জি-২০ তে অংশ নিতে নয়াদিল্লি যাচ্ছেন আরিফুর রহমান

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনকে সামনে রেখে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি চলছে। ভারতের সভাপতিত্বে চলতি মাসের ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনে অংশ নিতে নয়াদিল্লি যাচ্ছেন দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকা সিনিয়র সাংবাদিক আরিফুর রহমান। ভারত সরকারের আমন্ত্রনে আগামীকাল (৭ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার সকালে হযরত ঢাকা হযরত শাহ্‌জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে “ভিস্তারা এয়ারলাইন্স”
বিমানযোগে দিল্লি পৌছাবেন।
দিল্লির প্রগতি ময়দানে আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ও শক্তিধর দেশের নেতারা অংশ নেবেন এই সম্মেলনে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ একের পর এক অতিথি এসে পৌঁছাবেন বৃহস্পতিবার রাত থেকে। এই সম্মেলনের জন্য দিল্লির প্রগতি ময়দানকে নতুন করে গড়ে তোলা হয়েছে।

ভারতে প্রথমবারের মতো জি–২০ সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে। সম্মেলন উপলক্ষে নতুন রূপে সাজানো হয়েছে নয়াদিল্লিকে। নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মাঠে নামানো হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য। নিরাপত্তার খাতিরে রয়েছে ড্রোন–বিরোধী ব্যবস্থা। দিল্লির বানরের দলগুলোকে ঠেকাতেও নেওয়া হয়েছে অভিনব সব কৌশল।

জি–২০ জোটের বর্তমান সদস্য আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

বিশ্বের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৮০ শতাংশই এই জোটের দখলে। আর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশের সঙ্গে জড়িত জি–২০ দেশগুলো। জি–২০–এর এবারের সম্মেলনের সভাপতিত্ব করছে ভারত। এ সম্মেলনে আলোচনার বিষয়বস্তুগুলো হলো বহুপক্ষীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আরও ঋণের ব্যবস্থা করা, আন্তর্জাতিক ঋণকাঠামোর সংস্কার, ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে নীতিমালা তৈরি এবং খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাব।

বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানরা আসছেন দিল্লিতে। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির রাজধানীকেও তাই সাজানো হয়েছে নতুন করে।

কুয়েত বিমানবন্দরে ১৯৯ কেজি চ্যুইং তামাকসহ চার বাংলাদেশি গ্রেফতার

কুয়েত বিমানবন্দরে ১৯৯ কেজি চ্যুইং তামাকসহ চার বাংলাদেশি গ্রেফতার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিপুল পরিমাণ চ্যুইং তামাকসহ চার বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুটি পৃথক ঘটনায় এই চার বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছেন দেশটির কাস্টমস অফিসাররা। চলতি সপ্তাহে কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিপুল পরিমাণ চ্যুইং তামাকসহ চার বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ঘটনা দুটি চলতি সপ্তাহের। প্রথম ঘটনায় একজন বাংলাদেশি যাত্রীর কাছ থেকে ৪০ কেজি চ্যুইং তামাক উদ্ধার করা হয়। এরপর বাংলাদেশের আরও তিন যাত্রীকে ১৫৯ কেজি চ্যুইং তামাকসহ আটক করা হয়। দুটি ঘটনায় মোট ১৯৯ কেজি তামাক জব্দ করা হয়েছে।

জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্‌টমস জানিয়েছে, নিষিদ্ধ উপকরণের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কুয়েত প্রশাসন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সমস্ত প্রবেশ বন্দরে কাস্টমস কর্মকর্তারা সতর্কতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করছেন। কুয়েতে পান, তামাক ও জর্দা জাতীয় দ্রব্য বাজারজাতকরণ, কেনাবেঁচা সম্পূর্ণ নিষেধ। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছু প্রবাসী অবৈধভাবে এসব চোরাচালান করে থাকেন। অনেকেই দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে শাস্তি হিসেবে জেল-জরিমানাসহ কুয়েত থেকে চিরতরে বিতাড়িতও হয়েছেন।

রোববার (২০ জুলাই) কুয়েত জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্‌টমস এক ঘোষণায় জানায়, নিষিদ্ধ পণ্যের চোরাচালান রোধে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে তারা কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চার নম্বর টার্মিনাল (টি৪) থেকে এই বিপুল পরিমাণ চ্যুইং তামাক জব্দ করেছে। বিমানবন্দর শুল্ক বিভাগ গ্রেফতার চার বাংলাদেশির বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। চ্যুইং তামাক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত আরও সন্দেহভাজনদের খুঁজে বের করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে অভিযান চলছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম