খালেদা জিয়ার ভাতিজা আসিফের ফেইসবুকে পোষ্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চাচাতো ভাই ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা জাহিদ হোসেন মজুমদারকে হত্যা করতে হামলা করেছিল স্টার লাইনের আলাউদ্দিন-জাফর। সহায়তায় ছিলেন দলের একাধিক নেতৃবৃন্দও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাবা (জাহিদ মজুমদার) উপর পরিকল্পিতভাবে হামলাকারীদের নিয়ে পোস্ট করেন খালেদা জিয়ার ভাতিজা জাহির হোসাইন মজুমদার আসিফ।

তাঁর লিখা ফেইসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো :

আমার বাবার নামঃ জাহিদ হোসেন মজুমদার।
ফেনী জেলার সর্বচ্চো করদাতা- ২০০৮।
আমার দাদা- মরহুম জামশেদ হোসেন মজুমদার।
এই খুনী #স্টারলাইন আলাউদ্দিন ও তার ভাই জাফর আমার বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায় #ফেনী ওয়াপদা মাঠে। তাকে সহযোগীতা করে তৎকালীন জেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন ফেনীর বিএনপির মহিলা এমপি-সহ এক গার্মেন্টস ব্যবসায়ী, এক পৌর মেয়র, এক আদম দালালসহ ফেনীর মাফিয়া সিন্ডিকেট ও ফেনী শহরের একটি বিশেষ পাড়ার সর্বদলীয় মাফিয়া সিন্ডিকেট। ওরা এখনও বিএনপির কেন্দ্রীয় ও জেলায় দলের বড়বড় পদবীতে বসে আছে একমাত্র এই স্টারলাইন গ্রুপের কালো টাকার দাপটে। সেদিন রাতে ফেনী-১ এর তৎকালীন এমপি সাঈদ চাচা বাড়িতে ফিরলে আমার বাবাকে কাঁদতে দেখে রেগে যান এবং এই ঘটনার পেছনের সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো পরবর্তীতে জানা যায় যে, ১/১১ দালাল জেনারেল মাসুদের শালী মিসেস নাসরিনের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় তৎকালীন জেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন ফেনীর বিএনপির মহিলা এমপি-সহ এক গার্মেন্টস ব্যবসায়ী, এক পৌর মেয়র, এক আদম দালালসহ ফেনীর মাফিয়া সিন্ডিকেট আমার বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্য ঐ হামলা করে। তারপর সাঈদ চাচা হতবম্ভ হয়ে যান এবং চাচা মারা যাবার আগে আমাকে বলেছিলেন যে, তোমাদের জন্য কিছু করতে পারিনি। ক্ষমা করে দিও।
সাঈদ চাচা মারা যাবার পর আমার বাবার নামে অসংখ্য মামলা দেয় ঐ সিন্ডিকেট, ১৮ বছর আমরা এলাকায় যেতে পারিনা। বর্তমানে ঐ সিন্ডিকেট ফেনীর বিএনপি নেতাদের ম্যানেজ করতে ব্যস্ত রয়েছে।
বেগম জিয়ার চাচাতো ভাই ও বিএনপি কর্মী হওয়াই কি আমাদের অপরাধ? আমরা তো কোন সুবিধাই নেইনি বেগম জিয়ার নাম ব্যবহার করে তাহলে কেন? ফেনী জেলার শ্রেষ্ঠ করদাতা হওয়া ও ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারায় তারা আমার বাবাকে হত্যা করতে চেয়ছিল। স্টারলাইন সিএনজি স্টেশনটির স্হান আমার বাবা বরাদ্দ নিয়েছিলো, কিন্তু ঐ মাফিয়া সিন্ডিকেট সেটি দখল করে বারিধারাকে দিয়ে চাপ দিয়ে। আরও অনেক ইতিহাস আছে এই মাফিয়াদের অপকর্মের। ফেনীবাসী সবই
জানে। সুস্হ তদন্তে সবই বের হবে। ফেনী জেলায় হাজার কোটি টাকার জমি দখলে এরা কত মানুষ খুন করেছে তার কোন হিসাব নেই। আমরা এর বিচার চাই। মাফিয়া মুক্ত ফেনী চাই।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। তারেক রহমান জিন্দাবাদ ॥

সম্পাদনায় : রিয়াদ।

বাঞ্ছারামপুর বার্তার সম্পাদককে হুমকীর প্রতিবাদে মানববন্ধন

বাঞ্ছারামপুর প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা থেকে প্রকাশিত পাক্ষিক বাঞ্ছারামপুর বার্তা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান (পামেন) কে হুমকীর প্রতিবাদে মানবন্ধন করেছে স্থানীয় সাংবাদিকরা। রবিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সম্প্রতি বাঞ্ছারামপুর উপজেলার নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের জের ধরে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের জনৈক নেতা সাংবাদিক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান পামেনকে দেখে নেয়ার হুমকী দেন। পরে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত ২২ নভেম্বর মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের বরাবর লিখিত আবেদন করেন তিনি। তারই প্রেক্ষিতে সাংবাদিক মনিরুজ্জামান পামেনের নিরাপত্তার দাবিতে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সাংবাদিকরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাঞ্ছারামপুর প্রেসক্লাবের আহবায়ক, দৈনিক ইত্তেফাক ও মাইটিভির বাঞ্ছারামপুর প্রতিনিধি এম এ আউয়াল, একাত্তর টিভির মো. বাহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের বাঞ্ছারামপুর উপজেলা শাখার সভাপতি ও সিএনএন টিভির আশিকুল ইসলাম, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির ফয়সল আহমেদ খান, দৈনিক আজকের পত্রিকার শাহীন আহমেদ সাজু, দৈনিক সমাচারের জহিরুল হক, দৈনিক ভোরের কাগজ জয়নাল আবেদিন, দৈনিক আলোকিত সকাল সেলিম রেজা, দৈনিক ভোরের পাতা জুনায়েদ আহমেদ তিতাস, দৈনিক দেশসেবা নাছিরউদ্দিন, দৈনিক ভোরের চেতনা মোল্লা মো. নাসির, দৈনিক ভোরের ডাক সুমন চক্রবর্তী, দৈনিক মুক্তখবর সফিকুল ইসলাম, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার মাহবুবুর রহমান, ডেইলি প্রেজেন্ট টাইম আনিছুর রহমান, দৈনিক সময়ের কণ্ঠ সাদ্দাম হোসেন, দৈনিক পরিবার ফজলে রাব্বি রিফাত ও বাঞ্ছারামপুর বার্তার কাজল মিয়া সহ আরও অনেকে।
উল্লেখ চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, অবৈধ বালি উত্তোলন ও মাদক সংক্রান্ত সংবাদের জের ধরে চারদলীয় জোট সরকারের আমলেও নির্যাতিত হয়েছিলেন বাঞ্ছারামপুর বার্তা পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান পামেন। তৎকালিন ক্ষমতাসীন দলের একটি বিশেষ গ্রুপ বাঞ্ছারামপুর বার্তা পত্রিকার অফিস ভাংচুর ও লুটপাট করেছিলেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম