নারীদের নাক-কান ফোঁড়ানোর বিষয়ে ইসলাম

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্ক: 

নারীদের নাক ও কান ফোঁড়ানোর বিষয়ে ইসলামের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে আমাদের দেশের অনেকের মধ্যে এ রকম ধারণাও প্রচলিত রয়েছে যে, কোনো মেয়ে যদি নাক-কান না ফোঁড়ায়, তাহলে কেয়ামতের দিন তার শাস্তি হবে। আসলে এমন কথার কোনো ভিত্তি নেই।

কোনো নারী যদি নাক-কান না ফোঁড়ান তাহলে তার গুনাহ হবে না এবং এ জন্য তাকে আখেরাতে শাস্তির মুখোমুখিও হতে হবে না। তবে অলংকার পরিধানের জন্য নারীদের নাক-কান ফোঁড়ানো জায়েজ। নারী সাহাবিরা কানে অলংকার পরিধান করতেন বলে হাদিসে বর্ণিত রয়েছে।

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঈদের দিন বের হলেন এবং দুই রাকাত নামাজ পড়লেন। আগে-পরে কোনো নামাজ পড়লেন না। অতঃপর বেলালকে (রা.) সঙ্গে নিয়ে নারীদের কাছে গেলেন। তাদেরকে উপদেশবাণী শোনালেন এবং সদকা করার নির্দেশ দিলেন। তখন নারীরা তাদের কানের দুল এবং হাতের কংকন খুলে দিতে লাগলেন। (সহিহ বুখারি: ১৪৩১)

এ হাদিস থেকে নারীদের নাক ফোঁড়ানোর ব্যাপারে নবিজির (সা.) অনুমোদন ও তা জায়েজ হওয়ার বিষয়টি বোঝা যায়।

হজরত আবদুর রহমান ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। আমি এক ব্যক্তিকে ইবনে আব্বাস (রা.)-এর কাছে জিজ্ঞেস করতে শুনেছি, ‘ঈদুল ফিতর বা আজহার কোনো একটিতে কি আপনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন?’ উত্তরে তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ। অবশ্যই তার সঙ্গে আমার এত ঘনিষ্ঠতা না থাকলে স্বল্প বয়সের কারণে আমি তার সঙ্গে উপস্থিত হতে পারতাম না।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বের হলেন। তারপর নামাজ আদায় করলেন। খুতবা দিলেন।’

 

সবা:স:জু- ৩৫০/২৪

আগামী বছর থেকে ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়া হজে যাওয়া যাবেনা

ডেস্ক রিপোর্ট:

আগামী বছর থেকে সরকারি স্বাস্থ্য সংস্থার ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়া সৌদি আরবে যেতে পারবেন না বাংলাদেশি হজযাত্রীরা। কিডনি, ক্যান্সারসহ জটিল রোগ নিয়ে হজ পালন করতে গিয়ে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। এ কারণে যথাযথ ফিটনেস পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি সরকার।

হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) বলছে, প্রাক নিবন্ধনের আগেই সারতে হবে স্বাস্থ্য যাচাই প্রক্রিয়া। চলতি বছর ৮৭ হাজার হাজির মধ্যে ৬৯ হাজার জন বাংলাদেশি সৌদি আরবে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন।

ষাটোর্ধ্ব রিনা আনোয়ার ছেলেকে নিয়ে পবিত্র হজ পালনে গিয়েছিলেন সৌদি আরব। হজের আনুষ্ঠানিকতা যখন শেষ পর্যায়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। জ্বরের পাশাপাশি কমতে থাকে অক্সিজেন লেভেল।বাংলাদেশ মিশন মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসকদের পরামর্শে বৃদ্ধাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেয়া হয় কিং ফাহাদ হাসপাতালে। সেখানে পান বিনামূল্যে চিকিৎসা।

বাংলাদেশ থেকে যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে অনেকে কিডনি, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আগে থেকেই ছিলেন আক্রান্ত। বয়সের কারণে অনেকে সেখানে গিয়ে হয়ে পড়েন অসুস্থ। ২০২৫ সালে ৮৭ হাজার হাজির মধ্যে ৬৯ হাজারজন বাংলাদেশ মিশন মেডিকেল সেন্টার থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। যাদের মধ্যে ৩২৪ জন হাজিকে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে।

বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বিষয়টি নজরে এনেছে সৌদি সরকার। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী বছর থেকে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জন্য লাগবে সরকারি স্বাস্থ্য সংস্থার ফিটনেস সার্টিফিকেট।

হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, এতো হজযাত্রীর জন্য অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা করা কষ্টকর। বিশেষ করে মিনা, মুজদালিফা আর আরাফায় এ ব্যবস্থা কষ্টসাধ্য। সৌদি সরকার চাচ্ছে, ভীষণ অসুস্থ রোগীদের যেন পাঠানো না হয়।

সৌদির এমন সিদ্ধান্তে কাজ শুরু করেছে ধর্মমন্ত্রণালয়। হজযাত্রীরা ফিটনেস সার্টিফিকেট নিতে পারবেন সিভিল সার্জন এবং সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে। হজের মত পবিত্র বিষয় নিয়ে যেন বাণিজ্য না হয় সেদিকে নজর দেয়ার পরামর্শ হাবের।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম বলেন, অনেক রোগী চলে যাচ্ছে, যারা সৌদিতে গিয়েই ডায়ালাসিস করতে হয়।

উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের হজ কাফেলায় সৌদি আরবে মারা গেছেন ৪২ জন বাংলাদেশি। অসুস্থ হয়ে সৌদি আরবে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি ২২ জন।

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম