ঘন কুয়াশায় কাজিরহাট-আরিচায় মাঝ নদীতে আটকা দুই ফেরি

স্টাফ রিপোর্টার: 

ঘন কুয়াশার কারণে পাবনার কাজিরহাট ও মানিকগঞ্জের আরিচায় মধ্যরাত থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া মাঝ নদীতে আটকা পড়েছে দুটি ফেরি। এতে ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।

বিআইডব্লিউটিসি কাজিরহাট কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক ফখরুজ্জামান বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১১টা থেকে নদীতে কুয়াশার তীব্রতা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে চ্যানেলের মার্কিং পয়েন্ট অস্পষ্ট হয়ে গেলে দুর্ঘটনা এড়াতে রাত ২টার দিকে কাজিরহাট ঘাট থেকে কিষাণী ও আরিচা থেকে ছেড়ে আসা অন্য আরেকটিসহ দুটি ফেরি মধ্য নদীতে নোঙর করে রাখা হয়। এরপর থেকে ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়েছে।

তিনি জানান, কুয়াশার তীব্রতা কমে গেলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করা হবে। আর ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যানবাহনগুলো সিরিয়ালি পার হবে।

উল্লেখ্য, পাবনায় গত চারদিন ধরে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। একই সঙ্গে রাতে ও ভোরে বাড়ছে কুয়াশার ঘনঘটা। এ কুয়াশা নদীতে আরও বেশি হওয়ায় রুট অস্পষ্ট হচ্ছে। ফলে মাঝে মাঝেই বন্ধ রাখতে হচ্ছে ফেরি চলাচল। এ কারণে গত মঙ্গলবার দিনগত রাত ১২টা ৪০ মিনিট থেকে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

 

সবা:স:জু- ৩২২/২৪

টেকনাফে সালিশি বৈঠকে এক বৃদ্ধকে ইট ছুঁড়ে হত্যার অভিযোগ

 

শহীদুল ইসলাম শাহেদ ,টেকনাফ(কক্সবাজার)
কক্সবাজারের টেকনাফে হাঁটার চলাচলের রাস্তার বিরোধের জের ধরে সালিশি বৈঠকে ইট ছুঁড়ে জেঠাতো ভাইয়ের হাতে চাচাতো ভাইকে হত্যার অভিযোগ।

নিহত বৃদ্ধ হচ্ছেন, টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড নয়াপাড়ার হোসন আলীর ছেলে আব্দুস সালাম(৭০)।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে টেকনাফের হোয়াইক্যং ৫ নম্বর ওয়ার্ড নয়াপাড়া এলাকায় ভিকটিমের বসতঘরের উঠানে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিহতের ছোট ভাই নুরুল ইসলাম।

তিনি বলেন,বসত-বাড়ির পাশে চলাচলের রাস্তা নিয়ে আমার ভাই নিহত আব্দুস সালাম ও আমার জেঠাতো ভাই আব্দুস শুক্কুরের মধ্যেই হাটার চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।

এ বিরোধ নিষ্পত্তি’র জন্য স্থানীয় গন্যমান্য
ব্যক্তিবর্গসহ শনিবার সকালে আমার ভাইয়ের বসতঘরের উঠানে একটি বৈঠক করা হয়।
এসময় আব্দুস শুক্কুর ও তার ছেলে আব্দুল্লাহসহ কয়েজন মিলে সালিশ চলাকালীন সময় ইট ছুঁড়ে মারে। এক পর্যায়ে আব্দুস সালামের মাথায় ইট পড়লে সে ঘটনাস্থলে পড়ে যায়।পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন,হাটার চলাচলের রাস্তা বিরোধের জের ধরে নয়াপাড়া এলাকায় এই হত্যাকান্ডটি ঘটে। এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছেন।এবং লাশটি টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়।

লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আসামীরা পলাতক থাকায় কাউকে আটক করা যায়নি।তবে তাদের আটকে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে ওসি জানায়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম