জাগ্রত সভা মানেই মহাযজ্ঞ

রিমি সরদারঃ
গতকাল খন্দকার টাওয়ারের বারো তলায় অনুষ্ঠিত হলো করোনা পরবর্তী প্রথম সাধারণ সভা।
উপস্থিতি নব্বই ভাগ।
বেলা বারোটা থেকে আরম্ভ হওয়া সভার ব্যাপ্তি কাল সন্ধ্যা সাতটা অব্দি। মাঝখানে এক ঘন্টার মধ্যাহ্নভোজে বিরতি। সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুর রহমান মাহবুব এর সঞ্চালনায় সভা আলোচ্যসূচি অনুযায়ী পরিচালিত হয়।
আজকের সভার অন্যতম বিষয় ছিলো, জাগ্রত প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আল মাহমুদ সুমনের অব্যাহতি। শারীরিক ও মানসিক অবস্থার অবনতির জন্য স্ব ইচ্ছায় তিনি অব্যাহতি চান। চেয়ারম্যান মহানায়ক শিহাব রিফাত আলম অব্যাহতি প্রদান কল্পে শর্ত জুড়ে দেন এ দায় জাগ্রত জনতার আপনি থাকবেন আমার কো চেয়ারম্যান এর কাতারে। সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো সুমন আজ থেকে কো চেয়ারম্যান জাগ্রত ব্যবসায়ী ও জনতা কেন্দ্রীয় কমিটি।
সাংগঠনিক আলোচনায় গঠনতন্ত্র আলোচনা চলে দীর্ঘক্ষণ। গঠনতন্ত্র প্রবক্তা সিনিয়ার কো চেয়ারম্যান আশরাফ চৌধুরী মহোদয়ের আলোচনায় সহজ ও সাবলীল হয় সকলের জন্য বিষয়টি। কো চেয়ারম্যান এমদাদুল হক আলোচনায় অংশ নেন সার্বিকভাবে অভিজ্ঞতার আলোকে আলোকিত করেন সভাকে।
কো চেয়ারম্যান সুইটি আনজুম আলোচনার গতি পরিবর্তন করেন প্রগতির পথে। কো চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান রিপন ভাই আলোকপাত করেন চাঁদা প্রসঙ্গে।
এস এম এ রহিম সাংগঠনিক প্রতিবন্ধকতা ও এর সম্ভাব্য প্রতিকার নিয়ে নিবন্ধ উপস্থাপন করেন।
এই পর্যায়ে জাগ্রত সভায় উপস্থিত হন খন্দকার টাওয়ারের সত্বাধিকারী জনাব রুহুল আমিন খন্দকার সি আই পি। সজ্জন খন্দকার সাহেব বরণ করে নেন জাগ্রত নেতৃবৃন্দ কে ফুলেল সৌরভে। মধ্যাহ্নভোজের হোস্ট জনাব বকসি ঘুরে ঘুরে সবার সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ও কুশল বিনিময় করেন। এটাই জাগ্রত কে ভালোবাসার অবদান। সম্ভবত জাগ্রত একমাত্র সংগঠন যার মূল মন্ত্র ভালোবাসা।
বিরতির পর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন, সর্ব সম্মতিক্রমে একটি নামই প্রস্তাবনা আসে এবং চেয়ারম্যান মহোদয়ের সদর অনুমতিক্রমে জনাব আরমান মেহেদী জুয়েল নির্বাচিত হলেন সাধারণ সম্পাদক। জাগ্রত ব্লাড ডোনার’স ক্লাব এবং জাগ্রত সাহিত্য মেলার বিষয়েও আলোচনা হয়।
শেষ আলোচনা মিলনমেলা ২০২১।
স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ মিলনমেলা উপহার দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ চেয়ারম্যান। উপস্থিত সভাসদ একমত।
আহ্বায়ক তৃতীয় বারের মতো কো চেয়ারম্যান জনাব আবুল খায়ের। যুগ্ম আহ্বায়ক নবনিযুক্ত কো চেয়ারম্যান আল মাহমুদ সুমন।
উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন পূর্বক বক্তব্য রাখেন কো চেয়ারম্যান কাজী জিনাত জিনি। সমাপনী বক্তা মহানায়ক চেয়ারম্যান শিহাব রিফাত আলম।
প্রথম পর্ব শেষে দ্বিতীয় পর্বে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট নবাবপুর সেন্ট্রাল কমিটি ঘোষণা হয়। এই সময় জাগ্রত মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জাগ্রত চেয়ারম্যান শিহাব রিফাত আলম।তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সকল সদস্য কে ফুলেল শুভেচছা তে বরন করেন। সহযোগিতা তে ছিলেন রাকিবুর রহমান মাহবুব , সোহেল খলিফা সহ আরো সহযোদ্ধাগন। সামনেই ইলেক্ট্রিক ব্যবসায়ী এসোসিয়েশন এর নির্বাচন থাকায় উপস্থিত সকলের মধ্যে একটি উত্তেজনা বিরাজমান ছিলো। কেননা নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বীবৃন্দ অনুসঠানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু নিজের বিচক্ষনতা এবং সুন্দর মানসিকতা দিয়ে চেয়ারম্যান শিহাব রিফাত আলম সকল প্রতিদ্বন্দ্বীদের কে এক কাতারে নিয়ে আসেন এবং এক ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেন। জাগ্রত ব্লাড ডোনার’স ক্লাব সহ জাগ্রত সাহিত্য মেলার ও অনেক প্রশংসা করেন উপস্থিত সকলে। জাগ্রত ব্লাড ডোনার’স ক্লাব বাংলাদেশ বর্তমানে দ্বিতীয় অবস্থানে কার্যরত।
সবশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এর মধ্য দিয়ে অনুসঠানের সমাপ্তি করেন চেয়ারম্যান শিহাব রিফাত আলম।

চুলা জ্বলছে না, গ্যাস সংকটের উন্নতি হতে পারে আজ থেকে

স্টাফ রিপোর্টারঃ

গ্যাস সংকটে ঢাকা শহরের অধিকাংশ বাসাবাড়িতেই ঠিকমতো চুলা জ্বলছে না। পাশাপাশি কলকারখানা, সিএনজি স্টেশন, হোটেল-রেস্তোরাঁ, বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ সব খাতেই ভয়াবহ সংকট চলছে। পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ বলছে, রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের জন্য একটি এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ থাকায় গ্যাস সরবরাহ কমেছে। তবে আজ রোববার থেকে সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর, রামপুরা, আজিমপুর, উত্তরা, বনশ্রী, ধানমিন্ড, শংকর, বাসাবো, পুরান ঢাকা, মিরপুর, নাখালপাড়া, ফার্মগেট, আগারগাঁও, কলাবাগান, খিলগাঁও, যাত্রাবাড়ী, মোহাম্মদপুরসহ ঢাকার অধিকাংশ এলাকার বসতবাড়িতেই গ্যাস সংকট চলছে। বিকল্প হিসেবে সিলিন্ডার কিংবা বৈদ্যুতিক চুলার ব্যবহার বাড়ছে।

মালিবাগের বাসিন্দা ফারজানা ইয়াসমিন জানান, দিনে গ্যাসের চাপ কম থাকায় রাতেই পরের দিনের সব রান্না শেষ করতে হয়। এর পর ভোরে উঠে তাড়াতাড়ি রাতের রান্না গরম করতে হয়। কারণ, সকাল ৭টার পরই চুলা জ্বলে না। লাইনে গ্যাস সরবরাহ প্রায় নাই হয়ে যায়। এই গ্যাস আসে বিকেল ৩-৪টার দিকে। কিছুক্ষণ থেকে ফের চলে যায়, আসে রাত ১০টার দিকে। কিন্তু গত তিন দিন ধরে রাতেও গ্যাস থাকছে না। ইলেকট্রিক চুলায় রান্না করতে হচ্ছে।

শুধু বাসাবাড়িতেই নয়, সংকট চলছে বিদ্যুৎ উৎপাদনেও। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে ৭৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস দেওয়া হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৮৫ কোটি ঘনফুট। গ্যাস ঘাটতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। ফলে এই শীতেও অনেক এলাকায় লোডশেডিং হয়েছে বলে জানা গেছে।

গ্যাস সংকটে দুর্ভোগের কথা জানিয়ে রাজধানীর পল্লবীর বাসিন্দা রেজিনা খাতুন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় গ্যাস নাই হয়ে যায়। সন্ধ্যায় ছিল দেড় ঘণ্টা। শুক্রবার সকাল ৭টায় উঠে আধা ঘণ্টায় কোনো রকমে তিন কাপ চা করা গেছে। তার পর থেকে গ্যাস হাওয়া! গত কয়েক দিন ধরে গ্যাসের এমনই অবস্থা, রান্না করাই মুশকিল হয়ে গেছে।’

দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৪২০ কোটি ঘনফুট। পেট্রোবাংলা দিনে সরবরাহ করে ২৮৫ কোটি ঘনফুট। অর্থাৎ, ঘাটতির পরিমাণ ১৩৫ কোটি ঘনফুট। কক্সবাজারের মহেশখালীতে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান দুটি টার্মিনালের মধ্যে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য একটি থেকে টানা তিন দিন (গতকাল পর্যন্ত) এলএনজি সরবরাহ বন্ধ ছিল। এতে গ্যাস সংকট আরও বেড়ে যায়। তিন দিন ধরে ৩৫ কোটি ঘনফুট সরবরাহ কমেছে। শনিবার ২৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস দিয়েছে পেট্রোবাংলা।

জানতে চাইলে শনিবার সন্ধ্যায় তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজ সমকালকে বলেন, ঘাটতির মধ্যেই একটি টার্মিনাল বন্ধ থাকায় সংকট আরও বেড়ে গেছে। তবে শনিবার টার্মিনালটি চালু হওয়ায় গ্যাস সরবরাহ ধীরে ধীরে বাড়ছে। রাতেই মধ্যেই এলএনজি সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।

রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানির (আরপিজিসিএল) মহাব্যবস্থাপক (এলএনজি) শাহ আলম বলেন, শনিবার সকালে এলএনজি টার্মিনালটি চালু হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ৮০ কোটি ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ হয়েছে।
সবা:স:জু- ৬৪৯/২৫

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান