ভাইরাল জ্বরে এক বাটি স্যুপ

স্টাফ রিপোর্টার:

ঋতু পরিবর্তনের সময়ে অনেকেই ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। সঙ্গে কারও কারও সর্দি-কাশি থাকছে। ঋতু পরিবর্তনের সময় জ্বর, সর্দি, কাশি হলে সেটাকে ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু বলা হয়। কোনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যদি জ্বর হয় আর সাধারণ ফ্লু হলে লক্ষণ কিন্তু মোটামুটি এক থাকে। আর এই ভাইরাল জ্বরে গলায় খুসখুসে লাগা, নাক বন্ধ হয়ে থাকার ব্যাপারটা অনেক অস্বস্তিতে ভোগায়। এই সময়ে দিনে হোক বা রাতে, আপনাকে আরাম দিতে পারে একমাত্র এক বাটি ইষদুষ্ণ, হালকা স্যুপ। ডিনারে হোক বা ব্রেকফাস্টে, গরম গরম স্যুপ কিন্তু দারুণ সুস্বাদু। পেটও যেমন ভরবে, তেমনি মনও। সঙ্গে যদি থাকে পুষ্টিগুণ, তাহলে সোনায় সোহাগা। তাহলে ঝটপট জেনে নিন এই সুধার রেসিপি।

উপকরণ-

মুরগির হাড়- আধ কেজি, মুরগির মাংস- আধ কেজি, চিনি- ২ টেবিল চামচ, লাল চিলি সস- ৫ টেবিল চামচ, চিংড়ি- আধ কাপ, কর্নফ্লাওয়ার- ৬ টেবিল চামচ, হাঁসের ডিম- ৬টি, কাঁচামরিচ ফালি- ৪টি, লেমন গ্রাস- ৮ টুকরো, চিকেন স্যুপের স্টক- ১২ কাপ, লবণ স্বাদমতো, লেবুর রস- ৪ টেবিল চামচ।

প্রণালী-
মুরগির হাড় সেদ্ধ করে চিকেন স্যুপের স্টক ছেঁকে নিন। মুরগির মাংস ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। চিংড়ি ছোট ছোট টুকরো করে নিন। ডিম অল্প ফেটিয়ে নিন। কর্নফ্লাওয়ার এক কাপ পানিতে গুলে নিন। চিকেন স্টকে অর্ধেক গোলানো কর্নফ্লাওয়ার ও ডিম দিয়ে মিশিয়ে কাঁচামরিচ, মাংস, চিংড়ি, চিনি, চিলি সস, লেমন গ্রাস, লবণ দিয়ে নেড়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। আঁচে বসিয়ে হালকাভাবে ঘন ঘন নাড়তে থাকুন। অনবরত না নাড়লে ফেটে যাবে। মাঝারি আঁচে ১৫ থেকে ১৭ মিনিট নেড়ে নেড়ে ফুটিয়ে আঁচ কমিয়ে দিন। ৩ থেকে ৪ মিনিট পর লেবুর রস দিয়ে হালকাভাবে নেড়ে, প্রয়োজন হলে আরও চিলি সস ও লবণ মেশান। গরম-গরম পরিবেশন করুন।গলা খুশখুশ করলে কিংবা সর্দি-কাশি হলে এই পিপার সাওয়ার স্যুপ কিন্তু দারুণ অস্ত্র। এবার জানুন ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়ানোর মন্ত্র। যাতে পেটও ভরে আবার পুষ্টিগুণও দারুণ।

সবা:স:জু-১৩৪/২৪

উত্তরা বিডিআর বাজার: সমবায়ের নামে জামাত চক্রের লুটপাট!

হাফসা আক্তারঃ
রাজধানীর উত্তরা ৬ নং সেক্টর বিডিআর কাচাবাজা লুটপাটের জন্য সমাবয়ের নামে একটি জামাতী চক্র পায়তারা করছে। স্থানীয় প্রশাসনসহ কিছু সুবিধাভোগী রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গকে ম্যানেজ করে এ লুটপাটের আয়োজন চলছে বলে জানাগেছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সমবায় বাজারকে জামাত একটি ইউনিট হিসেবে ঘোষণা করে, সেই থেকে বাজার কেন্দ্রিক গোপন কমিটি করে সংগঠন চালাচ্ছে সমবায়ের কিছু নেতা। প্রতিমাসে এ বাজার থেকে নিদ্রিষ্ট পরিমান অর্থও দেওয়া হয় জামাতের ফান্ডে।

জানাগেছে, রাজউকের তিন বিঘা জমির উপর প্রতিষ্ঠিত বাজারকে কেন্দ্র করে জামাত নেতা, কামরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন ও খালেক সরকারের নেতৃত্বে একটি সমবায় সমিতি গঠন করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ সমিতির সভাপতি পদে আছেন কামরুল ইসলাম, সম্পাদক পদে আনোয়ার হোসেন এবং যুগ্ম সম্পাদক পদে খালেক সরকার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এরাই এই সমিতির হর্তা কর্তা। ৫ বছর আগে বাজার লিজ নিবে এমন লোভ দেখিয়ে ২৫ হাজার টাকা করে প্রায় ১৩৫০টি শেয়ার বিক্রি করে। নিয়ম অনুযায়ী সকল শেয়ার ভোটারদের নিয়ে প্রতি তিন বছর পর পর নির্বাচন করার কথা থাকলেও কাগুজে নির্বাচন করে উল্লেখিত চক্রটিই নেতা হয়ে বসে আছেন। আগের নেওয়া টাকার কোন হদিস না থাকলেও নতুন করে শত কোটি টাকা লুটপাটের আয়োজন করছে চক্রটি। মাসোহারার বিনিময়ে সমবায় কর্মকর্তারাও তাদের এ অবৈধ কাজে সহযোগিতা করছে বলে জানাগেছে।
সম্প্রতি রাজউক তার জায়গাটি লিজে তুলে নিলামে বিক্রির জন্য। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাজারটি কিনে নেওয়ার কথা বলে জামাত চক্রটি শেয়ার প্রতি ১০ লক্ষ টাকা এবং দোকান নিতে হলে আরো ২০ লক্ষ টাকা করে নেওয়ার চক্রান্ত করছে বলে শোনা যাচ্ছে। সমবায় সমিতির সদস্য নয় এমন একজন ব্যবসায়ী প্রতিবেদককে বলেন, সমিতির নেতা খালেক সরকার আমাদেরকে বলছেন, দোকানের স্থায়ী মালিক হতে হলে জমি কিনতে হবে। আর আপনার পজিশনমতো জায়গার জন্য বিশ লক্ষ টাকা দিতে হবে। আমরা বিশ লক্ষ্য টাকা দিয়ে জমি কেনার সামর্থ রাখি না। আমরা ব্যবসায়ীরা রাজউক থেকে জমি কেনার জন্য রাজি আছি কিন্তু সমবায়ের নামে যারা জমি নেওয়ার কথা বলে টাকার জন্য বলছে তাদের আমরা বিশ^াস করি না। তারা টাকা তুলে এখান থেকে পালিয়ে যাবে। জাতাত শিবিরকে ফান্ড দিবে। এটা হতে দেওয়া যায় না। বাজার লিজ নিতে হলে স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক গন্যমান্য ব্যক্তির তত্বাবধানে হলে আমরা রাজি আছি টাকা দিতে। কারন লিজের কথা বলে এরই মধ্যে আমাদের থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে সেগুলোর কোন খবর নাই।
জানাগেছে, সমিতির সভাপতি কামরুল ইসলামকে সরিয়ে খালেক সরকার যুগ্ম সম্পাদক থেকে এখন ভারপ্রাপ্ত সভাপতির পরিচয় দিচ্ছেন। নিয়ম অনুযায়ী সভাপতি দায়িত্ব পালন অপারগ হলে সহ সভাপতি ভারপ্রাপ্তের দায়িত্ব পালন করতে পারেন। কিন্তু যুগ্ম সম্পাদক সভাপতি হতে পারেন না। এতেই সমিতির নেতাদের স্বেচ্চাচারিতা প্রমান হয় বলে জানিয়েছেন সমিতির একজন শেয়ার হোল্ডার।
এ দিকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নামে সমিতি নামে আরো একটি বৈধ সংস্থা বাজারটির রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব পালন করছে গত ৭ বছর থেকে। স্থানীয় হন্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে গঠিত এ সমিতিও বাজারটির জমি কেনার চেষ্টা করছে বলে জানাগেছে।
নিউজের বিষয়ে বক্তব্য জানতে সমিতির নেতাদেও সাথে যোগাযোগ করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম