তারিখ লোড হচ্ছে...

ঐতিহাসিক ধানুয়া কামালপুর হানাদারমুক্ত দিবস আজ

স্টাফ রিপোর্টার: 

আজ ৪ ডিসেম্বর, ঐতিহাসিক ধানুয়া কামালপুর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালে আজকের দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে হানাদার বাহিনীর শক্তিশালী ঘাঁটি কামালপুর দুর্গের পতন হয়। তাই দিনটিকে স্মরণ করে প্রতি বছরই স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা হানাদারমুক্ত দিবস পালন করে আসছে।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের আয়োজনে দিবসটি উদযাপনে নানা কর্মসূচি পালিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জামালপুর জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম।

 

স্থানীয় সূত্র ও ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা জেলার মহেন্দ্রগঞ্জ ও জামালপুর জেলার পাহাড় ঘেঁষা বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুরে হানাদার বাহিনী যুদ্ধের শুরু থেকেই শক্তিশালী ঘাঁটি গড়ে তুলেছিল। এখান থেকেই হানাদার বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর হামলা চালায়। উত্তর রণাঙ্গনের ১১ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল যেকোনো মূল্যে এই ঘাঁটি দখল করা। এই যুদ্ধে কামালপুর রণাঙ্গনে হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের ৮ দফা সম্মুখ যুদ্ধ হয়।

 

৩১ জুলাইয়ের আগে ধানুয়া কামালপুর রণাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেন জেড ফোর্স। জেড ফোর্সের অধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমান পাক বাহিনীর সঙ্গে মোকাবিলা করেন। তৎকালীন ৩১ জুলাই সম্মুখ যুদ্ধে পাক বাহিনীর গুলিতে ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ বীর উত্তম শাহাদাত বরণ করেন। ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ শহীদ হওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধারা সেক্টর কমান্ডার মেজর আবু তাহেরের (পরে কর্নেল) পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৪ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনীর ধানুয়া কামালপুর ঘাঁটি অবরোধ করেন।

অবরোধের প্রথম দিনই কামালপুর মৃধাপাড়া মোড়ে সম্মুখযুদ্ধে মর্টার শেলের আঘাতে সেক্টর কমান্ডার মেজর আবু তাহের (পরে কর্নেল) একটি পা হারান। যুদ্ধে পা হারানোর পরও কর্নেল তাহেরের নির্দেশে প্রাণপণ যুদ্ধ চালিয়ে যান মুক্তিযোদ্ধারা। পরে ভারপ্রাপ্ত সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব নেন উইং কমান্ডার হামিদুল্লাহ খান বীরপ্রতীক।

 

১০ দিন প্রচন্ড যুদ্ধের পর ৪ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় সেক্টর কমান্ডারের নিদের্শক্রমে সাহসী বীরমুক্তিযোদ্ধা বশির আহমেদ (বীরপ্রতীক) নিজের জীবন বাজি রেখে পাক বাহিনীর ক্যাম্পে সারেন্ডার পত্র নিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যা ৭টায় ৩১ ব্যালুচ রেজিমেন্টের গ্যারিসন কমান্ডার আহসান মালিকসহ ১৬২ জন হানাদার বাহিনীর সদস্য মিত্র বাহিনীর নিকট আত্মসমর্পণ করে। এর মাধ্যমে শত্রু মুক্ত হয় ধানুয়া কামালপুর। মহান মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ সংগঠিত হয় এই ধানুয়া কামালপুরে।

 

ধানুয়া কামালপুর যুদ্ধে ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ (বীর উত্তম), মুক্তিযোদ্ধা গাজী আহাদুজ্জামান, তসলিম উদ্দিন সহ শহীদ হন ১৯৭ জন মুক্তিযোদ্ধা। গুলিবিদ্ধ হয়ে ক্যাপ্টেন হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বীর বিক্রম (সাবেকমন্ত্রী মেজর হাফিজ) সহ অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেন।

 

অন্যদিকে একজন ক্যাপ্টেনসহ হানাদার বাহিনীর ২২০ জন সৈন্য মারা যায় এ যুদ্ধে। ধানুয়া কামালপুর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ২৯ জনকে তাদের বীরত্বের জন্য বীর বিক্রম, বীরউত্তম ও বীরপ্রতীক খেতাব দেওয়া হয়। শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বরণে তৎকালীন বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) নিজস্ব অর্থায়নে ধানুয়া কামালপুর স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বরণে নির্মাণ করা হয়েছে ধানুয়া কামালপুর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। প্রতিদিন শত শত মানুষ এই জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতি ও প্রামাণ্যচিত্র দেখতে আসেন। ডিসেম্বর মাস এলেই মুক্তিযোদ্ধাদের মিলন মেলায় পরিণত হয় মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টর ধানুয়া কামালপুর ।

 

সবা:স:জু-১৬৮/২৪

হলুদে দ্রুত চুল বাড়ে, খুশকিও দূরে থাকে

অনলাইন ডেস্কঃ

হলুদ চুলের সুরক্ষা এবং ত্বকের যত্নে একটি বহুল ব্যবহৃত উপকরণ। আয়ুর্বেদে হলুদের যে প্রদাহ-নাশক এবং ব্যাকটেরিয়াযুক্ত উপাদানের উল্যেখ রয়েছে, তা আধুনিক পুষ্টিবিদদের দ্বারাও স্বীকৃত। হলুদে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের জন্য উপকারী। বিশেষভাবে, ত্বক বিশেষজ্ঞরা বলেন, হলুদ রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে মাথার ত্বকে সেবাম নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, যা চুলের বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়ক।

হলুদের উপকারিতা:
পুষ্টিবিদদের মতে, যেহেতু হলুদে ব্যাকটেরিয়ারোধক উপাদান রয়েছে এবং রক্ত সঞ্চালনেও সাহায্য করে, তাই তার প্রভাব পড়ে মাথার ত্বকেও। তাছাড়া হলুদে আছে কারকিউমিন, যা রোগ নিরাময়ে কার্যকর এবং চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি: হলুদ মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুলের ফলিকলকে পুষ্টি এবং অক্সিজেন সরবরাহ করে, ফলে চুল দ্রুত বাড়ে।

খুশকি এবং ছত্রাকের বিরুদ্ধে লড়াই: হলুদে থাকা ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক প্রতিরোধক উপাদান মাথার ত্বককে সুস্থ রাখে, ফলে চুলের বৃদ্ধি স্বাভাবিক থাকে।

সেবাম নিয়ন্ত্রণ: হলুদ সেবাম নিঃসরণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, যা চুল পড়া এবং ত্বকের অন্যান্য সমস্যা কমিয়ে দেয়।

স্বাস্থ্যকর চুলের ঔজ্জ্বল্য: হলুদ চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যা দূর করে, চুলকে মসৃণ এবং স্বাস্থ্যবান রাখে।

ফ্রি র‌্যাডিকেলস থেকে সুরক্ষা: হলুদের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট চুলকে ফ্রি ফ্রি র‌্যাডিকেলস থেকে রক্ষা করে, যা অকালপক্কতা এবং চুলের ক্ষতি রোধ করে।

খালি পেটে হলুদ পানি পানের উপকারিতা
কাঁচা হলুদ খাওয়া যায়, তবে অনেকের পক্ষে স্বাদ গ্রহণ করা কঠিন হতে পারে। তারা রোজ সকালে খালি পেটে হলুদ পানি পান করতে পারেন।

হলুদ পানি তৈরির উপকরণ:

  • ১ গ্লাস গরম পানি
  • ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
  • ১ চিমটি গোলমরিচ গুঁড়ো
  • ১ টেবিল চামচ মধু
  • ১ টেবিল চামচ লেবুর রস

প্রণালি: গরম পানিতে হলুদ গুলে নিন। তারপর গোলমরিচ গুঁড়ো, মধু এবং লেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ঈষদোষ্ণ অবস্থায় পান করুন।

কখন পান করবেন?
সকালবেলা খালি পেটে হলুদ পানি খাওয়াই সেরা, তবে সন্ধ্যাবেলাতেও খাওয়া যেতে পারে। নিয়মিত এই পানি পান চুলের জন্য উপকারী।

সতর্কতা: প্রথমে অল্প পরিমাণে হলুদ পানি খেতে শুরু করুন। কারণ হলুদের অতিরিক্ত ব্যবহার হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারেন।

সবা:স:জু- ৭৯২/২৫

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম