তাফরিদ কটন মিলসের মাফিয়া এমডি সামিউল ইসলামের যত অপকর্ম

স্টাফ রিপোর্টার:

আমরা হিটলারকে জেনেছি। এ-যুগের নব্য স্বৈরশাসক সহ অনেকের অপকর্ম সম্পর্কেও জেনেছি। তবে কোম্পানির মালিক কতোটা ভয়ানক, প্রতারক, দুষ্টচরিত্র ও নাটকবাজ হয় তা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। বলছি তাফরিদ কটন মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাফিয়া শেখ মোঃ সামিউল ইসলাম সম্পর্কে।

জীবনের শুরুতে একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করলেও, পরবর্তীতে তিনি হন কোম্পানির মালিক। নিজের শ্বশুর ব্যাংকের বড় কর্মকর্তা হওয়ায় নামে বেনামে শত শত কোটি টাকা ঋণ নেন। কিন্তু সে টাকা আর কখনো পরিশোধ করতে হয়নি তাকে। এভাবেই শেখ মোঃ সামিউল ইসলাম কয়েকটি কোম্পানির মালিক।

এবার তাফরিদ কটন মিলসের এমডি শেখ মোঃ সামিউল ইসলামের বিরুদ্ধে অপকর্ম, অনিয়ম, নারী কেলেংকারী, দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন তারই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। মাসের পর বস, বছরের পর বছর ধরে কৌশলে বেতন আটকে রাখা, স্টাফদের সাথে নিদারুণ দুর্ব্যবহার, মেয়ে স্টাফদের শরীরে হাত দেয়া সহ এমডির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বাধ্য হয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে তাফরিদ কটন মিলস লিমিটেড এর বঞ্চিত প্রায় শতাধিক কর্মীরা।

এমডি সামিউল ইসলামের ভয়ে এ পর্যন্ত সরাসরি মুখ খোলেননি কেউ। তবে এবার তার অপকর্ম প্রকাশ হতে শুরু করেছে। তিনি কৌশলে নারী স্টাফদের শরীরে হাত দিতেন, করতেন ইচ্ছামতো ট্রান্সফার, কথা না শুনলেই করতেন ছাঁটাই।

এছাড়া পুরুষ স্টাফদের সাথে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, গায়ে হাত তোলা, বেতন আটকে রাখা তার নিয়মিত কাজ ছিলো। বিশেষ করে কোনো কর্মকর্তা একাধারে কয়েক মাস চাকরি করতে পারতো না সেখানে। বেতন আটকে কৌশলে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হতো তাদেরকে।

ঘটনা এখানেই শেষ নয়। এমডি সামিউল ইসলাম স্টাফদের নামমাত্র বেতন থেকে ঠিকই সরকারের কর বাবদ টাকা কেটে রাখেন। কিন্তু তিনি কখনো সরকারের কোষাগারে তা জমা দেন না। অভিযোগ রয়েছে জাতীয় আয়কর বিভাগের অনেকের সাথে তার সুসম্পর্ক রয়েছে। কৌশলে সে সরকারকে কর না দিয়ে বছরের পর বছর ফাঁকি দিচ্ছে।

এমডি সামিউল ইসলামকে তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। এমনকি তার WhatsApp এ sms করলেও তার রিপ্লাই করেন নি।

সবমিলিয়ে এমন কোনো অপরাধ নেই, যা সামিউল ইসলাম করেনি। তাই তার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি, এযাবতকালে যত স্টাফদের বেতন আটকে রাখা হয়েছে তাদের প্রত্যেকের বেতন পরিশোধ করা হোক। সেই সাথে নারী কেলেংকারী সহ তার সকল অপকর্মের বিচার করা হোক।

মুনতাহাকে নির্মমভাবে হত্যার কারণ সনাক্ত

স্টাফ রিপোর্টর॥

সিলেটের কানাইঘাটের ৫ বছরের ছোট্ট শিশু মুনতাহা নিখোঁজ, এমন খবরে একদিন আগেও সরব ছিল নেট দুনিয়া। মুনতাহার সন্ধান চাই এমন শিরোনামে দেশের হাজারো মানুষ নিজের ফেসবুক প্রোফাইল বা পেজে পোস্ট দেন। সবার একটাই আকুতি ছিল জীবিত হয়ে মা-বাবার কোলে ফিরবেন মুনতাহা। কিন্তু শিশু মুনতাহা নিখোঁজের সাতদিন পর ঠিকই ফিরেছেন, তবে জীবিত নয় মৃত অবস্থায়। রোববার ভোরে নিজ বাড়ির পুকুর থেকে তার নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি ও চুরির অপবাদ দেওয়ার ক্ষোভ থেকে সিলেটের কানাইঘাটের ৬ বছরের শিশু মুনতাহাকে হত্যা করেছে তার গৃহশিক্ষিকা শামীমা বেগম মার্জিয়া।

জানা গেছে, গত ৩ নভেম্বর সকালে মুনতাহাকে নিয়ে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরেন তার বাবা। পরে শিশুটি প্রতিদিনের মতো আশপাশের বাড়িতে শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে যায়। বিকেল ৩টার পরও বাড়ি না ফেরায় পরিবার থেকে মুনতাহাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তারপর তাকে আর কোথাও পাওয়া যায়নি। ঘটনার দিনই মুনতাহাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বাড়ির পাশের ডোবায় পুতে রাখেন খুনিরা। সন্দেহ থেকে শনিবার স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে গৃহশিক্ষক মার্জিয়ার আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। পরে রাতে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ মুনতাহার স্বজনদের বলেন মার্জিয়ার বাড়ির আশপাশে মাটি খোঁড়া আছে কি না খোঁজ নিতে। স্থানীয়রা রোববার রাতভর তার বাড়ির আশেপাশে কোথাও মাটিখোঁড়া কোনো জায়গা আছে কি না খুঁজতে থাকেন।

ফজরের আজানের আগ মুহূর্তে মার্জিয়ার মা আলিফজান বিবিকে হঠাৎ অন্ধাকারের মধ্যে রাস্তা পার হতে দেখে আটকানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্ঠা করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করেন। পরে কাদামাটি মাখা মুনতাহার মরদেহ দেখতে পান। এরপর শিশু মুনতাহার গৃহশিক্ষিকা শামীমা বেগম মার্জিয়া, শিক্ষিকার মা ও তার নানি কুতুবজান বিবিকে আটক করে পুলিশ।

মারজিয়ার স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো রফিকুল ইসলাম জানান, গত ৩ নভেম্বর রাতেই মুনতাহাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর ডোবায় ফেলে রাখা হয়। মারজিয়াকে শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় ক্ষোভ ও তার ওপর চুরির অপবাদ দেওয়ার ক্ষোভ থেকে এই হত্যাকান্ড ঘটতে পারে। তবে এ ঘটনায় আর কোনো কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

তিনি আরো জানান, মুনতাহা হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে আরো তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন- নিজাম উদ্দিন, ইসলাম উদ্দিন ও নাজমা বেগম। হত্যাকান্ডে আরো কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা উদঘাটন করতে আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সবা:স:জু-৭৭/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন