সাড়ে ৯ বছর পর প্রমাণিত হলো মামলাটি মিথ্যা, বাদিকে গ্রেফতারের নির্দেশ!

রায়হান হোসাইন, চট্টগ্রামঃ

চট্টগ্রামে নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে হয়রানির পরিপ্রেক্ষিতে ওই মামলার বাদিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ ১৬ জানুয়ারি, রবিবার দুপুরে চট্টগ্রামের নারি ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. জামিউল হায়দার এ আদেশ দেন। এর আগে গত বছরের ৩১ অক্টোবর হয়রানি মামলার বাদি বিলকিছ বেগমের বিরুদ্ধে নারি ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারার ফৌজদারি অভিযোগে নগরের বায়েজিদ থানা আরেফন নগরের বাসিন্দা নুরুল হক মান্না নামের এক ভুক্তভোগীর পক্ষে মামলাটি দায়ের করেন সিনিয়র আইনজীবী মুজিবুল হক।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইনজীবী আয়েশা আক্তার।

এদিকে বিলকিছের সাজানো দায়ের করা মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২০ অক্টোবর মিথ্যা তথ্য দিয়ে নারি ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৪)(খ) ধারায় তিনজনকে আসামি করে নারি ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা করেন বায়েজিদ থানার আরেফিন নগর এলাকার আবু বক্কর ছিদ্দিক প্রকাশ বাম্পারের মেয়ে বিলকিছ বেগম(৩৫)। মামলায় আসামি ছিলেন নুরুল হক মান্না, একই এলাকার আবদুল ওহাবের ছেলে কাজী নজরুল ইসলাম(৭২) এবং আলী জহিরের ছেলে ওসমান গনি পুতু। মান্না উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন, বাকী দুইজন বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেন।

আইনজীবী আয়েশা আক্তার বলেন, আসামি বিলকিছ বেগম নারি ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৪)(খ) এর মত স্পর্শকাতর ধারায় মামলা করে বাদীসহ আরো দুই ব্যক্তিকে হয়রানি করেছেন। তারা দীর্ঘ সাড়ে ৯ বছর ওই মামলার ঘানি টেনেছেন। পরে তিনজনই নির্দোষ প্রমাণে খালাস পেয়েছেন। আমরা আদালতে বিষয়টি উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। পরে এই আইনের ১৭ ধারায় আনিত ভুক্তভোগীর অভিযোগ আদালত আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন।

নবীনগরে প্রেম সংক্রান্ত ঘটনায় প্রেমিকের পিতাকে ছুরিকাঘাত

 

বিপ্লব নিয়োগী তন্ময়, নবীনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।

বোনের সাথে প্রেম,মেনে নিতে পারেনি ভাই ও পরিবার।এক পর্যায়ে পালিয়ে যায় বোন।প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে বোনকে না পেয়ে প্রেমিকের পিতাকে
করে ছুরিকাঘাত। গুরুতর আহত অবস্থায় নেয়া হয় হাসপাতালে।এই ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে আটক করেও মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে।ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়,দীর্ঘদিন ধরে নবীনগর পৌর এলাকার আলমনগরের আবুল হোসেনের মেয়ে ভাদুরঘর মাদ্রাসা পড়ুয়া বুশরার সাথে তারই ফুফাতো ভাই ইব্রাহিমপুর গ্রামের কামাল মিয়ার ছেলে সুমন মিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে,এতে করে বিগত কিছু দিন পূর্বে একে অপরের সাথে পালিয়ে যায়।ছেলে -মেয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় উভয় পক্ষের অভিবাবকগণ অনেক খুঁজাখুঁজি করে পেয়ে নিজ নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। এমনকি এ বিষয়ে নবীনগর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করে মেয়ে পক্ষ। বিষয়টি এক সপ্তাহ না গড়াতেই পূনরায় আবুল হোসেনের মেয়ে বুশরা তার মাদ্রাসা ভাদুঘর থেকে পালিয়ে যায়।এতে তার পরিবারের সন্দেহ হওয়ায় আবুল হোসেন,লাকি,শামসুন্নাহার, ওবায়দুল সহ আরো ৪/৫ জন বুশরা কে খুঁজতে কামাল মিয়ার বাড়িতে যায়।ঐখানে তাকে না পেয়ে বুশরার ভাই ওবায়দুল তার হাতে থাকা ছুড়ি দিয়ে কামাল মিয়ার বুকের বামপাশে ফুসফুসে বরাবর ২ টি ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। এতে কামাল মিয়ার অবস্থা মুমূর্ষু হলে নবীনগর সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়,ঐখানের কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীর অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় কুমিল্লা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেফার্ড করে। বর্তমানে তিনি মুমূর্ষু অবস্থায় কুমিল্লা চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এবিষয়ে কামাল মিয়ার মেয়ে রেখা জানান,আমার মামতো বোনেকে তাদের বাড়িতে খুঁজে না পেয়ে আমাদের বাড়িতে এসে কোন কিছু না জিজ্ঞাসা করে আমার মামতো ভাই ওবায়দুল ছুড়ি দিয়ে আমার আব্বাকে পরপর ২ টি আঘাত করে, পরে স্থানীয় লোকজন এসে আমার মামা আবুল হোসেন,লাকি,শামসুন্নাহার কে আটক করে নবীনগর থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।

কামাল মিয়ার স্ত্রী জানান,আমার ভাইয়ের ছেলে কোন কিছু না জিজ্ঞাসা করে আমার স্বামীকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়,থানায় অভিযোগ করেছি।সর্ব সম্মিতিক্রমে বিষয়টি সামাজিক ভাবে বসে আপোষ মিমাংসা করবে মর্মে আসামিদের ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে। আমার স্বামী সুস্থ হয়ে ফিরলে বিষয়টি নিয়ে বসব।

বুশরার পিতা আবুল হোসেন জানান, আমার বোনের ছেলে আমার মেয়েকে ভাগিয়ে নিয়ে আসলে আমরা পুলিশ দিয়ে উদ্ধার করি,পূনরায় ভাদুঘর মাদ্রাসা থেকে ভাগিয়ে নিয়ে আসে।এতে আমার ছেলে রেগে বাড়ি থেকে ইব্রাহিমপুর যায়।আমি চিন্তা করলাম আমার ছেলে যদি কোন ধরনের মারামারি করে তাই আমি পেছনে পেছনে আসি।এসে তাদের বাড়িতে চিল্লাচিল্লি শুনে ঢুকতেই আমাকে মারধর শুরু করে। আমার ছেলে এমন করবে আমি আমি বুজতে পারিনি।

নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান,প্রেম সংক্রান্ত বিষয়ে মারামারি হলে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় তিনজনকে আটক করে থানা নিয়ে আসা হলে উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে আসামিদের সামাজিক ভাবে বসে আপোষ মিমাংসা করবে মর্মে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে। অভিযোগ রয়েছে,যদি আপোষ মিমাংসা না হয় তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা পরবর্তীতে গ্রহণ করা হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের