গুলশানে ২টি সহ রাজধানীতে স্পার নামে অশ্লীলতা, অসামাজিক কার্যকলাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক॥
‘আওয়ার থেরাপিস্ট ইজ ইয়াং… অ্যান্ড সো হট।’ বাংলায়, ‘আমাদের থেরাপিস্টরা কচি এবং খুব আকর্ষণীয়।’ গুলশানের অ্যারোমা থাই স্পা’র প্রিন্ট বিজ্ঞাপন এটি। নিজেদের ফেসবুক পেজে স্পন্সর বিজ্ঞাপন হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির প্রচারণা এমন!

বিজ্ঞাপনটিতে গ্রাহকদের দুই ধরনের ম্যাসেজ দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ‘নুরু ম্যাসেজ’ ও ‘বডি টু বডি ম্যাসেজ’। আরও লেখা আছে, ‘উই হ্যাভ নিউ ফোর গার্লস (আমাদের সংগ্রহে নতুন চারটি মেয়ে আছে)।’

ম্যাসেজ পার্লারের এমন বিজ্ঞাপনে ম্যাসেজ ছাড়াও স্পষ্টভাবে অন্যকিছুর ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছে! ভালো করে লক্ষ্য করলে বোঝা যায়, বিজ্ঞাপনে ‘নুরু ম্যাসেজের’ কথা উল্লেখ রয়েছে। নুরু ম্যাসেজ বলতে শরীরের সংবেদনশীল ও স্পর্শকাতর জায়গাগুলোতে ম্যাসেজ করা বোঝায়, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে জনপ্রিয়। ‘বডি টু বডি ম্যাসেজ’ তার চেয়েও ভয়ংকর, এটি অনেকেরই জানাৃ।

শুধু অ্যারোমা নয়, ঢাকা শহরে তাদের মতো প্রায় ডজনখানেক স্পা সেন্টার অশ্লীল বিজ্ঞাপন আর মেয়েদের প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশে বডি ম্যাসেজের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অথচ তাদের কাছে নেই কোনো বৈধ কাগজ কিংবা ট্রেড লাইসেন্স। সিটি কর্পোরেশনের কাছ থেকে হোটেল, বিউটি পার্লার, সেলুন আর ব্যায়ামাগারের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে চলছে এ ব্যবসা, চলছে অশ্লীলতা।

পরিচয় গোপন করে সেবাগ্রহীতা সেজে কথা হয় গুলশানের স্পা জোন’র কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানের সঙ্গে। গুলশান-১ এর ডিসিসি মার্কেটের বিপরীতে একটি ভবনে সেন্টার তাদের। কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এখানে বয়সভিত্তিক বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১০-১২ জন মেয়ে দিয়ে ম্যাসেজ করানো হয়। বয়স ছাড়াও ম্যাসেজে পারদর্শী ও অপারদর্শীদের আলাদা ক্যাটাগরি রয়েছে। ইউনিভার্সিটিপড়ুয়া কম বয়সী মেয়েরাও আছে। যদি কেউ প্রশিক্ষিত মেয়েদের নিয়ে সারা শরীর ম্যাসেজ করাতে চান তাহলে খরচ পড়বে ঘণ্টাপ্রতি ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা। যদি এক ঘণ্টা ফুল কাজ করেন তাহলে পড়বে পাঁচ হাজার। ভালো ক্যাটাগরির আকর্ষণীয় মেয়েদের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় ছয় থেকে সাত হাজার পড়বে।’
পুলিশের ঝামেলা হবে না তো? জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘কোনো সমস্যা নাই, আমাদের সব বৈধতার কাগজ আছে। আমরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করি, নিয়মিত মাসোয়ারা দেই। কোনো সমস্যা নাই।
কথা হয় গুলশানের ব্লু ট্যারেস স্পা নামের একটি স্পা অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারের কর্মকর্তার সঙ্গে। তারা সিটি কর্পোরেশনের কাছ থেকে বিউটি সেলুনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে পরিচালনা করছে ম্যাসেজ সেন্টার, করছেন অসামাজিক কার্যকলাপ!
ওই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ‘ভালো মেয়েদের দ্বারা’ বডি ম্যাসেজ করা হয়। ঘণ্টায় তিন থেকে চার হাজার টাকা লাগে। এখানে ‘ফুল কোর্সও’ রয়েছে, রেট সাত থেকে ১০ হাজার টাকা।
একই চিত্র গুলশান-বনানী এলাকার গুলশান সেলুন অ্যান্ড স্পা, লেটস রিল্যাক্স স্পা, ঢাকা গুলশান স্পা, ফেমাস স্পা’র। অশ্লীলতার ইঙ্গিত দিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি করে তরুণ ও বয়স্ক পুরুষদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

ঢাকা গুলশান স্পা’র একটি বিজ্ঞাপনে স্পা’র সঙ্গে ‘কমপ্লিট ফান’র ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পোস্ট করা হয়েছে অশ্লীল ভিডিও।
এর আগেও বেশ কয়েকবার স্পা’র নামে ব্ল্যাকমেইলের ঘটনা ঘটিয়েছে কয়েকটি স্পা সেন্টারে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে স্পা’র নামে অসামাজিক কাজ করে তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। ২০১৮ সালের অক্টোবরে গুলশান ও বনানী এলাকার ডব্লিউ বিউটি অ্যান্ড স্পা, মহাখালী ডিওএইচএস-এর ফনিক্স হেলথ কেয়ার, গুলশানের হোয়াইট বিউটি সেলুন অ্যান্ড স্পা সেন্টার এবং ডায়মন্ড বিউটি অ্যান্ড স্পা’য় অভিযান চালিয়ে ৪০ জনকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাদের বিরুদ্ধে তরুণীদের দিয়ে স্পা করানোর পর সেসময়ের ছবি ধারণ করে পরবর্তীতে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অভিযোগ ছিল।
পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) এ প্রসঙ্গে বলেন, বিউটি পার্লার বা হোটেলের আদলে কেউ যাতে অসামাজিক কার্যকলাপ না করতে পারে সেদিকে নজর রাখছে পুলিশ। এছাড়া এসবের দ্বারা কেউ যাতে ব্ল্যাকমেইল বা হয়রানির শিকার না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।
গুলশানে ২টি স্পা সেন্টারের আড়ালে চলছে অবৈধ দেহ ব্যবসা!
কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত স্পা সেন্টার গুলোর অবৈধ কর্মকা-। যেখানে প্রতিনিয়ত চলছে স্পা বা বডি মেসেজ এর নামে দেহ ব্যবসা।
সম্প্রতি গুলশানে এমন দুইটি স্পা সেন্টারের নাম উঠে এসেছে, যারা অজানা ক্ষমতাবলে চালিয়ে যাচ্ছে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে পতিতাবৃত্তি সহ অসামাজিক কার্যকলাপ। রোড-২৩/এ, হাউজ নং-১, এল-১ এর স্পা। রোড-৪১, হাউস-৭, এল-১ এর ঋরা স্পা।
গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এই দুইটি স্পা সেন্টারের সম্পর্কে জানা যায়, বডি মেসেজের নাম করে স্কুল-কলেজ ও ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া মেয়ে সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন বয়সী নারীদের একত্রিত করে দেহ ব্যবসা পরিচালনা, যৌন শোষণ, নিপীড়নমূলক কাজ করা হয়। যার মূল উদ্দেশ্য থাকে গ্রাহকের সাথে যৌন সম্পর্কে সৃষ্টির মাধ্যমে টাকা উপার্জন করা। এমনকি স্পা সেন্টার গুলোতে থাকে মাদকের ব্যবস্থা। যেখানে বিভিন্ন পর্যায়ের পুরুষ গ্রাহকরা খুব সহজেই টাকার বিনিময়ে পেয়ে যায় মাদকের নিরাপদ আখড়া। যা কিনা সামাজিক অবক্ষয়ের অন্যতম কারণ।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, আমাদের সব বৈধতার কাগজ আছে। আমরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করি, এবং নিয়মিত মাসোহারা দেই।

কিন্তু সরোজমিনে প্রতিবেদক তথ্য সংগ্রহের জন্য ঐ দুইটি স্পা সেন্টারে গেলে একটি স্পা সেন্টার সমঝোতা করার কথা বলে, এছাড়া স্পা’ নামক সেন্টারের মালিক জামান ও ম্যানেজার আসাদ কোন প্রকার তথ্য দিতে অস্বীকার করে প্রতিবেদককে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এবং স্পা সেন্টার থেকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে।

এই বিষয়ে গুলশান থানার ওসি বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত এই ধরনের অবৈধ প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি এবং কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মামলাও দিয়েছ। তাছাড়া এই ধরনের অবৈধ ব্যবসা কাউকে চালাতে দেওয়া হবে না।

 

বর্তমান সরকারের ভিশন দেশের অগ্রগতিঃ বিআইডব্লিউটিএর জামায়াত কর্মকর্তা ছাইদুরের ভিশন দূর্নীতি

স্টাফ রিপোর্টারঃ
সর্বজনস্বীকৃত দূর্নিতিবাজ ছাইদুর রহমানের রহস‍্যময় আত্বজীবনী এবং উণ্হান কাহিনীঃ

গ্রামঃ মুক্তারামপুর(ত্রিমোহনী) ডাকঘরঃ খলিলগঞ্জ, ইউনিয়নঃ ত্রিমোহনী,থানা ও জেলাঃ কুড়িগ্রাম। মৃত আনিসুর রহমানের হতদরিদ্র পরিবাবের ছেলে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী(ড্রেজিং) মোঃ ছাইদুর রহমান। অন‍্যের বাড়িতে ছাত্রজীবনে লজিং মাষ্টার থেকে যিনি লেখাপড়া করেছেন। চাকুরী জীবনের মাত্র কয়েক বছরে সেই হতদরিদ্র ছাইদুর রহমানের আলাদিনের চেরাগ পাওয়ার ভয়ংকর দূর্নিতীর কাহিনীঃ

২০০৩ সালে সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে বিআইডব্লিউটিএ যোগদান। মাত্র ১২ বছর চাকুরীকালে নির্বাহী প্রকৌশলী,তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বর্তমানে পরিচালক আইটি সেল। পাশাপাশি ধারাবাহিক ভাবে প্রায় ১০,০০০(দশ)হাজার কোটি টাকার ৪ টি ড্রেজিং প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক। ২৪ নৌ পথ ড্রেজিং কাজে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা আত্বসাতের অভিযোগে ১। মোঃ ছাইদুর রহমান,অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক,বিআইডব্লিউটিএ।
২। মোঃ দিদার এ আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী ড্রেজিং,বিআইডব্লিটিএ।
৩। মোঃ মাহফুজুর রহমান,সহকারী প্রকৌশলী, ড্রেজিং, বিআইডব্লিউটিএ।
৪। মোঃ নজরুল ইসলাম,উপ সহকারী প্রকৌশলী,ড্রেজিং,বিআইডব্লিউটিএ। নামে ময়মনসিংহ জেলা সম্বনিত দূর্নিতী দমন কার্যালয়ে উপ পরিচালক মোঃ আবুল হোসেন এর অধীনে তদন্ত চলছে।
বিশ্বস্হসূত্রে জানা যায়, বিপুল অংকের টাকা লেনদেনের মাধ‍্যমে ছাইদুর রহমান এই অভিযোগ হতে অব‍্যাহতি পাওয়ার জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। বিএনপি -জামাতের এই সকল কর্মকর্তা বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্প হতে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে আওয়ামীলীগ সরকারের ভাবমুর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন করিতেছে। এ প্রকল্প ছাড়াও জনাব ছাইদুর রহমানের নামে মাদারীপুর- চরমুগুরিয়া-টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ নৌপথ খনন শীর্ষক ড্রেজিং প্রকল্প, নাটোরের আত্রাই ড্রেজিং প্রকল্প, এবং অভ‍্যান্তরীন নৌপথের ৫৩ টি রুটে ক‍্যাপিটাল ড্রেজিং(১ম পর্য‍্যায়ঃ ২৪ টি নৌ পথ) ২য় সংশোধিত শীর্ষক প্রকল্প, এবং ১২টি নৌ পথ খনন প্রকল্পের টাকা আত্বসাত সহ অবৈধ‍্য সম্পদ অর্জনের জন‍্য স্ত্রী শামীমা আক্তার সহ তার নামে তদন্ত চলছে। প্রতিটি তদন্তেই এই মহা দূর্নিতিবাজ ছাইদুর রহমান অদৃশ‍্য ক্ষমতা এবং অবৈধ‍্য টাকার জোরে পার পেয়ে যাচ্ছেন। দুর্নীতির এই টাকা দিয়ে ছাইদুর রহমান ঢাকায় বনশ্রী, রামপুরা, সিদ্ধেশরী,শান্তনগর,বসুন্ধরা,মালিবাগ এলাকায় বিলাস বহুল ফ্লাট ও প্লট ক্রয় করেছেন। তার স্ত্রী ও নিজ নামে, মানামা এমডব্লিউ হাইটস ২৫/২ খিলগাও,ঢাকা ঠিকানায় মানামা ডেভেলপার কোম্পানি হতে ক্রয়কৃত ৬০০০ বর্গফুটের বিলাস বহুল ফ্ল‍্যাট রয়েছে। মৌজা বরপা রুপগঞ্জ ঢাকা এলাকায় ক্রয়কৃত জমি ৪৫ শতাংশ। নামে বেনামে ব‍্যাংক বীমা লীজিং কোম্পানিতে রয়েছে শতকোটি টাকা।এছাড়াও কুড়িগ্রাম, রাজিবপুর এলাকায় নামে বেনামে ক্রয় করেছেন শতশত একর জমি। মোঃ সিরাজুল ইসলাম ভূইয়া উপ পরাচালক প্রশাসন বিআইডব্লিউটিএর এর সাথে রয়েছে ছাইদুর রহমানের রিয়েল এষ্টেটের শতকোটি টাকার ব‍্যবস‍া। এ শতশত কোটি টাকার উৎস কোথায়??. আওয়ামীলীগ সরকার বিরুধী কর্মকান্ডে ছাইদুর রহমান বিএনপি -জামায়াত সংগঠনকে বিপুল পরিমান টাকা যোগান দিচ্ছেন। তার চাকুরী জীবনের স্বল্প গড়িমায় তিনি একের পর একটা বড় বড় ড্রেজিং প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হয়েছেন। বর্তমানেও তা অব‍্যাহত রয়েছে। দূর্নিতীতে বিশেষভাবে পারদর্শী, তাই নৌপরিবহন মন্রনালয়ের একটি সংঘবদ্ধ চক্র অসৎ উদ্দেশ‍্য ছাইদুর রহমান কে প্রকল্প পরিচালক বানায়। ছাইদুর রহমান নিজ হাতে ২০১৬ সালে বলাকা জুয়েলার্স ১৩/৪ চাঁদনী চক মার্কেট ঢাকা ভাউচার নং ০১৪,তারিখঃ ৭/৫/২০১৬,টাকা=১২,৩৮,৫৬৬/ বলাকা জুয়েলার্স, ১৩/৪,চাঁদনী চক মার্কেট ঢাকা,ভাউচার নং ০২৫ তারিখঃ ২৫/৫/২০১৬ টাকা= ১৪,৮৭,৭০৪/এবং বলাকা জুয়েলার্স,১৩/৪, চাঁদনী চক ঢাকা,ভাউচার নং ০৩৪,তারিখঃ ১৫/৬/২০১৬ টাকা=৯,৭৭,৫৯৫/ স্বর্ন বিক্রয়ের ভূয়া বিল ভাউচার তৈয়ারী করে২০১৬-২০১৭ কর বর্ষে টিন নং-৬১৯৪৬১৫৭১২৬৩(বৈতনিক) কর অঞ্চল-০২ ঢাকা নথিতে প্রায় এক কোটি টাকা দেখিয়ে দূর্নিতির মাধ‍্যমে উপার্জিত কালো টাকা সাদা করেছেন। অথচ ভূয়া ভাউচারের এই স্বর্নের দোকানের কোন সন্ধান এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। তদন্ত ও প্রমানের জন‍্য অভিযোগপত্র এবং স্বর্ন বিক্রয়ের ভূয়া বিল ভাউচারের কিছু কপি সংযুক্ত করা হলো। এব‍িষয়ে তার বিরুদ্ধে স্বারক নং-০০.০১.০০০০.৫০১.০১.০৪০.২০/১৯২৮১/১(২) তারিখঃ ১৬/০৯/২০২০ ইং উপ পরিচালক সালাহউদ্দিন অনুসন্ধানকারী তদন্ত কর্মকর্তা,দূর্নিতী দমন কমিশন,প্রধান কর্যালয়-১ সেগুন বাগিচা ঢাকায় তদন্ত চলছে প্রায় তিন বছর যাবত। মাদারীপুর -চরমুগুরিয়া -টেকেরহাট -গোপালগঞ্জ প্রকল্পে টাকা আত্বসাতের জন‍্য ২০১০-২০১১ হতে ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে ড্রেজিং কাজে অনিয়মের জন‍্য স্বারক নং দুদক/অনুঃ ও তদন্ত-১/অনুঃ ২৩৮/ঢাকা/২১৪/২২৬৪৩/১(৭) দীর্ঘদিন যাবত অনুসন্ধান চলছে। এছাড়াও ফরিদপুর জেলা দূর্নিতী দমন কমিশনে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। সীমাহীন দূর্নিতি এবং অভিনব কায়দায় বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন‍্য তার বিরুদ্ধে নৌ পরিবহন মন্রনালয়ের স্বারক নং -১৮.০১৪.০২৭.০০.০০.০০২.২০১০.৭৭৫ তারিখঃ ২৪/১১/২০১৫ এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের টিএ শাখার স্বারক নং-১৮.০১৪.০২৭.০০০০.০০২.২০১০/৪২৭ তারিখ৭/৬/২০১৬ অভিযোগ গৃহিত হয়।নিয়মকে অনিয়মে পরিনত করা তার প্রধান কাজ। পিপিআর বিধি লংঘন করে OTM পদ্ধতিকে DPM পদ্ধতিতে রুপান্তর করে প্রতিটি ড্রেজিং কাজ তার পছন্দের নিদিষ্ট ঠিকাদারকে পাইয়ে দেয়ার জন‍্য ছাইদুর রহমানকে দিতে হয় ১০℅ টাকা। এছাড়াও প্রতিটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিল নিতে তার চাহিদা অনুযায়ী ৫℅ টাকা দিতে হয়। না দিলে ঠিকাদারকে নানাভাবে হয়রানি করেন। ইজিপি টেন্ডারের নামে তিনি দর এবং আইটেমে টেম্পারিং করার পাশাপাশি তার পছন্দের বিএনপি জামায়াত পন্হি ড্রেজিং প্রতিষ্ঠান যেমন, ওটিবিএল ড্রেজিং প্রতিষ্ঠান,নবারুন ড্রেজিং প্রতিষ্ঠান,এশিয়ান ড্রেজিং প্রতিষ্ঠানকে পূর্বেই টেন্ডারের রেট জানিয়ে তাদের কাজ পাইয়ে দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। এছাড়া বদলী নিয়োগ বানিজ‍্য তার অন‍্যতম নেশা। বিআইডব্লিউটিএর বার্ষিক বনভোজন, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উদযাপন, ২১শে ফেব্রুয়ারি, ৭ই মার্চ,২৬শে মার্চ, করোনা কালিন সময়ে মালামাল ক্রয় সহ জাতীয় প্রতিটি অনুষ্ঠানে ছাইদুর রহমান আহবায়ক ও পান্না বিশ্বাস সদস‍্য সচিব হয়ে বিআইডব্লিউটিএর ফান্ডের টাকা এবং বিভিন্ন ড্রেজিং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করে ভূয়া বিল ভাউচার প্রস্তত করে টাকা আত্বস্বাত করেছে। নৌপরিবহন মন্ত্রী,সরকারের জৈষ্ঠ‍্য নেতা, আমলা,তার এলাকার প্রাথমিক ও গন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এমপি এর নাম ব‍্যবহার করে চতুর ছাইদুর রহমান গড়ে তুলেছেন দূর্নিতীর সিন্ডিকেট। ছাইদুর রহমান বিআইডব্লিউটিএতে চেয়ারম্যান, সদস‍্যগন এবং বিভাগীয় প্রধানদের তোয়াক্কা করে না। তার সন্রাসী কর্মকান্ড হতে বিআইডব্লিউটিএর নিরীহ অসহায় কর্মকর্তা/কর্মচারীরা মুক্তিচায়। জামাতপন্হী এই ছাইদুর- সিরাজ গংদের খুটির জোর কোথায়??? । এত অভিযোগের পরও মহাদূর্নিতীবাজ ছাইদুর-সিরাজ গংদের কিছু হয় না। এতে প্রমানিত যে, দূর্নিতী দমন কমিশন সরকারের রাষ্ট্রযন্র এই মহাদূর্নিতিবাজ ছাইদুরের অবৈধ‍্য টাকার কাছে আত্ত্বসর্মপন করেছে। হীন চরিত্রের ছাইদুর রহমান তার বাবার মৃত নিয়ে ছলচাতুরি করেছে তার বাবা ২০২২সালে করোনায় মৃতবরন করেছে কিন্ত অসৎ উদ্দেশ‍্য তিনি তার বাবাকে ২০১৬-১৭ করবর্ষে মৃত দেখিয়ে আয়কর প্রদান করেছেন। তার প্রমান ২০১৬-২০১৭ করবর্ষের আয়কর প্রদানের বিবরন। ছাইদুর রহমানের মহাদূর্নিতির সামান্য কিছু খন্ডিত অংশ প্রকাশ করা হলো মাত্র। সঠিকভাবে তদন্ত করলে বিআইডব্লিউটিএর প্রকল্প হতে ছাইদুর রহমান কর্তৃক সাগর চুরির রসহ‍্য উদঘাটিত হবে। তিনি বর্তমানে ৫৫-৫৬ সিদ্ধেশ্বরী,৪/এ আমিনাবাদ হাউজিং সোসাইটিতে বসবাস করছেন। তাকে গোয়েন্দা নজরদারীতে রাখতে হবে। ধূর্ত ছাইদুর যেকোন মুহূর্তে দেশ ত‍্যাগ করে পারেন।

সরকারের সকল পর্য‍্যায়ের গোয়েন্দা সংস্হা কাজে লাগিয়ে ছাইদুর গংদের দূর্নিতী র প্রতিটি অভিযোগের সঠিকভাবে তদন্ত করে কঠোর ব‍্যবস্হা গ্রহনের জন‍্য বিআইডব্লিউটিএর সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারিরা জাতীর শেষ ভরসার স্হল, বঙ্গবন্ধু কন‍্যা, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছে। তাছাড়া বিআইডব্লিউটিএ দূর্নিতীমুক্ত করা সম্ভব নয়।প্রধান মন্ত্রী যখন বলেন এক প্রকল্পে একজন করে কর্মকর্তা কাজ করবেন সেখানে
একাই কয়েকটি প্রকল্পের পিডি,দুদকে তদন্ত চলছে থেমে নেই ছাইদুরের কমিশন বাণিজ্য। প্রকৌশলী রোকনের মতো যে কোন সময় পালিয়ে যেতে পারেন ছাইদুর।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের