সোসাইটি অব জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন গোলাপগঞ্জ শাখার উদ্যোগে গুণিজন সংবর্ধণা

 

আর কে রুবেল

সোসাইটি অব জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন গোলাপগঞ্জ উপজেলা শাখার উদ্যোগে সমাজের উন্নয়নে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য গুণীজন সম্মাননা ক্রেস প্রদান অনুষ্ঠান গত ২০ অক্টোবর গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
সোসাইটি অব জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন গোলাপগঞ্জ উপজেলার সভাপতি ছালিক আহমদের সভাপতিত্বে ও সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক বাবুল খান মুন্নার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট বিভাগ ও জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান, গোলাপগঞ্জ পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম। প্রধান বক্তা বক্তব্য রাখেন সোসাইটি অব জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি কালিমুল্লাহ ইকবাল। বিশেষ অথিতির বক্তব্য রাখেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক, কান, গলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ নুরুল হুদা নাইম, লন্ডন মহানগর যুবলীগের সভাপতি তারেক আহমদ। বক্তব্য রাখেন, সোসাইটি অব জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন সিলেট জেলার সভাপতি ও প্রথম সিলেট পত্রিকার সম্পাদক আমিনুল হক, কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক কামাল খান, ৩নং ফুলবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হানিফ খাঁন, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামিলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক, আবু সুফিয়ান আজম,সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন সিলেট জেলা সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকন,নিরাপদ সড়ক চাই গোলাপগঞ্জ উপজেলার সভাপতি মোহাম্মদ ইলিয়াস বিন রিয়াছত প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব রাখেন সোসাইটি অব জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন সিলেট জেলার সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফখরুল ইসলাম। শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা আব্দুল হাছিব।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সোসাইটি অব জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ইসমাইল হোসাইন, সিলেট জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক শাহান উদ্দিন নাজু, বুধবারি বাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুস্তাক আহমদ, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি ছাদেক আহমদ, সোসাইটি অব জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন সিলেট জেলার উপদেষ্টা আফতার হোসেন,সদস্য আব্দুস সামাদ আজাদ, গোলাপগঞ্জ উপজেলার উপদেষ্টা কামাল উদ্দিন, আব্দুল করিম, ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের মহিলা পৌরসভার কাউন্সিলর শেফা বেগম, নিরাপদ সড়ক চাই গোলাপগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক দেলোওয়ার আহমদ, সাবেক গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি সুয়েদুর রহমান সুয়েদ, গোলাপগঞ্জ সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয় রায় হিমেল,মানবাধিকারকর্মী সাংবাদিক দাঁড়া খাঁন, সোসাইটি অব জতীয় গণমাধ্যম কমিশন গোলাপগঞ্জ উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ সভাপতি হেলাল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম আহমদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক চেরাগ আলী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক তাবারক আলী, দপ্তর সম্পাদক মিলাক আহমদ, সহ দপ্তর সম্পাদক রেদওয়ান আহমদ, প্রচার ও মিডিয়া বিষয় সম্পাদক মোহাম্মদ হেলাল আহমদ, সহ প্রচার ও মিডিয়া বিষয়ক সম্পাদক লায়েক আহমন,অর্থ বিষয় সম্পাদক সুজন আহমদ,সহ অর্থ বিষয় সম্পাদক মইনুল ইসলাম, আইন বিষয় সম্পাদক আব্দুল আহাদ, দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয় সম্পাদক লায়েক আহমদ, পরিবেশ বিষয় সম্পাদক মুক্তার আহমদ, সাংস্কৃতি বিষয় সম্পাদক বোরহান উদ্দিন রাসেল, সদস্য মুজিবুর রহমান, জুবের আহমদ, বাবুল রঞ্জন দাস প্রমুখ। এ সময় আরো বিভিন্ন জায়গা থেকে সাংবাদিকবৃন্দ, বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ, শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম বলেন, আমাদের সমাজে অনেক ভালো প্রতিভা লুকিয়ে আছে, শুধুমাত্র মিছিল মিটিং, বক্তব্য বা অনুদান দিয়ে এই সমাজকে পরিবর্তন বা উন্নয়ন করা যায় না। আগে সেই প্রতিভাগুলো বিকশিত হওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। তাহলেই সমাজের উন্নয়ন হবে। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা হলেন এই সমাজের মুল চালিকা শক্তি। আপনারাই পারেন লেখনি শক্তি কে কাজে লাগিয়ে এ সমাজকে উন্নয়নের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে। তিনি বলেন, সমাজের উন্নয়নে কাজ করতে হলে নিজের ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে।

সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করেনি, ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গেছে

স্টাফ রিপোর্টার: 

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় দেশে ইন্টারনেট বন্ধ নিয়ে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নানা বক্তব্য ও তৎকালীন সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে বিতর্ক এখনো চলছে। তদন্তে তার দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আবার তিনি নিজেও ইন্টারনেট বন্ধের ব্যাপারে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন যখন তুঙ্গে, এমন সময় পুরো দেশকে ইন্টারনেটবিহীন করে জুনাইদ আহমেদ পলক ডেটা সেন্টারে আগুন, সাবমেরিন কেব্‌লের তার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াসহ নানা কথা বলেন। সে সময় সরকারিভাবে জনগণের ফোনে বার্তা পাঠানো হয়, ‘সন্ত্রাসীদের আগুনের কারণে ডেটা সেন্টার পুড়ে যাওয়া এবং আইএসপির তার পুড়ে যাওয়ার কারণে সারা দেশে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত, মেরামত করতে সময় লাগবে।’

মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ প্রসঙ্গে ১৮ জুলাই জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক জাতীয় ও নাগরিক নিরাপত্তার কথা বলেছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো সহযোগিতা করলে সরকারকে কঠোর অবস্থানে যেতে হতো না বলেও সেদিন তিনি বলেছিলেন।

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও ১৮ জুলাই রাত ৯টা থেকে বন্ধ হয়ে যায়। এ বিষয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক ১৮ জুলাই বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অগ্নিসংযোগের কারণে মহাখালীতে অবস্থিত ডেটা সেন্টার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা বলেছেন। এ ছাড়া সারা দেশে শত শত কিলোমিটার ফাইবার কেব্‌ল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

গত ২৭ জুলাই সাবেক প্রতিমন্ত্রী আগারগাঁওয়ের ডাক ভবনে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, মহাখালীতে তিনটা ডেটা সেন্টারে আইএসপিদের (গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান) ৭০ শতাংশ সার্ভার থাকে। দেশের ৩৪টি আইআইজির (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) মধ্যে ১৮টির ডেটা এই তিনটি ডেটা সেন্টারে হোস্ট করা। সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করেনি। ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গেছে। এমনকি গত ২৩ জুলাই মহাখালীতে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে গিয়েও তিনি বলেছিলেন, অগ্নিসংযোগের কারণে ডেটা সেন্টার পুরোপরি বন্ধ হয়ে যায়। তখন তারা ইন্টারনেট বন্ধ করতে বাধ্য হন।

তবে ২৮ জুলাই জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ পুরোপুরি ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন ছিল না। সরকারের কেপিআইভুক্ত যেসব প্রতিষ্ঠান ও জরুরি সেবা রয়েছে, সেখানে সব সময়ই ইন্টারনেট চলমান ছিল বলে জানিয়েছিলেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পরিকাঠামোতে ইন্টারনেট যুক্ত রাখা হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমরা কখনোই ইন্টারনেট বন্ধ রাখার পক্ষে না। আমরা কোনো অ্যাপ বন্ধ রাখি না।’

ইন্টারনেট বন্ধ ছাড়াও সামাজিক যোগযোগমাধ্যম টানা ১৩ দিন বন্ধ ছিল। প্ল্যাটফর্মগুলো চালু না হওয়া প্রসঙ্গে জুনাইদ আহ্‌মেদ বলেছিলেন, ফেসবুক কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল আচরণ ও দেশের আইন মেনে চললে চালু হবে; কিন্তু তিনি নিজে ফেসবুক থেকে শুরু করে প্রায় সব মাধ্যমেই সক্রিয় ছিলেন।

এদিকে, বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) জুনাইদ আহমেদ পলককে একদিনের জিজ্ঞাসাবাদ করে আইসিটির তদন্ত সংস্থা।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের কথা জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সারাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। জিজ্ঞাসাবাদে ট্রাইব্যুনালকে এ স্বীকারোক্তি দিয়েছেন পলক।

তিনি আরও বলেন, আন্দোলনের সময় গণহত্যার তথ্য বিশ্বের কাছ থেকে আড়াল করতে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়।

গণঅভুত্থানের ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়ে জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেছিলেন, ডেটা সেন্টারে আগুন, সাবমেরিন কেবলের তার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। তার এসব তথ্যও অসত্য ছিলো বলে জানান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

এর আগে হত ১৩ আগস্ট ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ে পুরো দেশ ইন্টারনেটবিহীন করে রেখেছিল বিগত সরকার। ওই সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক ইন্টারনেট বন্ধ নিয়ে ডেটা সেন্টার পুড়ে যাওয়াসহ নানা গল্প ফেঁদেছিলেন। আদতে তেমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তিনি নিজে, বিটিআরসি ও এনটিএমসি ইন্টারনেট বন্ধে জড়িত। পলক ডেটা সেন্টারের ঘটনা প্রচার করে জাতির সঙ্গে মিথ্যাচার করেছেন।

 

সবা:স:জু- ৪১৯/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের