেন এবং নিজে সে ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করেন। এখন পিতার ব্যাংক হিসেবের দায় ছেলের ওপর চাপিয়ে শাহেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্য কোন একজন লোকের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা জাল টাকার দায় শাহেদের ওপর চাপিয়ে মামলা করা হয়েছে। শাহেদের বিরুদ্ধে যে অস্ত্র মামলা দায়ের করা হয়েছে ওই অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে ঢাকা শহরের জনবহুল এলাকার একটি সড়কে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে তাকা একটি গাড়ীর ছাদ থেকে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে জনবহুল ঢাকা শহরের সড়কে পড়ে থাকা একটি গাড়ীর ছাদে কি ভাবে পনের দিন ধরে একটি অস্ত্র পড়ে থাকে। এটা কি করে সম্ভব? এমনি নানা অসঙ্গতিপূর্ন একাধিক মামলা দায়ের করে আওয়ামী পরিবারের সন্তান শাহেদের জীবনকে তছনছ করে দেওয়া হয়েছে। সামাজিক ভাবে তাকে হেয় করতে তিলকে তাল বানিয়ে প্রচার করা হয়েছে। শাহেদের এক নিকট আÍীয় বলেন, শাহেদের যদি অপরাধ হয়ে থাকে তা হলো বিভিন্ন টকশোতে আওয়ামীলীগের পক্ষে কথা বলা এবং বিএনপির তীব্র সমালোচনা করা এবং প্রধানমন্ত্রীসহ সমাজের বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যাক্তির সঙ্গে চলাফেরা করা। এছাড়া আমি শাহেদের কোন অপরাধ দেখি না।
দেশের আলোচিত মামলাগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক শাহেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা একাধিক মামলা। তবে মামলায় দায়ের করা অভিযোগ পত্রের সঙ্গে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ও প্রচারের সঙ্গে বিস্তর ফারাক রয়েছে,দায়ের করা অভিযোগপত্র বিশ্লেষন করলে এমনটাই দেখা যায়। এ নিয়ে শাহেদের পরিবারের পক্ষ থেকে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে ন্যায় বিচার পাওয়ার দাবী করা হয়েছে।
কভিড-১৯ অর্থাৎ করানোকালে বিশ্বের অন্যদেশগুলোর মতই মহাবিপর্যয়ের মুখে পড়ে বাংলাএদশ, তখোন দেশের বেসরকারী মালিকানার প্রায় সব হাসপাতাল মুখ ফিরিয়ে নেয়।কোন হাসপাতাল করোনা রোগী ভর্তি করেনি।
তবে সেই দুর্যোগের সময়ে প্রথমদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সরকারের একাধিক মন্ত্রীর মৌখিক অনুরোধে রিজেন্ট হাসপাতাল সরকারকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসে। রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় করোনা রোগী রাখার সিদ্ধান্ত হয় এবং রিজেন্ট হাসপাতালই প্রথম করোনা রোগী ভর্তি করে। ২১/৩/২০২০ তারিখে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো.শাহেদ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচক আবুল কালাম আজাদের মধ্যে লিখিত চুক্তি হয়। সে চুক্তি বলেই রিজেন্ট হাসপাতাল করোনা রোগী গ্রহন করে। ওই সময়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বলা হয় পরবর্তী যে কোন সময়ে হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়ন করে নিতে। সে অনুসারে হাসপাতাল কতৃপক্ষ লাইসেন্স নবায়ন করতে সোনালী ব্যাংকে টাকা জমা দেন। উলে­খ্য লাইসেন্স নবায়ন বিহীন অবস্থায়ই স্বাস্থ্য অধিপ্তর রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে লিখিত চুক্তি করে এবং করোনা রোগীর চিকিৎসা শুরু হয়।
পরবর্তীতে রিজেনট হাসপাতালের মালিক শাহেদকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং বলা হয় তিনি করোনা রোগীর ভুয়া টেস্ট রিপোর্টে দিয়েছেন এবং রোগীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। ভ‚য়া টেস্ট রিপোর্ট হিসেবে দশজন রোগীর নাম মামলার অভিযোগ পত্রে উলে­খ করা হয় তবে যে দশজনের নাম উলে­খ করা হয়েছে তাদের সবার রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে নিপসনের মেসেজ থেকে । নিপসনের ওয়েবসাইট ঘেটে দেখা যায় রিপোর্টগুলো রয়েছে। এ ক্ষেত্রে শাহেদেরে বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগটি সম্পূর্ন মিথ্যা তার প্রমান সরকারী ওয়েব সাইট।
করোনা পরীক্ষা করার জন্য শাহেদ কোন রোগীর কাছ থেকে অর্থ নিয়েছে এমন অভিযোগ কোন ব্যাক্তি করেনি এবং মামলার অভিযোগ পত্রে ও এমন কোন লোকের কথা উলে­খ নেই। এছাড়া সে সময়ে মনগড়া প্রচার করা হয় মোহাম্মাদ শাহেদ করোনা পরীক্ষার জন্য সরকারী কোষাগার থেকে প্রচুর টাকা নিয়েছেন,বাস্তবতা হলো রিজেন্ট হাসপাতাল করোনার জন্য সরকার থেকে একটি টাকাও গ্রহন করেননি। তিনি টাকা নিয়েছেন এমন কথা মামলার অভিযোগ পত্রেও বলা হয়নি। মামলার চার্জশীটে বলা হয়েছে মোহাম্মাদ শাহেদ কোন টাকা নেননি তবে এক কোটি ছিয়ানব্বই লাখ কুড়ি হাজার টাকার একটি বিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠিয়েছিলেন। বাস্তবে সেটাও সত্য নয়। স্বাস্খ্য বিভাগে কোন বিলও রিজেন্ট হাসপাতাল পাঠায়নি।
মোহাম্মদ শাহেদ যদি দোষ করে থাকেন তা হলে সেটা হচ্ছে করোনা রোগীদের আশ্রয় দিয়ে,সে বিষয়ে তার বিচার হতে পারে কিন্ত তার নামে রড সিমেন্ট বাকী নেওয়ার মামলাও দেয়া হয়েছ যার সিংহভাগ পাওনা তিনি পরিশোধ করেছেন এতে বোঝা যায় তাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হয়রানী করতে এ সব মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাস্তবতা হলো বিনা পারিশ্রমিকে করোনা রোগীদের চিকিৎসা ও সেবা প্রদানই তার জন্য কাল হয়ে দাড়াঁয় যা ছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তৎকালীন কতিপয় কর্মকর্তার কার্যকলাপ বিরোধী। এছাড়া শাহেদের বিরুদ্ধে যে অস্ত্র মামলা দায়ের করা হয়েছে অস্ত্রটি উদ্ধার দেখানো হয়েছে পরত্যাক্ত অবস্থায় সড়কে পড়ে থাকা একটি গাড়ী থেকে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে প্রায় পনের দিন সড়কে পরত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা একটি গাড়ীর ছাদে কি ভাবে অস্ত্রটি অরক্ষিত অবস্থায় থাকলো? এভাবেই শাহেদের বিরুদ্ধে গোজাঁ মিল দিয়ে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। অথচ প্রচার করা হয়েছে ভিন্ন কথা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কতিপয় প্রভাবশালী কর্মকর্তার পরিকল্পনা অনুসারে সরকারী টাকা আত্মসাতে সহায়তা করতে রাজী না হওয়ার কারনেই মূলত শাহেদকে ফাসিঁয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তিলকে তাল করে অপ্রচার করা হয়েছে।
তাই শাহিদের পরিবারের দাবি প্রতিটি নাগরিকের জামিনে মুক্তি পাওয়ার অধিকার রয়েছে। যেহেতু তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সমূহ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্ত রিপোর্ট সাংঘর্ষিক। তাই নাগরিক অধিকার হিসেবে এসব মিথ্যা মামলা হতে মোহাম্মদ শাহেদের দ্রুত মুক্তি দাবি করেন তারা।

রাজধানীর পল্লবীতে সন্ত্রাসী আসলাম-আশরাফের হত্যা ও চাঁদাবাজীর রাজত্ব

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
রাজধানীর পল্লবী এলাকায় সন্ত্রাসী আসলামের চাচা আশরাফ আলী গাজী হত্যা ও চাঁদাবাজীর রামরাজত্ব কায়েম করেছে। বাউনিয়াবাদ এলাকায় এই চাচা-ভাতিজার হত্যাকান্ডের ঘটনা ও চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। অপরদিকে এসব ঘটনার তথ্য জেনেও আইন প্রয়োগ কারী সংস্থা রয়েছে নিরব। এতে করে হত্যা মামলার বাদী ও স্থানীয় এলাকাবাসী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, পল্লবীসহ মিরপুর এলাকায় দীর্ঘ দিনযাবত সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে আসলাম গাজী। এছাড়াও ফারজানা নামের এক এনজিওকর্মীকে হত্যার নারকীয় ঘটনায় জড়িত রয়েছে সে। তার নির্দেশেই সাভার থেকে ওই গর্ভবতী ও এক সন্তানের জননী ফরজানাকে প্রথমে অপহরণ ও পরে পল্লবীর বাউনিয়াবাদ এলাকার একটি বাসায় আটকে রেখে দুই দিন পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে তাকে হত্যা করে আসলামের সহযোগী সন্ত্রাসীরা। ওই গৃহবধূকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ ও আসলাম গাজীর নির্দেশে তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগীরা নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে। ঘটনার দুই দিন পর ফারজানার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি জানাজানি হতেই পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে, নিহত ফরজানার পরিবারের পক্ষ থেকে পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হলেও ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা না নিতে স্থানীয় প্রভাবশালী ও একটি মহল পুলিশের কাছে তদবির চালায়। এছাড়াও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পুলিশের কতিপয় দুর্নীতিগ্রস্ত সদস্য মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে।
আরও জানা যায়, সন্ত্রাসী আসলাম গাজী বহু বছরযাবত স্থানীয় এলাকায় বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে রয়েছে চাঁদাবাজি, জমি দখল, অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা এবং হত্যাকান্ডের অভিযোগ। গৃহবধূ ফরজানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তার অপরাধচক্রের ভয়াবহতা প্রকাশ করেছে। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার যেন দ্রুত সম্পন্ন হয় এবং আসলাম গাজীর মত সন্ত্রাসীরা যেন কোনো প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় থেকে পার পেতে না পারে তার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ।
এদিকে, ফারজানা হত্যা মামলার বাদী নিহতের ভাই মো. রকি তার অভিযোগে জানান, তার বোন একটি বেসরকারি এনজিওতে চাকুরি করতো। ওই এনজিওতে গ্রাহকরা টাকা রাখলে বেশি টাকা পাওয়া যায় বলে স্থানীয় লোকজন তার বোনের এনজিওতে টাকা সঞ্চয় করতে থাকে। এনজিওটির লেনদেন ভাল থাকায় মানুষ সেখানেই টাকা গচ্ছিত রাখেন। সম্প্রতি ওই এনজিওতে সমস্যা দেখা দেয়ায় স্থানীয় আমানতকারীরা তাদের টাকার জন্য ফারজানাকে চাপ দিয়ে আসছিল। এরই জের ধরে ৩০ মে রাতে সন্ত্রাসী রনি, মামুন, মুক্তার, সম্রাট, আক্তার হোসেন, মোকসেদ আলী, ওমর, জনি, সোহেল বেপারী, আসলাম গাজী, জয়, শাকিল, লাল চাঁন ও রাকিবসহ আরও ১০/১২ জন তার মা রাবেয়া বেগমকে ১১ নম্বর সেকশনের কমিউনিটি সেন্টারে নিয়ে আটক রেখে নির্যাতন চালায়। পরবর্তীতে ৩১ মে তার বোন ফারজানাকে সাভার থেকে তুলে এনে আটক রেখে তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতন ও মারধরের এক পর্যায়ে ফারজানার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে গত ৪ জুন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফারজানার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তখন দেখা যায় তার সারা শরীরে নির্যাতনের ছাপ। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় তিনি পল্লবী থানায় মামলা করতে গেলে আসামী পক্ষের তদ্বিরের কারণে প্রথমে মামলা নিতে পুলিশ গড়িমসি করলেও পরবর্তীতে মামলা গ্রহণ করে (মামলা নং- ১৫, তারিখ: ০৫/০৬/২০২৫ ইং)।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা করা হলেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা আসামীদের গ্রেপ্তারে টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর বৃহত্তর মিরপুর ও পল্লবী এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে আসলাম গাজী পরিচিত। পল্লবীর চাঞ্চল্যকর রফিক হত্যার সাথে প্রত্যক্ষভাবে সে জড়িত থাকলেও চার্জশীটে তার নাম না থাকায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। দীর্ঘ দিনযাবত আসলাম মিরপুর এলাকায় জমি-বাড়ি দখল, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। এছাড়াও পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তার ছত্র-ছায়ায় সে মিরপুরে গড়ে তুলেছে অপরাধ সাম্রাজ্য।
আরও জানা যায়, আসলাম বর্তমানে একাধিক বাণিজ্যিক ভবনের মালিক হলেও তার অধিকাংশ সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করা। কোনো ব্যক্তি যদি জমি বা ফ্ল্যাট বিক্রি করতে চায় তাহলে আসলামকে তারা চাঁদা দিতে বাধ্য হয়। তানা হলে তার বাহিনীর সদস্যরা যে কোনো মূহুর্তে ওই বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটাতে পারে। শুধু চাঁদাবাজিই নয়, মাদক ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গেও সে জড়িত। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা নিয়মিত পল্লবী ও মিরপুর এলাকায় মাদক কারবার করে। তাদের প্রাণনাশের হুমকি ও হামলার আশঙ্কায় আসলামের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। এলাকায় স্বস্তি আনতে অবিলম্বে আসলামসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে এলাকাবাসী জোড় দাবি জানিয়েছেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার পথেই হাঁটছে বকশীগঞ্জের সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা