‘রং হেডেড’ ছাড়া কেউ এখন প্রধানমন্ত্রী বলে না : ফখরুল

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্ক: 

‘রং হেডেড’, বহুদিন আগে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি শেখ হাসিনাকে বলেছেন। আর এ ‘রং হেডেড’ ছাড়া কেউ এখন নিজেকে প্রধানমন্ত্রী দাবি করতে পারে না বলে মনে করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যের আয়োজিত এক সভায় এ কথা বলেন তিনি।

যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়া প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, রং হেডেড ছাড়া এখন কেউ নিজেকে প্রধানমন্ত্রী দাবি করতে পারে না। এখন তিনি পালিয়ে আছেন। তার (শেখ হাসিনা) দলের লোকেরা কোন অবস্থায় আছেন না আছেন, কিছু না ভেবে তিনি পালিয়ে গেলেন।

অথচ আমাদের নেত্রীকে বহুবার দেশ ছাড়তে বলা হয়, কিন্তু তিনি ছাড়েননি। বলেছেন- এটিই আমার ঠিকানা।

চাটুকারিতার উদাহরণ টানতে গিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনা মিডিয়াকে গলাটিপে হত্যা করতে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট চালু করেছেন। মিডিয়ার মাধ্যমে সবখানে চাটুকারিতার রেওয়াজ চালু করেছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ২০ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এমন একটা বছর ছিল না যে আমরা জেলে যাইনি। তখন পুলিশ ও আদালতের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা ছিল বিএনপিকে কে কত কষ্ট দিতে পারে।

গত ১৫ বছরে দেশের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা কেয়ারটেকার সরকারের মধ্যদিয়ে দেশকে যে একটা গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার দিকে যাচ্ছিলাম সেটা ধ্বংস হয়ে গেছে।

বিদেশিদের ওপর নির্ভর করে আমাদের দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে না মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, আমি মনে করি আমাদেরকেই সেই কথাটি মনে রাখতে হবে। তবে সার্বিক বিষয়ে কূটনৈতিকদের সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ রয়েছে। এমনকি বিএনপির সঙ্গে কখনো কোনো রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সমস্যা হয়নি। তবে যারা তারেক রহমানকে নির্যাতন করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক।

 

সবা:স:জু-২৩৬/২৪

 

”কেয়ামত পর্যন্ত এই সরকারকে কেউ দেখতে চায় না”

স্টাফ রিপোর্টার:

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, এই সরকারের একমাত্র ম্যান্ডেট স্বচ্ছ নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করা। আমরা বলেছিলাম, নির্বাচনমুখী জরুরি সংস্কার করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে, কিন্তু মনে করবেন না রোজ কিয়ামত পর্যন্ত আপনাদেরকে আমরা এই জায়গায় দেখতে চাই।

শনিবার (১৭ মে) খুলনার সার্কিট হাউজ মাঠে তারুণ্যের অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এই সমাবেশের আয়োজন করে। খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বিপুল সংখ্যক তরুণ নেতাকর্মী সমাবেশে যোগ দেন।

ড. ইউনুসকে উদ্দেশ্যে করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আপনার সরকারকে লোকজন বলছে এনসিপি মার্কা সরকার। আপনার সরকারে এনসিপির দুই জন প্রতিনিধি বিদ্যমান। তারা উপদেষ্টা এবং এনসিপি সংগঠন করে। আপনি নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে চান, তাদের এনসিপি মার্কা দুইজনকে পদত্যাগ করতে বলুন। পদত্যাগ না করলে আপনি বিদায় করুন।’

প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আপনার সরকারে একজন বিদেশি নাগরিককে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা করেছেন। আপনার কি সেই আক্কেলজ্ঞান নেই।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, একজন বিদেশি নাগরিকের কাছে এই দেশের সেনাবাহিনী কিভাবে নিরাপত্তা সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রদান করবে। তিনি রোহিঙ্গা, মানবিক করিডোরের নামে বাংলাদেশকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করতে চায়। সেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে বিদায় করুন।

সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী ও যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। সঞ্চালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাকিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম