খুনি হাসিনার দোসর নুর ইসলাম এখন কোথায় ?

নিজস্ব প্রতিবেদক:

স্বৈরাচার গণহত্যাকারী খুনি হাসিনার দোসর দালাল এবং বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি গত জুলাই মাসে ও ৫ ই আগস্ট ২০২৪ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী পুরানা পল্টন ছাত্রজনতা কে গুলি করে হত্যা করার হুকুমদাতা নুর ইসলাম এর বিরুদ্ধে গুরুতর সব অভিযোগ উঠেছে।

সে নড়াইল ২ আসন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে স্বৈরাচার খুনি হাসিনার পাতানো নির্বাচন করেছে। বর্তমানে সে পরিচয় দিয়ে বেড়াচ্ছে সেনাপ্রধান নাকি তার বেয়াই।

ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে রাজধানীর নয়া পল্টন থানা সহ সারাদেশে বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়াও চ্যানেল ২৪, বিবিসি, ডিবিসি নিউজ, বৈশাখী টেলিভিশন, এটিএন বাংলা সহ দেশের জাতীয় প্রিন্ট পত্রিকা গুলোতে তার অকর্মের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।

দেশের একটি সরকারি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দপ্তরের নাম ব্যবহার করে এবং জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন জেলা উপজেলায় প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে। অপকর্মের তথ্য অনুসন্ধান করতে গেলে তার প্রতারণার আস্তানা রাজধানী পুরানা পল্টন দারুস সালাম ভবন ১০ তলায় গেলে তাকে পাওয়া যায়নি সে পালিয়ে গিয়েছে বলে জানা যায়।

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো: মমিনুর রশিদ শাহিন, মহাসচিব মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সচিব মো: রাসেল সরকারের কাছে কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন আপনারা সবাই অবগত আছেন গত ১৫ অক্টোবর ২০২৪ রাত ১০ ঘটিকায় রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক মুহম্মদ আলতাফ হোসেন ইন্তেকাল করেন।

আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে তার রুহের মাকফাত কামনায় বাংলাদেশের প্রত্যেকটা জেলায় জেলায় স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের ব্যবস্থা করা হয়। তারি ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে দোয়া মাহফিল ও স্মরণ-সভা অব্যাহত আছে, কিছুদিন আগে আমরা একটি জেলায় গেলে শুনতে পাই জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নাম ব্যবহার করে লায়ন নুর ইসলামের নেতৃত্বে আবুল বাশার মজুমদার, হেলাল উদ্দিন হিলু একটি কুচক্র মহল মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কমিটি বাণিজ্য এবং পালিয়ে যাওয়া খুনি হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগ পূর্ণবাসনের লক্ষ্যে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে আমরা জানতে পারি। তাৎক্ষণিক সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সাংবাদিক সংগঠনগুলোর দপ্তরে উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করি।

হাসিনার দোসর গণহত্যাকারী প্রতারক নুর ইসলাম, আবুল বাসার মজুমদার হেলাল উদ্দিন হিলু’দের বিরুদ্ধে সংস্থার পক্ষ থেকে আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, আপনারা জানেন ৫ ই আগস্ট এর পর ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি বর্তমান সময়ে খুনি হাসিনার দোসরদের এই নতুন বাংলাদেশে থাকার কথা না, কিন্তু তাদেরকে এখনো আইনের আওতায় কেন আনা হলো না সেটাই দুঃখের বিষয়। তারা এখনো স্বৈরাচার গণহত্যাকারী খুনি হাসিনার নির্দেশে বর্তমান সরকারকে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করার এবং আওয়ামী সরকারকে পূর্ণবাসন করার লক্ষ্যে নতুন করে বিভিন্ন সংগঠনের নাম ব্যবহার করে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।

আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে এ গণহত্যাকারীদের কে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য তথ্য ও প্রযুক্তি যোগাযোগ অধিদপ্তর, জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তর, মেট্রো পলিটন পুলিশ, বিশেষ শাখা (এসবি), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), সহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা প্রতিপক্ষের বরাবর সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রত্যেকটা দপ্তরে উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি তারা আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন এই প্রতারক গণহত্যাকারী খুনি হাসিনার দোসর লায়ন নুর ইসলাম ও আবুল বাসার মজুমদার হেলাল উদ্দিন হিলু সহ তাদের সাথে যারা জড়িত আছে সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলে আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টাকে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ শাহবাজ শরিফের

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্ক: 

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। মিশরের রাজধানী কায়রোতে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এক বৈঠকে এই আমন্ত্রণ জানান তিনি।

মিশরের রাজধানী কায়রোতে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

ডি-৮ সম্মেলন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এখন মিশরের রাজধানী কায়রোতে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সম্মেলনের ফাঁকে এক হোটেলে পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ব্যবসা-বাণিজ্য, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যদিয়ে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছেন তারা।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতি বলা হয়েছে, দুই নেতা চিনি শিল্প এবং ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনার মতো নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এছাড়া আঞ্চলিক সংস্থা সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।

বিবৃতি অনুযায়ী, বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকার বর্তমানে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থার যে ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার’ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সে ব্যাপারে কথা বলেছেন এবং ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন।

 

সবা:স:জু- ৪৩২/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম