বিআইএম এর প্রকল্প পরিচালক তানভীর হোসাইনের অনিয়ম দুর্নীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম)’র প্রকল্প পরিচালক (পিডি) তানভীর হোসাইন। বিআইএম’র ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টাও তিনি।
প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তানভীর হোসাইন ইতিমধ্যে কামিয়াছেন কোটি কোটি টাকা। পিডির দায়িত্ব পেয়ে তিনি নিজেই যেন ঠিকাদারির দায়িত্ব নিয়েছেন। সখ্যতা ও স্বজনপ্রীতীর কারণে হালিমা সিদ্দিকা ট্রেডার্স, সরদার ট্রেডার্স ও সিকো ইন্টারন্যাশনাল নামের এই তিনটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ করছেন তিনি। এর মধ্যে সরদার ট্রেডার্সের মালিক তানভীরের আপন ভাই।
সূত্র জানায়, বিআইএম’র প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলার ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কাজটি পেয়েছে পিডি তানভীর হোসাইনের যোগসাজশে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হালিমা সিদ্দিকা ট্রেডার্স। সেখানে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন তিনি। সিকো ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে করা একই ভবনের থাই-টাইলসের কাজেও করেছেন ব্যাপক অনিয়ম। ২২ হাজার স্কয়ার ফিট থাই লাগানোর কথা থাকলেও সবমিলিয়ে ৪-৫ হাজার স্কয়ার ফিট থাইয়ের কাজ করেছেন।
এ ছাড়াও ভবনটিতে টাইলস স্থাপনের কথা ছিল ১১ হাজার স্কয়ার ফিট। সেখানেও তিনি সবমিলিয়ে ৪ হাজার স্কয়ার ফিট টাইলস লাগিয়েছেন কি-না এ নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এসব কাজে বরাদ্দকৃত টাকার অর্ধেক পরিমাণও কাজ হয়নি বলে দাবি এখানকার অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
এ ছাড়া বিআইএম প্রকল্পের বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের কাজটিও পেয়েছে সিকো ইন্টারন্যাশনাল। যার ইজিপি আইডি- ৮৮৫৫৪৬। দেয়ালটি নতুন নির্মাণের কথা থাকলেও পুরনো দেওয়ালকেই প্লাস্টার করে নতুন দেওয়াল বানিয়েছেন পিডি তানভীর। যেখানে ৩৭ টন রড ব্যবহারের কথা সেখানে এক টন রডও ব্যবহার হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরের রাস্তার কাজ পায় পিডি তানভীরের ভাইয়ের প্রতিষ্ঠান সরদার ট্রেডার্স। সেখানেও ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া গেছে।
অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে গড়েছেন বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ। রাজধানীর মিরপুরের পীরেরবাগে কিনেছেন ফ্ল্যাট। আদাবরের ১৭ নম্বর রোডের ১৭-১৮ কমফোর্ট হাউজিংয়ে ড্রিম টাওয়ারেও রয়েছে তার একটি ফ্ল্যাট।
এই ফ্লাটে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন তিনি। এছাড়াও আদাবরের বায়তুল হাউজিং এলাকায় গার্ডেন টাওয়ার ও লেক ভিউতে একাধিক ফ্লাট রয়েছে। আদাবরের সুনিবিড় হাউজিংয়ের ১৬ নম্বর রোডের ১৬ নম্বর বাসাটিও তার নিয়ন্ত্রণে। যার নাম রিলায়েন্স নিবাস।
এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক (পিডি) তানভীর হোসাইন জানান, হালিমা ট্রেডার্স নামে যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি প্রকল্পের কাজ পেয়েছে, তার সঙ্গে কাকতালীয়ভাবে তার মায়ের নামের মিল রয়েছে। সরদার ট্রেডার্স তার ভাইয়ের প্রতিষ্ঠান বলে স্বীকার করেছেন। সম্পর্কের খাতিরে সিকো ইন্টারন্যাশনাল কে কাজ দেওয়ার বিষয়টিও স্বীকার করেন তিনি।
তবে তার অবৈধ সম্পদের বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য প্রকাশ করেনি তিনি।

বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান  প্রধানমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার॥

জাপানসহ বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ এখন উপযুক্ত স্থান বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ভৌগলিক দিক দিয়ে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে আছে। এর সুবিধা নিয়ে বিনিয়োগকারীরা আশপাশের দেশে পণ্য রপ্তানির সুবিধা নিতে পারবেন।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগে রিটার্ন ধারাবাহিকভাবে বেশি হয়েছে। সরকারের বাস্তববাদী নীতির কারণে বাংলাদেশ বিনিয়োগ, শিল্পায়ন এবং রপ্তানির জন্য একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ব্যবসাবান্ধব রাজস্ব, নীতি ও প্রণোদনা, স্থিতিশীল গণতন্ত্র, বিচক্ষণ শাসন ও নেতৃত্বের নিশ্চয়তা বৈদেশিক বিনিয়োগকে লাভবান করবে।

বৃহস্পতিবার জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সম্মেলনে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) যৌথভাবে ‘বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ’ শীর্ষক এ সম্মেলনের আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জেসিসিআই এবং এফবিসিসিআই অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশ ও জাপানের বেসরকারি কোম্পানির মধ্যে ১১টি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

জাপানের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপানের ব্যবসায়ীদের জন্য বাংলাদেশের প্লাটফর্মে উচ্চপর্যায়ের ফোরাম আছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিনিময় হওয়া সমঝোতা দুই দেশের সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার পথে জাপানের বিনিয়োগ সমৃদ্ধি আনবে। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ইজেড স্থাপন বড় অগ্রগতি। জাপান চাইলে সারাদেশে আরও ইজেড স্থাপনে জায়গা দেওয়া হবে। এজন্য নিশ্চিত করা হবে সব ধরনের সুবিধা ও নিরাপত্তা।

১৭ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশকে ব্যবসার একটি বড় বাজার হিসেবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, বাংলাদেশ ১৭০ মিলিয়ন জনসংখ্যার দেশ। এটি নিজেই একটি ক্রমবর্ধমান বাজার এবং প্রায় তিন বিলিয়ন ভোক্তাদের একটি বৃহৎ বাজারের কেন্দ্রস্থল। ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্য ও জার্মানিকে ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজার হয়ে উঠবে বাংলাদেশ।

‘আইসিটি, ইলেকট্রনিক্স, অবকাঠামো, চামড়া, টেক্সটাইল, আতিথেয়তা ও পর্যটন, ভারী শিল্প, রাসায়নিক ও সার এবং এসএমইর মতো বিভিন্ন খাতে সুযোগ অনেক বেড়েছে। আমাদের সরকার ব্যবসা করার মসৃণ, সহজ ও কার্যকর উপায়গুলো সহজতর করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে—যোগ করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা বিদেশি বিনিয়োগের জন্য ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাইটেক এবং সফটওয়্যার পার্ক নির্মাণ করছি। আমি জাপানি বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, বাংলাদেশ আপনার জন্য প্রস্তুত এবং বাংলাদেশে গেলে আপনার দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা হবে। আপনারা ব্যবসার সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সংস্থা এবং কাঠামো সুবিধা পাবেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার পথেই হাঁটছে বকশীগঞ্জের সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা রাজউকের ইমারত পরিদর্শক মনিরুজ্জামান ৭ বছরেই শত কোটি টাকার মালিক শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ নতুন ইতিহাস গড়লেন দীপিকা পাড়ুকোন বাংলাদেশকে রাজস্ব ও আর্থিক খাত সংস্কার অব্যাহত রাখতে হবে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬১৯ ৩০ কোটি বছর আগে মহাকাশ থেকে ছুটে এসেছিল একটি বিশাল পাথর কুমিল্লায় হত্যার পর নারীর লাশ বেডশিট দিয়ে মুড়িয়ে খাটের নিচে রেখে গেল দুর্বৃত্তরা দীর্ঘদিন পর গাজায় একসঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করলেন হাজারো ফিলিস্তিনি