দুদকের পদক্ষেপ কামনা: মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির হরশিত শিকদার এতো টাকা ও সম্পদ কোথায় পেলেন?

 

মাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির হরশিত শিকদার দু‘নম্বরী বিল ভাউচার তৈরি করে এবং জেলা প্রশাসকের নামে চাঁদাবাজীর মাধ্যমে কোটিপতি বনে গেছেন মর্মে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ খুলনা বিভাগীয় কমিশনারসহ দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা পড়েছে। অভিযোগের বর্ণনায় জানাগেছে, প্রায় একযুগ ধরে মাগুরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নাজির পদে চাকুরী করার সুবাদে হরশিত শিকদার মাগুরা জেলায় প্রায় শত বিঘা জমি ক্রয়সহ ২/৩ টি বাড়ীর মালিক হয়েছেন। তিনি খুলনাতে তার শ^শুরবাড়ী এলাকাতেও প্রচুর সম্পত্তি ক্রয় করেছেন। ঢাকাতেও তার একাধিক প্লট ও ফ্ল্যাট রয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ট্রেজারীর দায়িত্বে থাকায় জেলার কয়েকজন স্ট্যাম্প ভেন্ডারদের সাথে গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলে জাল স্ট্যাম্প ও কোর্টফি‘র কারবারে জড়িয়ে পড়েছেন বলেও ভয়ংকর অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ছাড়া তিনি প্রায় একযুগ ধরে জেলার শতাধিক ইটভাটা মালিকদের কাছ থেকে প্রতিবছর ভাটা প্রতি ২/৩ লক্ষ টাকা হারে এলএ ফান্ড শিরোনামে চাঁদা আদায় করে আসছেন। অন্যদিকে জেলার ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স সংক্রান্ত নানা প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

তিনি প্রায়ই জেলার স্বর্ণ ব্যবসায়ী,আমদানীকারক,রাখিমাল ব্যবসায়ী, তৈল ব্যবসায়ী, বিভিন্ন কোম্পানীর ডিলার,হোটেল ব্যবসায়ী ও স্ট্যাম্প ভেন্ডারদের মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে তাদের লাইসেন্স খেয়ে ফেলাসহ জেলা প্রশাসকের মোবাইল কোর্টের ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় করছেন।
অন্যদিকে সরকারী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভুয়া (অতিরিক্ত) বিল করে সেই টাকা তুলে পকেটস্থ করছেন। তার বিরুদ্ধে ভারতে হুন্ডিমাধ্যমে অর্থ পাচার ও সেখানে বাড়ী তৈরি করারও অভিযোগ তোলা হয়েছে। জেলার কালোবাজারী ব্যবসায়ীদের রক্ষাকর্তা হিসাবেও তিনি স্বীকৃতি পেয়েছেন। অফিস সময়ের পর তিনি শহরের বেশ কয়েকটি অভিজাত বাড়ীতে আড্ডা দেন এবং সেখানে পরনারী নিয়ে অসামাজিক কাজ (আমোদ ফুর্তি) করেন বলেও দাবী করা হয়েছে।
সরকারী চাকুরীজীবিদের রাজনীতি করা নিষিদ্ধ হলেও তিনি একটি রাজনৈতিক দলের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত হয়ে সেই দলের সভা সমাবেশে অংশ নেন এবং প্রায়ই নেতাদের সাথে গোপন মিটিং করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে সব থেকে বড় অভিযোগ হলো: তিনি সরকারি মোবাইল কোর্টসহ জেলা প্রশাসনের অনেক গোপনীয় তথ্য বাইরে পাচার করেন। বিনিময়ে দুর্নীতবাজ সিন্ডিকেটের কাছ থেকে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট অংকের টাকা মাসোহারা পেয়ে থাকেন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কোন কর্মচারি নিয়োগ হলেই তিনি ঘুস লেনদেনের মুখ্য ভুমিকা পালন করেন।
তার ছত্রছায়ায় মাগুরা শহরের বেশ কিছু এলাকায় আবাসিক ভবনে অবৈধ মাদক ও নারী দেহ ব্যবসা ও জুয়ার আসর পরিচালিত হচ্ছে মর্মে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন,তাকে অন্য জেলায় বদলী এবং দুদকের মাধ্যমে তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করার জোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে কথা বললে নাজির হরশিত শিকদার বলেন, আমি কোন প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে জড়িত নই। আমার কোন অবৈধ সম্পদও নেই। ভারতেও আমার কোন বাড়ী নেই। দাপ্তরিক কাজের স্বার্থেই জেলার ব্যবসায়ীদের সাথে তার সব সময় যোগাযোগ রক্ষা করতে হয় বলে তিনি দাবী করেন।

গজারিয়ায় তিতাসের অভিযান, ধরা ছোয়ার বাহিরে মাফিয়া লাভলু

মাহতাবুর রহমানঃ

আজ মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের অবৈধ দুটো চুনা কারখানাতে অভিযান চালিয়েছে সোনারগাও জোন তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ । মধ্যম বাউশিয়ার মানাবে পার্কের বিপরীত পাশে গ্যাস চোর মাসুদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটিতে সকাল দশটায় শুরু করে এই অভিযান , চলে দুপুর পর্যন্ত । সোনারগাও উপজেলার লাঙ্গলবন্ধের মাসুদ দীর্ঘ বছর ধরে অবৈধ গ্যাস লাইন ব্যবহার করে অবৈধ চুনা কারখানার মাধ্যমে হাতিয়েছে কোটি কোটি টাকা। তার এই অবৈধ কারখানাটি এই পর্যন্ত তিন বার গুঁড়িয়ে দিয়েছে তিতাস। প্রতিবারই অভিযান শেষ হলেই মেরামত হয়ে যায় অবৈধ কারখানাটি।

দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে অভিযান চালানো হয় গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন প্রধানের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটিতে। মধ্যমকান্দিতে অবস্থিত ঘুরিয়ে দেয়া হয় এই অবৈধ চুনা কারখানাটি। অবশ্য গতকাল দৈনিক সবুজ বাংলাদেশে এই রিপন প্রধানকে নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে । অবৈধ দুটি চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দেয়া হলেও গজারিয়ার সব চেয়ে বড় অবৈধ কারখানাটি বারবার দেখেও না দেখার ভান করছে তিতাস কতৃপক্ষ।

অবশ্য তিতাস কতৃপক্ষের জন্য এই ঘটনা নতুন কিছু নয়, আগেও দেখা গেছে এই একই দৃশ্য । সোনারগাও হতে বাউশিয়া যেতে মাঝপথে রয়েছে বালিয়াকান্দি ও ভবেরচরে ইউনিয়ন । আর এই বালিয়াকান্দি ইউনিয়নের মহাসড়কের পাশে মিয়ামী রেষ্টুরেন্টের বিপরীত পাশে গ্লোবাল ইকোনিমিক জোনে অবস্থিত নাজিমুদ্দিন লাভলুর মালিকানাধীন সবচেয়ে বড় এই অবৈধ চুনা কারখানাটি।

যতদূর জানা গেছে এই লাভলু গজারিয়াতে অবৈধ চুনা কারখানার প্রথম উদ্যেক্তা। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের সাথে রয়েছে লাভলুর যথেষ্ট সখ্যতা। এমনও অভিযোগ উঠেছে লাভলুর দেয়া তালিকা দেখে অভিযান চালানো হয় এই অবৈধ কারখানা গুলোতে। গজারিয়ার সবকটি অবৈধ চুনা কারখানায় একাধিকবার অভিযান চালানো হলেও লাভলুর কারখানায় অভিযান চালানো হয়না একবারের জন্যও। তিতাস কতৃপক্ষকে ম্যানেজ করে বহাল তবিয়তে গ্যাস চুরি অব্যাহত রাখছে এলাকার মাফিয়া খ্যাত নাজিম উদ্দীন লাভলু । বাংলাদেশে সর্বপ্রথম খাট নামক মাদকের চালানও এনেছিল এই লাভলু । ঢাকা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর খাট নামক মাদক সহ এই লাভলুকে গ্রেফতার করেছিল আজ থেকে প্রায় পনের বছর আগে । এদিকে তার আপন সহোদর আল আমিনের রয়েছে আরেকটি চুনা কারখানা , যার অবস্থান ভাটেরচর নতুন রাস্তার মাথায়।

মুন্সিগঞ্জের এই অবৈধ চুনা কারখানা নিয়ে দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে….

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের