স্টাফ রিপোর্টারঃ
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেক্টরের ফোরম্যান আওয়ামী লীগের দোষর জামাল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেক্টরে নানা প্রকার দুর্নীতি করেও রয়েছেন স্বপদে বহাল।
সরে জমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোরম্যান জামাল হোসেন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ভিসিকে ম্যানেজ করে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেক্টরের ফোরম্যানের পদটি বাগিয়ে নিয়েছিলেন।
তার পর থেকে এই দুর্নীতিবাজ জামাল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেক্টরকে নিজের বাপ দাদার প্রত্তিক সম্পদ মনে করে নিজের মন মতো পরিবহন সেক্টর কে পরিচালনা করে আসছেন।
ফোরম্যান জামাল হোসেন এর ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে আরো জানতে পাড়া যায় তিনি নিজের নামটি ভালো ভাবে সহি করতে না পারলেও ৮ ম শ্রেণী পাশ সার্টিভিকিট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেক্টরের ফোরম্যানের পদটি বাগিয়ে নিয়েছিলেন একেবারে অবৈধ নিয়োগের মাধ্যমে।
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি(২০১৫-২০১৯) ড. অহিদুজ্জামান আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তিনি কোন প্রকার নিয়োম নীতির তোয়াক্কা না করেই সম্পূর্ণ অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে তরিঘরি করে ফোরম্যান হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন জামাল হোসেনকে।
তার পর থেকে জামাল হোসেন পরিবহন সেক্টরে সকল প্রকার অনিয়ম পরিচালনা করে আসছেন।
এই অবৈধ নিয়োগ প্রাপ্ত ফোরম্যান জামাল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেক্টরের প্রতিটা বিআরটিসি পরিবহন খাত থেকে গাড়ি প্রতি মাসিক ২০ হাজার টাকা মাসোহারা গ্রহণ করতেন। বিআরটিসি পরিবহন সেক্টরের ম্যানেজার সে টাকার হিসাব পুজানোর জন্য অতিরিক্ত মেন্টেনেস খরচ দেখাতেন বলে একটি বিশ্বস্থ সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন গুলো থেকে প্রতিটি গাড়ি প্রতি মাসিক বাড়তি ১০ হাজার টাকা করে উৎকোচ গ্রহণ করে আসছেন এই অসৎ ফোরম্যান জামাল হোসেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন থেকে প্রতিনিয়তো তৈল- মবিল চুরি, পরিবহনে যন্ত্রনাংশ না লাগিয়ে তা বাহিরে বিক্রি সহ নিজের দ্বায়িত্ব পালনে এমন কোন অভিযোগ নেই যে তার বিরুদ্ধে নেই।
সাম্প্রতি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়লে ফোরম্যান জামাল হোসেনকে বারংবার এম্বুলেন্স এর জন্য শিক্ষার্থীরা ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করে বন্ধ করে থুয়েছিলো তার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সে অসুস্থ শিক্ষার্থী পথিমধ্যে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু বরণ করেন।
এ বিষয়ে পরিবহন সেক্টরের দ্বায়িত্বে থাকা আহ্বায়ক ড.কাওসার আহম্মেদ বলেন আগে জামাল পরিবহন সেক্টরে কি করেছে তা আমার জানা নেই, যন্ত্রনাংশ ক্রয়ে আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেক্টরে আহব্বায়ক প্যানালে আছি এবং জামাল সহ সকলে নিয়ে তার পরে যন্ত্রনাংশ কেনা হয়, অন্য কেউ দুর্নীতি করতে পারে আমার এখানে দুর্নীতি করার সুযোগ নেই।
জামালের নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন জামাল হোসেনের নিয়োগ হয়েছে আওয়ামী লীগের আমলে, যদি সে নিরক্ষর হয়ে থাকে তা হলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একটি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে একটি নিরক্ষর ব্যক্তিকে ফোরম্যান পোস্টে বসানো কতোটা দ্বায়িত্ব অবহেলার কাজ, এমনটাই আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় জুরে.......চলবে,
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ মাসুদ || বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ২১/১ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০ || মোবাইল : ০১৫১১৯৬৩২৯৪,০১৬১১৯৬৩২৯৪ || ই- মেইল: dailysobujbangladesh@gmail.com || ওয়েব : www.dailysobujbangladesh.com
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ. All rights reserved.