বাড়িতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হলেন পুলিশ সদস্য

স্টাফ রিপোর্টার: 

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে রুহুল আমিন (৩৮) নামে এক পুলিশ কনস্টেবল গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানায় কর্মরত।

শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তাঁকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। পরে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে ২০০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি দেন।

জানা গেছে, রুহুল আমিন মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার আদার মানিক গ্রামের মো. আবুল হকের ছেলে।

আহত পুলিশ সদস্যের স্ত্রী সুমি আক্তার বলেন, ‘মেডিকেল লিভে আমার স্বামী বাড়িতে এসেছিলেন। জানুয়ারির ৫ তারিখে তাঁর কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। গত রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির সামনেই অটোস্ট্যান্ড থেকে বাসায় ফেরার পথে অজ্ঞাত কয়েক দুর্বৃত্ত তাঁর বাম হাতে দুটি ও ঘাড়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে আমরা প্রথমে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গতরাত আড়াইটার দিকে তাঁকে ঢামেকে আনলে চিকিৎসক তাঁকে ভর্তি দেন।’

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে সুমি আক্তার বলেন, ‘চিকিৎসক বলেছে, তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর অপারেশন হবে।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে সুমি আক্তার বলেন, ‘আমার একটি মাত্র মেয়ে আছে। আপনারা আমার স্বামীর জন্য দোয়া করবেন।’

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, গতরাতে মুন্সিগঞ্জ থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই পুলিশ কনস্টেবলকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হলে তাঁকে হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা শেষে তাঁকে ভর্তি রাখা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। আমরা বিষয়টি গজারিয়া থানা পুলিশকে জানিয়েছি।

সবা:স:জু- ৪৭১/২৪

কু কর্মের গডফাদার অবৈধ অস্ত্র হাতে নুরু ধরাছোযার বাহিরে?

স্টাফ রিপোর্টারঃ
কড়াইল জুড়ে বিতর্কিত ভয়ংকর কিলার নুরু অবৈধ অস্ত্র হাতে আলোচিত আলামিন হত্যা মামলার আসামি প্রকাশ্যে ঘুরছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী চোখে ছাওনি কিছুই দেখছে না। রাজধানী ১৯ নং ওয়ার্ড কড়াইল বস্তি ওরা ভয়ংকর কিলার নামে চিহ্নিত,গ্যাস, বিদ্যুৎ, মাদক, জোয়ার বোর্ড নিয়ন্ত্রণ সহ নানার অপরাধ নিয়ে নুরুল সাম্রাজ্য। ১৯ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিব হামজার হত্যার কাণ্ডে জড়িত তো থাকার অভিযোগ রয়েছে নুরু ও তার সহযোগী জসিমের বিরুদ্ধে। এজাহার নাম ছিল হঠাৎ সেই নাম উধাও এমনটা জানিয়েছেন আলামিনের পরিবার। আল আমিন হত্যার পরও বুক ফুলিয়ে জন্মদিন পালন সহ আনন্দ উল্লাসে এলাকার দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন নুরু। জাতীয় প্রেসক্লাবের মানববন্ধন বিভিন্ন কর্মকর্তাদের কাছে গিয়ে আলামীনের মূল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করাতে পারছে না পরিবারটি। কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছে কিন্তু মামলার মূল আসামি নূরু ওরফে নূরী আলম রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। মামলার বাদিয়া রয়েছেন আতঙ্কে দীর্ঘ পাঁচটি মাস হয়ে গেল চাঞ্চল হত্যা মামলার আসামির নুরুকে গ্রেফতার করছে না দায়িত্বগত কর্মকর্তারা। রহস্যময় কারণ কি স্থানীয়দের মাঝে এমনই প্রশ্ন জেগেছে। অভিযোগ করতেছেন নুরু প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় কড়াইল এলাকায় পটোকল হিসেবে কড়াইল বস্তির ব্রিডিং ইনচার্জ এস আই মাহবুব মাহবুব ও কনস্টেবল সানোয়ার তাদের শেল্টারে নুরু বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নুরুর সকল কুকর্মের সব অপরাধের জন্য সহযোগিতা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাহাবুব এর বিরুদ্ধে ।
পৃথবীর সৃষ্টির শুরু থেকে মানুষের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ, খুন-খারাবি হয়েই আসছে। কিন্তু এসব হত্যার ভেতর কিছু হত্যাকাণ্ড সত্যিই ভয়ংকর। পৃথিবীর বুকে এ রকম নৃশংস খুনের সংখ্যা একেবারেই কম নয়। সেসব খুনের বর্ণনা দেওয়া লোমহর্ষক ব্যাপার। শুধু একটা নয়, অবৈধ অস্ত্র হাতে তুলে সন্ত্রাসী তাণ্ডব মানুষকে করছেন বিভ্রান্ত। খুনিরা একের পর এক খুন করে নিজেদের নাম লিখিয়েছে সিরিয়াল কিলার হিসেবে।

সিরিয়াল কিলারঃ
যে একটার পর একটা খুন নির্বিঘ্নে সংগোপনে চালিয়ে যেতে পারে তাকে সিরিয়াল কিলার বলে। সিরিয়াল কিলাররা সাধারণত রাগ, উত্তেজনা, অর্থের প্রভাব ইত্যাদি কারণে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে থাকে। চলুন জেনে নিই পৃথিবীর ইতিহাসে ভয়ংকর সিরিয়াল কিলার যশোরে কুখ্যাত খুনি এরশাদ শিকদার সম্পর্কে।
এরশাদ শিকদার: বাংলাদেশের ইতিহাসে সিরিয়াল কিলারদের ভেতর তার নাম স্মরণাতীত। তার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মাদারঘোনায়। পরবর্তীতে ১৯৬৬-৬৭ সালের দিকে সে খুলনায় চলে আসে জীবিকার সন্ধানে। প্রথম দিকে সে কুলির সহযোগী হিসেবে কাজ করে। এরপর আস্তে আস্তে ছোটখাটো চুরিচামারির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এলাকায় রাঙ্গা চোরা নামে ডাকতে থাকে সবাই। চুরি করতে করতে একসময় যোগ দেয় খুনিদের সঙ্গে। একের পর এক খুন করতে থাকে সে। রাজসাক্ষী হয়ে আদালতকে তার দেহরক্ষিত চঞ্চল্যকর তথ্য দেন। জানায়, কমপক্ষে ৬০টি খুন করেছে সে। আদালতের কাছে সে ২৪টির হুবহু বর্ণনা তুলে ধরে। এরশাদ শিকদারের ছয়টি বিয়ের কথা জানা যায়। বহু নারীর নির্যাতনের খবরও দেয় রাজসাক্ষী সে জানায়, কৌশলে মিষ্টি ব্যবহার করে নারীদের তার আস্তানায় এনে নির্যাতন চালাত এরশাদ শিকদার। ১৯৯৯ সালে যখন সে গ্রেপ্তার হয়, তখন তার নামে মামলা ছিল ৩টি। এরপর তার নামে আরো ৪৩টি মামলা দায়ের করা হয়। সাতটি মামলায় তার ফাঁসির দণ্ডাদেশ হয় নিম্ন আদালতে। চারটি মামলায় হয় যাবজ্জীবন। ২০০৪ সালের ১০ মে মধ্যরাতে খুলনা জেলা আদালতে তার ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম