রাজস্ব আয় কমছে খুলনা জেলা পরিষদের

খুলনা প্রতিনিধি ॥
খুলনা জেলা পরিষদের রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা পরিস্থিতি ও মামলাসংক্রান্ত জটিলতা। যার ফলে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।
চারটি স্থায়ী মার্কেটসহ একটি অস্থায়ী মার্কেট স্থাপনা নির্মাণ নিয়ে গত এক বছর ধরে নানান সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে জেলা পরিষদের রাজস্ব আয় বাড়ায় বাধাসহ মার্কেটের ইজারাদারদেরও বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
জানা যায়, ২০২০ সালের শেষ দিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিয়ে খুলনার চুকনগরে জেলা পরিষদের পরিত্যক্ত ডাকবাংলোর জমিতে ‘চুকনগর সুপার মার্কেট’ এবং পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি বাজারে জেলা পরিষদের জমিতে ‘কপিলমুনি সুপার মার্কেট’ নির্মানকাজের জন্য সেলামির মাধ্যমে টাকা আদায় শুরু হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন করোনার কারণে মার্কেট নির্মাণে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
এদিকে প্রায় ৫০ বছর পর উদ্ধার হয়েছে চুকনগরের যতিন কাশেম সড়কের দুপাশে জেলা পরিষদের জমিতে ৮৫টি অবৈধ স্থাপনা। সেখানে অস্থায়ী মার্কেট নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় দখলদাররা জেলা পরিষদের এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করলে আদালত স্থগিতাদেশ দেন। গত ২ আগস্ট সুপ্রিমকোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশনে ৫৭০/২০২১ নং আপিল পিটিশন শুনানিতে ওই আদেশ স্থগিত হয়। এরই মধ্যে দখলদাররা পানি নিষ্কাশনের সুবিধার কথা বলে ওই জমিতে ড্রেন করার প্রচারণা চালাচ্ছে।
এ ছাড়া খুলনার ডাকবাংলোর মোড়ে জেলা পরিষদের জমিতে খুলনা ট্রেড সেন্টার এবং পাওয়ার হাউস মোড়ে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জমিতে জেলা পরিষদ বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স নির্মাণে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) অনুমোদনে প্রাথমিক পর্যায়ে অনাপত্তি প্রস্তাবনা দাখিল করা হলেও শুধু পাওয়ার হাউস মোড়ের মার্কেটটির জন্য সম্প্রতি অনাপত্তি প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু ডাকবাংলো মোড়ের জমিতে প্রস্তাবিত মার্কেটটি নির্মাণের জন্য অদ্যাবদি কোনো অনাপত্তি এখনও দেয়নি কেডিএ।

এ বিষয়ে খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান জানান, করোনার কারণে মার্কেট নির্মাণে বিলম্ব হয়েছে। চুকনগর সুপার মার্কেট এবং কপিলমুনি সুপার মার্কেট নির্মাণের অনুমোদন পাওয়ার পর সেলামি সংগ্রহের কাজ শেষ করে মার্কেট দুটি নির্মাণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগের কার্যক্রম গ্রহণের কাজ প্রক্রিয়াধীন।

 

 

শার্শায় ওষুধ ফার্মেসীতে দু:সাহসিক চুরি সংগঠিত

 

আতিকুজ্জামান (শার্শা) যশোর :

যশোরের শার্শায় রাতের আঁধারে ওষুধ ফার্মেসীর চালের টিন কেটে দু:সাহসিক চুরি সংগঠিত হয়েছে।চোরেরা এসময় দোকানের চালের টিন কেটে নগদ টাকা ও মোবাইল রিচার্জ কার্ড চুরি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাতে শার্শা উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের গোড়পাড়া বাজারে ঔষধ ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেনের ব‍্যবসা প্রতিষ্ঠান ফাতেমা ফার্মেসীতে এ চুরির ঘটনাটি ঘটে।

ফাতেমা ফার্মসীর প্রোপ্রাইটার বিল্লাল হোসেন বলেন, গতকাল হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় আমি তাড়াতাড়ি করে বাড়িতে চলেযায় কিন্তু ঐ সময় আমার দোকানে থাকা নগদ ৩লক্ষ টাকা নিতে খেয়াল ছিল না। আমি সকালে এসে দোকান খুলে দেখি পিছনে অতিরিক্ত পরিস্কার তখন আমি মনে করি পিছনের লাইট জ্বলছে কিন্তু আমি পিছনে এসে দেখি দোকানের চালের টিন কাটা। তখন আমি সামনে এসে দেখি ড্রয়ার ভাঙ্গা এবং ড্রয়ারের ভিতরে থাকা নগদ ৩ লক্ষ টাকাসহ অনেক গুলো মোবাইল রিচার্জ কার্ড চুরি করে নিয়েগেছে। তিনি আরও বলেন আমার দোকানের পাশেই বাজারের নাইটগার্ড থাকে তাহলে কিভাবে আমার দোকান থেকে চুরি করে পালিয়ে যায় চোর।

এ বিষয়ে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মনিরুজ্জামান জানান, চুরির বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম