কৃষি অফিসার ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এর দূর্নীতির বিরুদ্ধে কৃষকদের স্মারক লিপি প্রদান।

মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এর দূর্নীতির বিরুদ্ধে কৃষকরা স্মারক লিপি প্রদান করেছেন জেলা প্রশাসকের কাছে। আজ বৃহঃবার ( ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ) সকালে এ স্মারক লিপি প্রদান করেন কৃষকদের একটি প্রতিনিধি দল। স্মারক লিপিতে কৃষকেরা উল্লেখ্য করেন,কৃষকদের কষ্টে অর্জিত ট্যাক্সের টাকার মাধ্যমে যে সকল কৃষি কর্মকর্তার বেতন হয় তা হারায় কৃষকের সাথে প্রতারনা করে চলেছে। কৃষকদের ভর্তূকিকৃত সার মোঃ শহিদুল ইসলাম বিসিআইসি ডিলার ষোলটাকা,গাংনী,মেহেরপুর। রাসায়নিক সার ডিলারদের নেতা পরিচয়ে, বিজয় কৃষ্ণ।

হালদার উপ-পরিচালক কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর মেহেরপুর ও মোঃ ইমরান হোসেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাংনী,মেহেরপুরের সহযোগিতায় দূর্নীতি করে আসছে। মেহেরপুর জেলায় বিজয় কৃষ্ণ হালদার যোগদানের পর থেকে কৃষকদের মাঝে হতাশা, বিষন্নতা তৈরী হয়েছে। কৃষকের দীর্ঘদিন ঘরে বৈষম্য ও বঞ্চনার স্বীকার হচ্ছে। কৃষকদের মাঝে অস্থিরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন পরিস্থিতির কারনে তাদেরকে অতি স্বত্বর বদলি ও তদন্ত করে শাস্তির আওতায় আনা দরকার।

এই দুই কৃষি কর্মকর্তা যোগদানের পর থেকে যে সকল অনিয়ম ও দূর্নীতি করে আসছে তা নিম্নরুপঃ

কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার ও কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেনের সহযোগিতায় ষোলটাকা ইউপি বিসিআইসি ডিলার মোঃ শহিদুল ইসলাম তার লাইসেন্সে বরাদ্দকৃত সার জানুয়ারী/২৪ থেকে অক্টোবর/২৪ইং তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশ ডিএপি (ডাই  অ্যামোনিয়াম ফসফেট) বাংলাদেশ টিএসপি (ট্রিপল সুপার ফসফেট) সার ষোল টাকা ইউনিয়নে কোন কৃষকের কাছে বিক্রয় করেন নাই।  শহিদুল ইসলামের পরিবারের মধ্যে চারটি লাইসেন্স রয়েছে যা থেকে একটি বিএডিসি লাইসেন্সের মাল নিয়ে এসে ১ বস্তা বাংলাদেশ টিএসপি (ট্রিপল সুপার ফসফেট) সার ১৩৫০ টাকার স্থলে দুই হাজার ৫০০শত থেকে ২ হাজার ৬০০ শত টাকায় বিক্রয় করে থাকে, বাংলাদেশ ডিএপি( ডাই  অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সার ১০৫০ টাকার স্থলে এক হাজার ৭০০শত থেকে ১ হাজার ৯০০ শত টাকায় বিক্রয় করে থাকেন। কৃষকেরা ক্যাশ মেমো চাইলে তাদের কাছে সার বিক্রয় করা হয়না।

ডিলার সূত্রে জানা যায়, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদারকে মাশুয়ারা দিয়ে এই কাজটি করে থাকেন।  খামার যন্ত্রপাতি(মেশিনারীজ) প্রকৃত কৃষকদের না দিয়ে ব্যবসায়ীদের মাঝে বিতরন করে থাকেন। নামমাত্র কৃষকদের দুই একটি দিয়ে বিক্রয় মূল্য আদায় করেছেন ৩৬ লক্ষ টাকা। অনাবাদী পতিত যায়গায় পারিবারিক পুষ্টি বাগানের দূর্নীতি যেমন জৈবসার, ভার্মি কম্পোষ্ট সার, সবজি বীজ সংরক্ষন পাত্র, কৃষকদের মালামাল পরিবহন খরচ ও পরবর্তী মৌসুমের বীজ/চারা বিতরন না করে আত্মসাৎ করেছেন। যশোর অঞ্চলের টেকসই প্রকল্পের প্রর্দশনী প্লট শরিফা, এভোকাডো, ড্রাগন, মাল্টা, কমলা, পেঁপে বাগান স্থাপন না করে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।  ২০২৩ সালে ধানখোলা ইউনিয়নের ভূয়া কৃষক তালিকা তৈরী করে ধান, ভূট্টা, গম বীজ ও সার আত্মসাৎ করেছেন। কৃষকদের সকল উপকরন নিশ্চিতকরণ ও দূর্নীতি মুক্তদেশ গড়ার লক্ষ্যে এই দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বদলি ও শাস্তির আওতায় আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করার জোর দাবি জানায় কৃষকেরা।

 

সবা:স:জু- ৪২৫/২৪

উন্নয়নশীল দেশে কম-বেশি দুর্নীতি হবেই : কৃষিমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্কঃ

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশে দুর্নীতি উধাও হয়ে গেছে, একবারে দুধের মতো স্বচ্ছ- এটা আমরা কোনো দিনই দাবি করি না। উন্নয়নশীল দেশে কম-বেশি দুর্নীতি হবেই। বেকারত্ব, দারিদ্র অনেক বেশি। দুর্নীতি পৃথিবীর সব দেশেই আছে। আমেরিকার মতো দেশে দুর্নীতি আছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে কমবেশি দুর্নীতি আছে। কিন্তু আমরা যে প্রবৃদ্ধিটা ধরে রেখেছি, এটিকে আপনারা কীভাবে দেখবেন! এটা কী করে হলো, এটা কী কোনো জাদু বলে! এটা কি আমরা বানিয়ে দিয়েছি? এশিয়ার ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মাল্টিল্যাটারাল ডেভেলপমেন্ট পার্টনার, ডোনাররা- তারাই তো এটি বলছে। তারাই তো মূল্যায়ন করেছে।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে কৃষিপণ্য ও আলু রপ্তানির অগ্রগতির বিষয়ক সভার শুরুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেছেন আব্দুর রাজ্জাক।

প্রসঙ্গত, রবিবার সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এবং ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডাব্লিউইএফ) এক যৌথ জরিপে উঠে এসেছে, ২০২১-২২ অর্থ-বছরে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক পরিবেশের অগ্রগতি হয়নি। এটি হয়তো স্থবির ছিল, অথবা আগের তুলনায় আরও খারাপ হয়েছে। এজন্য দায়ী করা হচ্ছে দুর্নীতিকে। গত বছর এই দুর্নীতিই ছিল ব্যবসায় উন্নতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। শুধু তাই নয়, ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে চ্যালেঞ্জ, দুর্বল আমলাতন্ত্র ও মূল্যস্ফীতিও ছিল ব্যবসার জন্য বাধা।

ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, কাজেই সিপিডি যে গবেষণা কার্যক্রমটি চালিয়েছে, এটা কী ম্যাথোলজি ছিল, কীভাবে তথ্য সংগ্রহ করেছে, সেটি আমাদের জানতে হবে। আমাদের সামনে সেটি দেখাতে হবে। সিপিডি অবশ্যই রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। সিপিডি খুবই আন্তরিকভাবে প্রফেসর ইউনূসকে নিয়ে মাঠে নেমেছিল। দুর্ভাগ্য এদেশের মানুষ এত সচেতন, জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। আওয়ামী লীগ তাদের সরায়নি। আওয়ামী লীগের আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাসহ সবাই আমরা জেলে ছিলাম। কিন্তু জনগণ তাদের একেবারে পত্রপাঠে বিদায় করেছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম