আনসার অধিনায়ক আম্বার হোসেনের বিরুদ্ধে যত অনিয়মের অভিযোগ !

কাজল আক্তার :-

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নানা অনৈতিক কর্মকান্ড আর ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়মের কারণে মাঠ পর্যায়ের আনসার সদস্যদের মাঝে নানা অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা বলছেন, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সেচ্ছাচারিতার কোন জবাবদীহি না থাকার কারণে যা ইচ্ছা তাই করছে নিজ অধিনস্থ আনসার সদস্যদের সাথে। এতে চরম ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাধারণ সদস্যরা। জানা গেছে, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ঢাকা পশ্চিম জোনের অধিনায়ক আম্বার হোসেন গত দুই বছরে তিন বার বদলি হয়েও অদৃশ্য ক্ষমতার বলে এখনও চেয়ার ছাড়তে হয়নি তাকে। সেই অদৃশ্য শক্তির ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছে একই চেয়ারে এর ফলে নানা অনৈতিক অপকর্ম দুর্নীতিতে মেতে উঠেছেন এই কর্মকর্তা। দুর্নীতির মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন নিজ জেলা ও ডাকার আশপাশে অঢেল সম্পদের পাহার। সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ঢাকা পশ্চিম জোনের অধিনায়ক আম্বার হোসেনের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ হওয়ায় এতদিন দলীয় ক্ষমতার বলে বদলি হওয়া স্বত্ত্বেও চেয়ার ছাড়েনি এই কর্মকর্তা। অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। জানা গেছে, ঢাকা পশ্চিম জোনের সকল ক্যাম্পের আনসার সদস্যরা তার কর্মকান্ডে অসহায় হয়ে পরেছেন। কেউ তার অনৈতিক কর্মকান্ডে বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে বা সাহস করে কেউ কথা বলেছে তাকেই নানা ভাবে হয়রানি করা হয়েছে না হয় প্রত্যন্ত কোন এলাকায় তাকে বদলি করে দেয়া হয়।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন আনসার সদস্য বলেন, আমি চাকরিতে যোগদানের পর থেকেই দেখে আসছি ঢাকা পশ্চিম জোনের অধিনায়ক আম্বার হোসেন স্যার ছয় মাস পরপর সব আনসার সদস্যদের কাছ থেকে বদলি আটকানোর জন্য বিপুল পরিমানের ঘুষ বানিজ্য করে আসছে। কোন আনসার সদস্য তাকে টাকা না দিলেই তাকে প্রত্যন্ত কোন এলাকায় বদলি করে দেয়, আর যদি তাকে মোটা অংকের ঘুষ দেয় তাহলে তাকে বহাল রেখে ভালো কোন পোষ্টেই বহাল রাখে। সূত্রে আরও জানা গেছে, ঢাকার গুরুত্বপূর্ন কিছু জায়গা যেমন, নিউরো সাইন্স হাসপাতাল, শিশু হাসপাতাল, মেট্রোরেল, চিড়িয়াখানা, বোটানিক্যাল গার্ডেন, স্ট্রং হাউজিং, দুয়ারীপাড়া স্টেডিয়াম, বিআরটিএ এসব জায়গায় বদলি করার জন্য নূন্যতম ১ এক লক্ষ টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে থাকেন এই কর্মকর্তা। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা খুব শীঘ্রই এই ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ঢাকা পশ্চিম জোনের অধিনায়ক আম্বার হোসেনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করবেন বলে জানিয়েছেন অনেকে। এ সকল নানা অভিযোগে বিষয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ঢাকা পশ্চিম জোনের অধিনায়ক আম্বার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি “আজকের কাগজকে” বলেন, ‘আমি কোন অনিয়মের সাথে জড়িত নই’। ‘আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমার কর্মকান্তুর বিষয়ে সব কিছুই ভাল যানে’। অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন তিনি।

জোনের অধিনায়ক আম্বার হোসেনের নানা অনিয়মের বিষয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, এসজিপি, এনডিইউ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি সাথে টেলিফোনে একাধীকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। আম্বার হোসেনের অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদের বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আগামী পর্বের প্রতিবেদন দেখুন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সংবাদ বর্জনের ঘোষণা সাংবাদিকদের

 

বেনাপোল প্রতিনিধি :

গণমাধ্যমকর্মীদের কাজে অসহযোগীতা, অসস্মান ও অসৌজন্যমুলক আচারণের কারনে যশোরের শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশীর সবধরনের সংবাদ বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার সকালে গণমাধ্যমকর্মীরা একটি বৈঠকের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাতে সংবাদ বর্জনের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে কোন সংবাদ সংগ্রহের জন্য গেলে তার অফিস কক্ষে ঢোকার অনুমতি বা তথ্য প্রকাশে অনিহা করেন। নির্বাচনের সময় গণমাধ্যম কর্মীদের পর্যবেক্ষন কার্ড দিয়ে নানান ভাবে হয়রানি করেন।

এছাড়া এশিয়ান টিভির ১১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান অতিথী করে দাওয়াত দিলে তিনি গ্রহন করেন। তবে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দিনে তিনি সাংবাদিকদের দুই ঘন্টা অফিসের নিচে দাঁড় করিয়ে রেখে পরে জানান তিনি নিচে নামতে পারবেন না।

এখানে র‍্যালি হবেনা, কেক যদি অফিসে আনতে পারেন তবে কেটে দিচ্ছি। এদিন তার তেমন কোন গুরুত্বপূর্ন কাজ ছিলোনা তার পরেও অনুষ্ঠান নিয়ে এমন আচারণ মর্মহত করেছে গণমাধ্যম কর্মীদের।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান দেখবেন বলে আস্তত্ব করলেও গত ৩ দিনে এ নিয়ে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা উপজেলা প্রশাসনে সব ধরনের সংবাদ বর্জনের ডাক দেন।

শার্শা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইয়ানুর রহমান জানান, ২৫ বছর ধরে শার্শা উপজেলাতে সাংবাদিকতা করছি। উপজেলা প্রশাসন সাংবাদিক একে অপরের সহযোগীতা করেছি। তবে বর্তমান ইউএনও নয়ন কুমার রাজবংসীর মত এমন অসামাজিক কর্মকর্তা আগে দেখিনি।

বেনাপোল বন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ কাজিম উদ্দীন বলেন, বর্তমান নির্বাহী কর্মকর্তা অফিসের বাইরে বের হন কম। অফিসে বসে সময় পার করেন।।এতে নানা অনিয়ম বেড়েছে এলাকায়। আইন শৃঙ্খলার দারুন অবনতি হয়েছে। উন্নয়নের সার্থে এমন এউএনওকে প্রত্যাহার চাইছি।

সাংবাদিক নেতা আমিনুর রহমান জানান, এলাকার মানুষের সাথে মিলে মিশে উন্নয়নের সার্থে কাজ করবেন ইউএনও। কিন্তু তিনি মানুষের সাথে মিশতে চাননা। তার কাছে সব থেকে বেশি অবহেলার পাত্র সংবাদকর্মীরা। কাউকে মুল্যায়ন করেন না তিনি। এতে এলাকার সাধারন মানুষ, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক সবাই তার এমন আচারণে ক্ষুব্ধ।

দৈনিক প্রতিদিনের কথা পত্রিকার সাংবাদিক আনিছুর রহমান জানান, মানুষের সাথে যিনি মিশতে সংকোচ বোধ করেন তিনি কিভাবে শার্শার মানুষের অবিভাবক হবেন। আমরা এ উপজেলাতে একজন সামাজিক নির্বাহী কর্মকর্তা চাইছি।

বেনাপোল বন্দর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ও সময় টিভির স্টাফ রিপোর্টার আজিজুল হক জানান, দেশ আধুনিক থেকে স্মার্টের দিকে যাচ্ছে। প্রশাসন আর সাংবাদিক উভয়ের মধ্যে সমন্বয় না থাকলে সে উন্নয়ন মুলক কাজ ব্যহত হয়। ইউএনও নয়ন কুমার রাজবংশি পরস্পরের মধ্যে সুসম্পর্ক ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন।

সীমান্ত প্রেসক্লাব বেনাপোলের সেক্রেটারি ও আনন্দ টিভির প্রতিনিধি আইয়ুব হোসেন পক্ষী জানান, বিষয়টি সুরাহ না হওয়া পর্যন্ত উপজেলার সব সংবাদ বর্জন থাকবে। এর মধ্যে তার এমন আচারনের বিষয়ে (ইউএনও) দুঃখ প্রকাশ না করলে পরে মানবন্ধনসহ নতুন কর্মসুচী গ্রহন করা হবে।

এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অসৌজন্য মুলক এমন আচারণে ক্ষোভ জানিয়ে সংবাদ বর্জন ও প্রত্যাহারের পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন একুশে টেলিভিশন ও কালের কন্ঠ পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার জামাল হোসেন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের আব্দুর রহিম, এসএ টিভির শেখ নাসির উদ্দীন, চ্যানেল এস ও মানবজমিনের ইসমাইল হোসেন, গ্লোবাল টেলিভিশনের বেনাপোল প্রতিনিধি রাসেল ইসলাম, নাগরিক টিভির ওসমান গনি, এশিয়ান টিভির সেলিম আহম্মেদ, বাংলা টিভির আরিফুল ইসলাম, যায়যায় দিনের জিএম আশরাফ, দৈনিক লোকসমাজের প্রতিনিধি মবিরুল ইসলাম মনি, দৈনিক যশোর পত্রিকার প্রতিনিধি জসিম উদ্দিন, দৈনিক রানানের আরিফুর রহমান, গ্রামের কন্ঠ পত্রিকার জাহিদ হাসান, সাংবাদিক সুমন, ইকরামুল হোসেন, মেহেদী হাসান সহ উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
আমতলীতে সাংবাদিক ও শিক্ষককে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা প্রধানকে কেন বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বুয়েট শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়কে ওসাকা এক্সপো–২০২৫: কৃত্রিম দ্বীপে এ যেন এক টুকরা ফিলিস্তিন জেনেভা ক্যাম্পের মাদক সম্রাট বশির মোল্লার হাতে নাশকতার নীলনকশা বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকা চেয়েছে: আসিফ নজরুল রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার শিশুকে বাসায় নিয়ে ধর্ষণ, ট্রাফিক কনস্টেবল কারাগারে আবহাওয়া অফিস বৃষ্টি নিয়ে যে বার্তা দিলো মায়ের বিয়ের বেনারসি শাড়িতে জয়া আহসান