ত্রিশালে মোবাইলে নগ্ন ভিডিও  গণপিটুনিতে যুবক আহত: মসজিদের ইমাম ও তার পরিবারকে হয়রানির চেষ্টা!

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:

মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে ছাত্রদের মোবাইলে নগ্ন ভিডিও দেখাতে গিয়ে গণপিটুনিতে আহত হয়েছে এক বখাটে যুবক। আর এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে ত্রিশাল কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি মোফাজ্জল হক ও তার পরিবারকে হয়রানি ও লাঞ্চিত করার চেষ্টা করছে একটি কুটক্রিমহল মহল৷ ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালে।

সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত গত ৪ আগষ্ট বিকালে। ঘটনার সময় বহিরাগত এক যুবক শামীম (১৫) মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে দর মোবাইল থেকে ছাত্রদের নগ্ন ভিডিও দেখাচ্ছিলো। ঘটনাটি স্থানীয় জনগন ও মাদ্রাসার অন্যান্য ছ্াত্ররা দেখে ফেলে এবং বহিরাহত ওই যুবক শামীমকে গণপিটুনি দিয়ে আহত করে। পরে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে এসে যুবকটিকে উত্তেজিত ছাত্র জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে চিকিতসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু ওই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে স্থানীয় কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ও তার ছেলেদের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি কুচক্রী মহল৷

স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি মোফাজ্জল হক এই এলাকার সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় ও একজন বিজ্ঞ আলেম ব্যাক্তিত্ব হওয়ায় বিরোধী একটি স্বার্থান্বেষী মহল তার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে৷ তারা এই ঘটনার সমস্ত দায়ভার ইমাম ও তার পুত্রদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে তাকে মসজিদ ও মাদ্রাসার স্বীয় পদ থেকে অপসারণ করার অপচেষ্ঠায় লিপ্ত হয়েছে। আর এ জন্য তারা তিলকে তাল বানিয়ে ফেসবুক ও গণমাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

মসজিদের ইমাম ও তার পরিবার এই ঘটনার সাথে জড়িত না থাকলেও সংশ্লিষ্ট কুচক্রী মহলটি যারপরনাই চেষ্টা চালাচ্ছে ইমাম ও তার পরিবারকে দোষী সাব্যস্ত করতে। এই কুচক্রী ও স্বার্থান্বেষী মহলটি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের প্রতিবাদ করতে পারছে না সাধারণ জনগণ। স্থানীয় মুসল্লী ও এলাকাবাসী এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন৷
তারা বলছেন, মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি মোফাজ্জল হককে অসম্মান করে স্বীয় পদ থেকে অপসারণের জন্য একটি গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছে। শত চেষ্টা করেও তারা কোনভাবেই সফল হতে না পেরে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে পুঁজি করে ইমাম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও পেশী শক্তি ব্যবহার করছে৷ এলাকাবাসী জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেছেন।
এ বিষয়ে ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ঘটনাটি অনাকাংখীত। এ বিষয়ে আমরা কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। যেহেতু এটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয় সেহেতু স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধ করেছি মিমাংশা করে ফেলার জন্য।

জোর পূর্বক ধর্ষণ ও অশ্লীল আপত্তিকর ছবি-ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ায় যুবক গ্রেফতার

 

নিজস্ব প্রতিনিধি:

মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌসি(২০), এর সাথে লাভলু আহম্মেদ(২৮) পিতা-ফরিদ আহম্মেদ, সাং-চকপাড়া দক্ষিন নালিতাবাড়ি, থানা-নালিতাবাড়ি, জেলা-শেরপুর এর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচিত হয়। এক পর্যায়ে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয় সেই সুবাদে তার সাথে ০৭/৬/২০২৩খ্রিঃ তারিখ ময়মনসিংহ জেলার বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে এ্যফিডেভিট মূলে কোর্ট ম্যারেজ করে বিবাহের পর তারা ময়মনসিংহ চরপাড়া কলনীতে ভাড়া বাসায় ১৪ দিন এক সাথে ছিলো। কিন্তু হঠাৎ উক্ত বিবাদী মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌসিকে কোন কিছু না জানিয়ে বাসা থেকে চলে যায়।পরবর্তীতে জানতে পারে যে, বিবাদী তার নিজ গ্রামের বাড়িতে চলে গেছে তার এরুপ ব্যবহারে বিবাদীর এলাকায় আরো খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারে যে, উক্ত বিবাদীর আরোও একজন স্ত্রী আছে।উক্ত বিবাদী ইতোপূর্বে ভিকটিমের কাছ থেকে বিবাহের পর হতে বিভিন্ন সময়ে কৌশলে আনুমানিক ৪০,০০০/- (চল্লিশ হাজার) টাকা নিয়েছে। কাবিন নামা মূলে বিবাহের কথা বললে বিবাদী ৫,০০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা দাবী করে। কিন্তু ভিকটিমের পরিবারের এত টাকা দেওয়ার সামর্থ্য না থাকায় তার পরিবার উক্ত টাকা দিতে অপারগতা জানায়। এর পর থেকে বিবাদী ভিকটিমকে তার চাহিদা মোতাবেক ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। উক্ত টাকা না দিলে বিবাদী ভিকটিমকে জিম্মি করে তার পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায় করবে এবং আরো হুমকি দেয় যে, ভিকটিম এবং বিবাদী একসাথে থাকাকালীন বিবাদীর মোবাইল ফোনে কৌশলে গোপনে ধারনকৃত ভিকটিমের বিভিন্ন আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেবে। উক্ত বিষয় নিয়ে বিবাদী প্রায়সময়ই ভিকটিমকে ভয়ভীতিসহ বিভিন্ন ধরনের প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। বিবাদী তার দাবীকৃত টাকা না পেয়ে ভাড়া বাসায় থাকাকালীন ভিকটিমের অজান্তে গোপনে ধারনকৃত একান্ত মূর্হুত্বের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও উক্ত বিবাদীর তৈরিকৃত ফেক ফেইসবুক আইডি ও টিকটকে ভাইরাল করে দেয় যা ভিকটিম তার নিজ বাড়ী শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ীর কালিনগর গ্রামস্থ অবস্থানকালে ইং ২৫/০৮/২০২৩ তারিখে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে দেখতে পায়। এছাড়াও বিবাদী ভিকটিমের Jannatul Ferdous নামক ফেইসবুক আইডি টি হ্যাক করে। হ্যাককৃত ফেইসবুক আইডির মেসেঞ্জারের মাধ্যমে তার অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ভিকটিমের ছোট ভাই (Mainul Hasan Mobin) নামীয় ফেইসবুক আইডি এর ম্যাসেঞ্জারে প্রেরন করে এবং একাধিক আইডিতে শেয়ারসহ আরোও অনেককে ছবি ও ভিডিও প্রেরন করে। বিবাদীর তৈরীকৃত ফেক আইডিতে ভিকটিমের মোবাইল নাম্বার উল্লেখ্য করে দেয় এবং অশ্লীল কথাবার্তা লিখে পোস্ট করে যার কারনে ভিকটিমকে বিভিন্ন সময় অপরিচিত লোক জন ফোন দিয়ে বিরক্তসহ খারাপ কথা বলে। বিবাদী তার ব্যক্তি আক্রোশ এবং অনৈতিক অর্থ আদায়ের লক্ষ্যে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে ভিকটিমকে এবং তার পরিবারকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও পারিবারিক মান সম্মান নষ্ট করেছে। উক্ত বিবাদীর কাছে ভিকটিমের আরো অশ্লীল ভিডিও ও ছবি আছে যা সে পর্যায়ক্রমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে ভিকটিমের মান সম্মান নষ্ট করে ফেলবে মর্মে হুমকি দিতে থাকে। বিবাদীর এরুপ কর্মকান্ডে সম্মান বাঁচাতে ভিকটিম আইনগত সহায়তা চেয়ে জাতীয় জরুরী সেবা “৯৯৯”এ কল দিলে “৯৯৯”ভিকটিমকে ২ এপিবিএন, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহের সাইবার টিমেরসাথে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। ভিকটিম ইং ০২/৯/২০২৩ তারিখ ২ এপিবিএন, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহের অপস্ এন্ড ইন্টেলিজেন্স শাখায় উপস্থিত হয়ে বিস্থারিত ঘটনা জানায়।

তৎপ্রেক্ষিতে ২ এপিবিএন এর সাইবার টিম (মেটা-১/২/৩) বিবাদীর তৈরিকৃত ফেক ফেইসবুক আইডিতে ভাইরালকৃত ভিকটিমের ছবি ও ভিডিও রিমুভ করার জন্য ফেইসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করে। ইং ০৫/০৯/২০২৩ তারিখ দুপুরে উক্ত বিবাদীর Baba নামক ইমু আইডি থেকে ভিকটিমের Jannatul Bely নামক ইমু আইডিতে কল করে জানায় যে নালিতাবাড়ী থানাধীন আড়াইআনি এলাকায় ভিকটিম যদি দেখা না করে তাহলে বিবাদীর কাছে থাকা ভিকটিমের বাকী অশ্লীল ভিডিও ও ছবি ভাইরাল করে দেবে।

এরই ধারাবাহিকতায় ভিকটিম তার সম্মান বাচাতে বিবাদীর সাথে দেখা করতে রাজি হয় একই সাথে উক্ত বিষয়ে ২ এপিবিএন এর সাইবার টিমকে জানায়। বিবাদীর কথা মতো ভিকটিম ০৫/০৯/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ রাত্র ৮ ঘটিকায় বর্ণিত স্থানে যায়, অনুমান ১ ঘন্টা পরে উক্ত বিবাদী তার বন্ধু জনৈক সাকিব ও আরো এক জন সহ ইজিবাইক যোগে ভিকটিমকে নিতে পাঠায়। ভিকটিম উক্ত বিবাদীর কথামতো তাদের সাথে ইজিবাইকে করে খালভাঙ্গা গ্রামস্থ নদীর পাড় নামক নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করা উক্ত বিবাদীর কাছে গেলে তার বন্ধুরা ভিকটিমকে রেখে চলে আসলে উক্ত বিবাদী অনুমান রাত ০৯.৪৫ ঘটিকায় ভিকটিমকে জোর পূর্বক ধর্ষন করে।

২ এপিবিএন এর সাইবার ইউনিট এপিবিএন হেডকোয়ার্টার্সের সিআইএ শাখার উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় উক্ত বিবাদীর অবস্থান সনাক্ত করে এবং সাইবার টিমের (মেটা-১/২/৩) এসআই(নিঃ) মোঃ জামাল হোসেন সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ ইং ০৫/০৯/২০২৩ তারিখ ২২.১৫ ঘটিকায় শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থানাধীন খালভাঙ্গা গ্রামস্থ জনৈক মোঃ চাঁন মিয়ার বাড়ীর সামনে হতে বিবাদী লাভলু আহম্মেদ কে আটক পূর্বক ভিকটিমকে উদ্ধার করে পরবর্তীতে আটককৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে নালিতাবাড়ী থানা হেফাজতে দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে নালিতাবাড়ী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান