শেখ হাসিনা দিল্লিতে বসে ষড়যন্ত্র করছেন

স্টাফ রিপোর্টার: 

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বিএনপির জনসভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ । বুধবার ২৮ আগষ্ট বিকেলে চকরিয়া শহীদ আব্দুল হামিদ পৌর বাস টার্মিনালে জনসভায় বক্তব্য বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দিল্লিতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ। আজ সন্ধ্যা সাতটায় কক্সবাজারের পেকুয়া চৌমুহনীতে এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। সালাহউদ্দিন বলেন, ‘দিল্লিতে বসে বসে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করার জন্য পাঁয়তারা করছেন তিনি। ১৫-১৭ বছর তাঁর ফ্যাসিবাদের দোসরেরা প্রশাসনসহ বিভিন্ন জায়গায় এখনো বসে রয়েছেন এবং মনে করছেন, বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করবেন, এ দেশের ছাত্র–জনতা সে সুযোগ দেবে না। বহির্বিশ্বের কোনো শক্তির কোনো ষড়যন্ত্র, বাংলাদেশের ছাত্র–জনতা সফল হতে দেবে না।’

সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘আওয়ামী স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা কখনো জনগণের সামনে আবার রাজনীতি করতে এলে আপনারা তাঁদের প্রত্যাখ্যান করবেন। এই মাটি শহীদের রক্তে রঞ্জিত হয়ে পবিত্র হয়েছে। সুতরাং হাসিনা ও তাঁর দোসরদের দ্বারা আর কখনো অপবিত্র হতে দেব না।’ পেকুয়ায় সালাহউদ্দিন আহমদের গ্রামের বাড়ি। ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন। ৬২ দিন পর ওই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি দেশে ফেরেন। ১০ বছরের বেশি সময় পর আজ নিজ জেলা কক্সবাজারে যান সালাহউদ্দিন আহমেদ। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা থেকে তিনি কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান। এরপর দলের নেতা-কর্মীদের গাড়িবহরের সঙ্গে পেকুয়ায় পৌঁছান তিনি। সেখানে তাঁকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাহাদুর শাহ। সভাটি পরিচালনা করেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোছাইন। সভায় জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী সহ অনেক উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সালাহউদ্দিন আহমেদ চকরিয়া শহীদ আবদুল হামিদ পৌর বাস টার্মিনালে বিএনপি আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেন।

 

সবা:স:জু-২৪২/২৪

বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান  প্রধানমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার॥

জাপানসহ বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ এখন উপযুক্ত স্থান বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ভৌগলিক দিক দিয়ে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে আছে। এর সুবিধা নিয়ে বিনিয়োগকারীরা আশপাশের দেশে পণ্য রপ্তানির সুবিধা নিতে পারবেন।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগে রিটার্ন ধারাবাহিকভাবে বেশি হয়েছে। সরকারের বাস্তববাদী নীতির কারণে বাংলাদেশ বিনিয়োগ, শিল্পায়ন এবং রপ্তানির জন্য একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ব্যবসাবান্ধব রাজস্ব, নীতি ও প্রণোদনা, স্থিতিশীল গণতন্ত্র, বিচক্ষণ শাসন ও নেতৃত্বের নিশ্চয়তা বৈদেশিক বিনিয়োগকে লাভবান করবে।

বৃহস্পতিবার জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সম্মেলনে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) যৌথভাবে ‘বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ’ শীর্ষক এ সম্মেলনের আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জেসিসিআই এবং এফবিসিসিআই অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশ ও জাপানের বেসরকারি কোম্পানির মধ্যে ১১টি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

জাপানের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপানের ব্যবসায়ীদের জন্য বাংলাদেশের প্লাটফর্মে উচ্চপর্যায়ের ফোরাম আছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিনিময় হওয়া সমঝোতা দুই দেশের সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার পথে জাপানের বিনিয়োগ সমৃদ্ধি আনবে। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ইজেড স্থাপন বড় অগ্রগতি। জাপান চাইলে সারাদেশে আরও ইজেড স্থাপনে জায়গা দেওয়া হবে। এজন্য নিশ্চিত করা হবে সব ধরনের সুবিধা ও নিরাপত্তা।

১৭ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশকে ব্যবসার একটি বড় বাজার হিসেবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, বাংলাদেশ ১৭০ মিলিয়ন জনসংখ্যার দেশ। এটি নিজেই একটি ক্রমবর্ধমান বাজার এবং প্রায় তিন বিলিয়ন ভোক্তাদের একটি বৃহৎ বাজারের কেন্দ্রস্থল। ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্য ও জার্মানিকে ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজার হয়ে উঠবে বাংলাদেশ।

‘আইসিটি, ইলেকট্রনিক্স, অবকাঠামো, চামড়া, টেক্সটাইল, আতিথেয়তা ও পর্যটন, ভারী শিল্প, রাসায়নিক ও সার এবং এসএমইর মতো বিভিন্ন খাতে সুযোগ অনেক বেড়েছে। আমাদের সরকার ব্যবসা করার মসৃণ, সহজ ও কার্যকর উপায়গুলো সহজতর করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে—যোগ করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা বিদেশি বিনিয়োগের জন্য ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাইটেক এবং সফটওয়্যার পার্ক নির্মাণ করছি। আমি জাপানি বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, বাংলাদেশ আপনার জন্য প্রস্তুত এবং বাংলাদেশে গেলে আপনার দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা হবে। আপনারা ব্যবসার সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সংস্থা এবং কাঠামো সুবিধা পাবেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার পথেই হাঁটছে বকশীগঞ্জের সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা রাজউকের ইমারত পরিদর্শক মনিরুজ্জামান ৭ বছরেই শত কোটি টাকার মালিক শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ নতুন ইতিহাস গড়লেন দীপিকা পাড়ুকোন