বুশরা বিবির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্ক:

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন দেশটির একটি আদালত। আল-কাদির ট্রাস্ট মামলার একাধিক শুনানিতে অনুপস্থিত থাকায় তার বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এই মামলাটি ১৯ কোটি পাউন্ডের মামলা হিসেবেও পরিচিত।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম বলছে, শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ট্রায়াল কোর্টের বিচারক নাসির জাভেদ রানা এই পরোয়ানা জারি করেন। তিনি বলেছেন, বুশরা বিবি আল-কাদির ট্রাস্ট মামলার অন্তত আটটি শুনানিতে অনুপস্থিত ছিলেন। বিচারক জাভেদ রানা বুশরা বিবিকে গ্রেপ্তারের একটি আদেশনামাও পুলিশের কাছে পাঠিয়েছেন এবং তাকে আগামী মঙ্গলবারের (২৬ নভেম্বর) মধ্যে আদালতে উপস্থিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিন বুশরা বিবির জামিনের জামিনদারের বিরুদ্ধেও একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন আদালত। তোশাখানা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ৯ মাস রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী থাকার পর গত মাসে তিনি এ মামলা থেকে জামিন পান।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) এক ভিডিও বার্তায় বুশরা বিবি দাবি করেন, ২০২২ সালে ইমরান খান সরকারের পতনের পেছনে সৌদি আরবের ভূমিকা ছিল। এই বক্তব্য নিয়ে দেশটিতে এখন গুরুতর বিতর্ক চলছে। একই বার্তায় তিনি ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সমর্থকদের ইসলামাবাদে আগামী রোববার (২৪ নভেম্বর) পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিতেও আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার ট্রায়াল কোর্টের শুনানিতে পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা কারাবন্দী ইমরান খানকেও উপস্থিত করা হয়েছিল। শুনানিতে আসামিপক্ষের এক আইনজীবী বুশরা বিবির অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি বাতিলের অনুরোধ করেন। বুশরা বিবির অসুস্থার পক্ষে প্রমাণ হিসেবে পেশোয়ারের লেডি রিডিং হসপিটালের অসুস্থতা-বিষয়ক কাগজপত্রও দেখান তিনি। তবে দেশটির জাতীয় দায়বদ্ধতা ব্যুরোর (এনএবি) কর্মকর্তাদের আপত্তির মুখে তা গ্রহণ করেননি আদালত।

সবা:স:জু-১৬৪/২৪

ব্যাংক নিরীক্ষায় নিয়োগ হচ্ছে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান

স্টাফ রিপোর্টার: 

ব্যাংকগুলোর ঝুঁকিভিত্তিক সমন্বিত নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে যোগ্য আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করতে একটি বিশেষ বিধান প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই বিধানে ব্যাংক কোম্পানি ও ব্যাংকিং নীতিমালার উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করবে, যারা নির্দিষ্ট ব্যাংকে গভীর নিরীক্ষা চালাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক আইন অনুযায়ী, ‘স্পেশাল রেগুলেশনস অব বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৪’ শীর্ষক এই বিধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের এক বৈঠকে প্রণয়ন করা হয়। রোববার (২২ ডিসেম্বর) দেশের সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিধানে বলা হয়েছে, ব্যাংকের সমন্বিত নিরীক্ষা বা তার অংশ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক যোগ্য আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করবে। সমন্বিত নিরীক্ষার শর্তাবলি এবং এ কাজের জন্য আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে যে সম্মানী দেওয়া হবে বা যে পদ্ধতিতে তা পরিশোধ করা হবে, তা চুক্তির মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সমন্বিত নিরীক্ষা বা তার অংশ তারা যেভাবে সুবিধাজনক মনে করে, সেভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবে। এ সংক্রান্ত শর্তাবলি নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে তাদের আলাদা চুক্তি হতে হবে।

সমন্বিত নিরীক্ষার জন্য দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলো যাতে আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে তাদের গ্রাহকদের বিষয়ে তথ্য জোগানো হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ এ বিধানের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে সাধারণ অনুমতি দিয়েছে। ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সমন্বয় করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট বিভাগকে দায়িত্ব দেবে। চুক্তি অনুসারে আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গভর্নরের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেবে। গভর্নর পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওই প্রতিবেদন পরিচালনা পর্ষদের কাছে পেশ করবেন।

বিশেষ বিধানে সমন্বিত নিরীক্ষার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে ঝুঁকিভিত্তিক বিস্তারিত নিরীক্ষা করা হবে। যার মধ্যে থাকবে সম্পদের মান পর্যালোচনা, করপোরেট সুশাসন পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং ব্যাংকের নীতি, পদ্ধতি, প্রক্রিয়া এবং আইন ও নিয়ন্ত্রণমূলক বিধিবিধানের পরিপালন বিষয়ে পর্যালোচনা।

এ বিধান জারির কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রণমূলক বিভিন্ন ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও দেশের কিছু ব্যাংক বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। বিশেষ করে সম্পদের মান, করপোরেট সুশাসন, নীতিমালা এবং আইন ও বিধিবিধানের পরিপালনের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর ফলে ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর সাধারণভাবে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস নষ্ট হচ্ছে। এতে পুরো ব্যাংক খাতের বিশ্বাসযোগ্যতাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সবা:স:জু- ৪৯১/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম