পুরান ঢাকায় সাংবাদিকতার পরিচয় ভয়ংকর অপরাধ ! এদের  কেউ কেউ নিজের নাম পর্যন্ত লিখতে পারেন না ,চলেন ম্যানেজার নিয়ে !

মাসুদ রানা জীবন ( বিশেষ প্রতিনিধি )ঃ

বেশ কয়েক বছর ধরে দাম সর্বস্ব গনমাধ্যমের স্টিকার ব্যবহার করে সোয়ারি ঘাট, চকবাজার , ইসলামবাগ এর বিভিন্ন জায়গা , বংশাল , কামরাঙ্গীরচর ও কেরানীগঞ্জের কিছু কিছু এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছে ভয়ঙ্কর এই চক্রটি ! তাদের চলাফেরা স্টাইল কথাবার্তার ধরন দেখলে নিঃসন্দেহে মনে হতে পারে এরা কোনো বড় মাপের সাংবাদিক ! এরা মূলত ভিন্ন পেসা থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসেছে ,কেউ কেউ সাংবাদিকদের সাথে সখ্যতা থাকার দরুন, দেখতে দেখতে সাংবাদিক বনে গেছেন ! সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাদের তান্ডব সহিতে হয় সাধারণ ব্যবসায়ীদের । তাদের হাত থেকে বাঁচতে প্রায় অর্ধশতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ইতিমধ্যে এলাকার ছেড়েছেন ! যারা আছেন তাদের গুনতে হচ্ছে মাস শেষে মোটা অংকের বখরা ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন ,, সবচাইতে বেশি চাঁদাবাজি হয় সোয়ারি ঘাট এলাকায়. কেরানীগঞ্জ থেকে চকবাজার কিংবা মৌলভীবাজার মালামাল প্রবেশকালে ব্যবসায়ীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রতিনিয়ত ! এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তার ও রক্ষা করার জন্য স্থানীয় বেশকিছু মাদকসেবীদের সাথে তাদের সখ্যতা রয়েছে এবং প্রায় শতাধিক ছোট মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের ছত্রছায়ায় অদ্যবধি চলছে । চক্রের প্রধান পরিকল্পনাকারী ও দুই সোর্স বেসরকারি একটি টেলিভিশনের পেশাদার সাংবাদিকদের আত্মীয়’র কখনো’বা পুলিশের বড় কর্মকর্তার আত্মীয়র পরিচয় দিয়ে মানুষকে বোকা বানিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন । ভুক্তভোগী অনেকে দাবি জানিয়েছেন রাত ১১-২ টার দিকেও ব্যবসায়ীদের মাল আটকিয়ে মুক্তিপণ আদায় করেন তাহলে এরা রিপোর্ট লিখেন কখন ? কোন নিউজ তাদের ছাপা হয় না কিন্তু কেন
? এলাকাবাসীর কয়েকজন বাড়ির মালিক অভিযোগ করেন তাদের হয়রানির কারণে ভাড়াটিয়ারা শান্তিতে বসবাস করতে পারে না । ৮-১০জনের সিন্ডিকেট সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন চায়ের দোকান সহ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মাদক সেবনের অভিযোগ পাওয়া গিয়ছে । ব্যবসায়ীদের একটি বড় অংশ বিনয়ের সহিত প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন ,, যেন তারা সাদা পোশাকে কিংবা তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনের সর্বোচ্চ শাস্তির আনা হয় । এদিকে সাংবাদিক নেতাদের কেউ কেউ বলছেন অপসাংবাদিকতা ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হলে পেশাদার সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং অপসাংবাদিকতা বন্ধ করতে প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও সুধী সমাজের ব্যক্তিবর্গ কে এগিয়ে আসতে হবে ।
★ ভুয়া সাংবাদিক চেনার কিছু কৌশলঃ একশ্রেণীর প্রতারক ও ভূয়া ভন্ডদের অপরাধ অপকর্ম থেকে নিরীহ জনসাধারণকে সুরক্ষা করা প্রকৃত সাংবাদিকদের নৈতিক দায়িত্ব। কারা প্রকৃত সাংবাদিক কারা ভূয়া সাংবাদিক সে ব্যাপারে সচেতন করে তোলা প্রয়োজন সবাগ্রে। যেসব আচরণ, প্রমাণাদি দেখে ভূয়া সাংবাদিক চিহ্নিত করবেন তার কয়েকটি নমুনা উল্লেখ করা হলো। ১) সাংবাদিকতার বেশভূষা পরিধান করে বুকে-পিঠে আইডি কার্ড ঝুলিয়ে বিকেল-সন্ধায় কেউ কি আপনার সামনে হাজির হয়েছৈন ? জেনে রাখুন-এ সময়টা সাংবাদিকদের নিজ নিজ অফিসে পিক আওয়ার চলে। এ সময় কোন সাংবাদিককের অফিসের বাহিরে অবস্থান করা দেখে বুঝে নিন তিনি পেশাদার সাংবাদিক নন। ২) সাংবাদিক হিসেবে একাধিক পত্রিকা/একাধিন টিভি চ্যানেল কিংবা একাধিক অনলাইনের আইডি কার্ড ব্যবহারকারীরা নিঃসন্দেহে অপেশাদার-অপসাংবাদিক। চাকরি বিধান অনুযাযী একই স্টাইলের দুটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা কিংবা বেতন তোলা মোটেও বিধি সম্মত নয়। ৩ ) কোন সংবাদের তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রকৃত সাংবাদিক কখনই জোর জবরদস্তি করেন না। তথ্যের জন্য কাউকে ধমক ধামকি, হুমকি কিংবাক ভয়-ভীতি প্রদর্শনকারীরা নিঃসন্দেহে ভূয়া। ৪ ) অশুদ্ধ উচ্চারণ, সন্দেহমূলক কথাবার্তা ও অসংলগ্ন আচরণ পরিলক্ষিত হলে এক টুকরো সাদা কাগজ ও কলমটা এগিয়ে দিয়ে বলুন- তার নাম, পদবী আর কর্মস্থল (কোন হাউসে আছেন ) নামটি ইংরেজীতে শুদ্ধভাবে লিখে দিন। প্রতি বর্ণের ভুলে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন। ৫ ) সভ্যতা-ভদ্রতা রক্ষা করেই একবার সাংবাদিক সাহেবকে জিজ্ঞাসা করুন – ৬ মিনিটের মধ্যে একটা সংবাদ লিখুন ।
চলবে………..

মেঘনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশুদের চিকিৎসায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ প্রয়োগ

মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লা মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর বিরুদ্ধে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, গত (১৪ অক্টোবর) শনিবার ১৬ মাসের শিশু সোয়াদকে ঠান্ডা জনিত সমস্যায় হাসপাতালের বহিঃ বিভাগে চিকিৎসা নিতে গেলে কর্ব্যরত চিকিৎসক ওষুধের পাশাপাশি নেবুলাইজার দেওয়ার জন্য প্রেসক্রিপশনে লিখে দেন। ডাক্তারের নির্দেশ অনুযায়ী নেবুলাইজার দেওয়ার জন্য শিশুটিকে তার মা জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে তখনকার কর্তব্যরত ইমরান হোসেন (এসএসিএমও) শিশু সোয়াদকে নেবুলাইজার দেওয়ার জন্য ওয়ার্ডবয় জাকির হোসেনকে নির্দেশ দিলে জাকির ০.৫ সিসি ইপ্রাট্রোপিয়াম ব্রোমাইড (ইপ্রাটপ) এর মাধ্যমে সোয়াদসহ আরো কয়েকজন ঠান্ডা জনিত রুগীকে নেবুলাইজার দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

পরে ২৫ অক্টোবর টিকিট কেটে শিশু সোয়াদকে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী জরুরি বিভাগে নিলে একই ব্যক্তিরা সোয়াদকে নেবুলাইজার প্রয়োগ করতে গেলে টেবিলে রাখা ওষুধের দিকে চোখ যায় সোয়াদের মায়ের। ওষুধের বোতলের মোড়কে লেখা মেয়াদে দেখে, চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত ওষুধের মেয়াদ শেষ। তাৎক্ষনিক শিশুর চিকিৎসা না নিয়ে সঙ্কিত হয়ে পড়ে শিশুটির মা।

এ বিষয়ে ইমরান হোসেন (এসএসিএমও) এর নিকট সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ওষুধের মেয়াদ নেই মর্মে সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কোন বিষয়ে বক্তব্য দিতে হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া দেওয়া নিষেধ। এ শিশু সোয়াদের মায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বাচ্চা বর্তমানে কিছুটা ভালো কিন্তু আমি ও আমার পরিবার শঙ্কিত।

এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.সায়মা রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং কর্তব্যরতদের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা প্রধানকে কেন বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বুয়েট শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়কে ওসাকা এক্সপো–২০২৫: কৃত্রিম দ্বীপে এ যেন এক টুকরা ফিলিস্তিন জেনেভা ক্যাম্পের মাদক সম্রাট বশির মোল্লার হাতে নাশকতার নীলনকশা বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকা চেয়েছে: আসিফ নজরুল রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার শিশুকে বাসায় নিয়ে ধর্ষণ, ট্রাফিক কনস্টেবল কারাগারে আবহাওয়া অফিস বৃষ্টি নিয়ে যে বার্তা দিলো মায়ের বিয়ের বেনারসি শাড়িতে জয়া আহসান পিআর পদ্ধতি ছাড়া জামায়াত ৪-৫টা আসনও পাবে না: আবু হেনা রাজ্জাকী