শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ভারতের দাসে পরিণত করেছিলেন

স্টাফ রিপোর্টার: 

বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ভারতের দাসে পরিণত করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন লেখক অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আবুল মনসুর আহমদের রাষ্ট্রচিন্তা: প্রেক্ষাপট গণ-অভ্যুত্থান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘শেখ হাসিনার অপরাধের মধ্যে একটা হচ্ছে বাংলাদেশের হৃৎপিণ্ড তিনি ধ্বংস করেছেন। পাওয়ার সেক্টরে লুটপাট, অর্থপাচার, দেশে অনাচার, গুম, খুন, অত্যাচার, এর বাইরেও বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশকে ভারতের দাসে পরিণত করেছিলেন। সেটা থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রথম কাজ আপনারা করেছেন৷ সেটা হচ্ছে শেখ হাসিনাকে উৎখাত করা। দ্বিতীয় হচ্ছে জনগণের মধ্যে ঐক্যবদ্ধতার পরিচয় দেওয়া। গণ্ডগোল বাধানোর জন্য যে উসকানি এখন অন্যরা দিচ্ছে, সেগুলো প্রতিহত করতে রাজনৈতিক সততা দরকার, সচেতনতা দরকার ও রাজনৈতিক শক্তি দরকার।’

তিনি বলেন, ‘ভারত ১৯৭১ সালে আমাদের সাহায্য করেছে, এই অজুহাতে বাংলাদেশকে তার উপনিবেশ করে রাখতে চাইছে। পাকিস্তানিদের উপনিবেশ শাসন থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য এত রক্ত আপনি ঢাললেন ভারতের উপনিবেশ হওয়ার জন্য?’

ভারত, আমেরিকা ও ইসরায়েলের জাতীয় পতাকার ছবিতে পদচিহ্ন আঁকা প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ন্যায়সঙ্গত—মাও সেতুং বলেছেন। বিদ্রোহের একটা ফর্ম হচ্ছে প্রতীকী। আমেরিকাতে সুপ্রিম কোর্ট ঘোষণা করেছে, পতাকা পুড়িয়ে দেওয়া কোনো অপরাধ নয়। মানুষ বিক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে পতাকার মধ্যে আগুন দিয়েছে আমেরিকায়। অর্থাৎ মানুষের জন্য পতাকা, পতাকার জন্য মানুষ নয়। ইসরায়েল ও আমেরিকার যে ভূমিকা ফিলিস্তিনে, সেটার বিরুদ্ধে ন্যায়সঙ্গত বিক্ষোভ হিসেবে আমরা কি আমেরিকায় গিয়ে বোমা মারতে পারব? তাহলে আমরা কী করব? তুমি যদি না পারো, মনে মনে হলেও ঘৃণা করো, এমন মহামনীষীর উক্তি আছে না আমাদের? আমাদের প্রতিবাদের যতটুকু শক্তি আছে, সেটা হচ্ছে পতাকা পর্যন্ত।’

ইসকন প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইসকনকে ধর্মীয় শান্তিপূর্ণ সংগঠন হিসেবে ইউরোপ-আমেরিকা মনে করে। কিন্তু সেই সংগঠন যদি বাংলাদেশের মতো ক্ষুদ্র দেশে এসে বিশৃঙ্খল আচরণ করে, তাহলে আমাদের এক সাংবাদিক বন্ধু আশরাফ কায়সার বলেছেন, আমি তো এই হরে কৃষ্ণকে চিনতে পারছি না। বাংলাদেশের হিন্দুরা যদি মনে করেন যে ইসকনই তাদের রক্ষাকর্তা হবে, তাহলে তারা বড় আকারে একটা ভুল করছেন। কারণ ইসকন ছাড়াও বাংলাদেশে হিন্দুরা ছিলেন।’

আবুল মনসুরের চিন্তা রচনার প্রশংসা করে সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধান রচিত হওয়ার সময় আবুল মনসুর আহমদ অনেকগুলো আপত্তি করেছিলেন। আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছরের পরবর্তী সংস্করণে তিনি সেটা যোগ করেছেন। সবগুলোই গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে প্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে। শেখ মুজিব আবুল মনসুরকে সংবিধান সংশোধনের জন্য আহ্বান করেছিলেন। আবুল মনসুরও সংশোধনের কথা বলেছিলেন। তবে শেখ মুজিব কথা দিতেন, কিন্তু কথা রাখতেন না। সংবিধান সংশোধনের কথাও তিনি শতভাগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।’

সংবিধান বিষয়ে সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধান অজ্ঞান অবস্থায় আছে। যেটিতে বলা হয়েছে সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ, এটি একটি বড় জোচ্চুরি। অর্থাৎ আমরা সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করব কিন্তু উৎস জনগণ। এখানে হওয়া উচিত ছিল জনগণ সকল ক্ষমতার মালিক। অর্থাৎ জনগণই সকল ক্ষমতার দণ্ডধর। যেন সরকার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে তাকে সরিয়ে দেওয়া যায়, এমন সুযোগও থাকে।’

বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রচিন্তার উপদেষ্টা, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আর রাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন, সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি পরিষদের আহ্বায়ক কবি ইমরান মাহফুজ প্রমুখ।

 

সবা:স:জু-১৫৮/২৪

 

জবিস্থ হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের নেতৃত্বে শাকির-তানিম

 

উম্মে রাহনুমা, জবি প্রতিনিধি :

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) অধ্যয়নরত হবিগঞ্জ জেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের ২৬ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কমিটি আংশিক ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী শাকির আহমেদকে সভাপতি এবং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শাহ নাবিল হোসেন তানিম -কে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
বুধবার সংগঠনটির পক্ষ থেকে আগামী ১ বছরের জন্য হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রকল‍্যাণ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয় ।

উক্ত সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা উপদেষ্টা মোঃ আব্দুর রহিম কাওছার ও মোঃ নুরুল আফসার, উপদেষ্টা আব্দুল্লাহ শাহীন, মোঃ আব্দুল মুহিত, আব্দুল মুকিত, সানি সূত্রধর, নাজমুল হোসেন মামুন, সভাপতি সাকিব হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরে আলম সোহাগ স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি ঘোষনা করা হয়।

কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন শুভ পাল, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, আব্দুর রহমান সম্রাট, আবুল হাসান, মুবিন আক্তার মুনা, ইফাত জাহান চোধুরী জ্যোতি, খন্দকার জালাল এবং নাফিজ ইমতিয়াজ রূপক।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সফল দাস রাহুল, মোঃ আব্দুল মুঈন খাঁন, মোমিন আহমেদ সুমন এবং বিভু দেবনাথ।

কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে অনামিকা দেব পূর্বা জয় রায়, সরল ব্যানার্জী হৃদয়, তাফহিমুর রহমান খান এবং স্পর্শা দত্ত সিঁথি।

উক্ত কমিটিতে দপ্তর সম্পাদক রাজু আহমেদ খান, প্রচার সম্পাদক সাইদুর রহমান পারভেজ, অর্থ সম্পাদক মাহমুদ তালুকদার এবং কার্যকারী সদস্য হিসাবে রয়েছেন প্রিতম দাস, কামরান হোসেন, মোহাম্মদ আকাশ মিয়া ও রৌদ্র বনিক। আগামী তিন (০৩) মাসের মধ্যে কমিটিকে পুর্ণাঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৩ ই নভেম্বর প্রতিষ্ঠাতা উপদেষ্টা মোঃ আব্দুর রহিম কাওছার ও মোঃ নূরুল আফসারের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া