বিএনপির নেতা-কর্মীদের মারধরে ছাত্রদল নেতা নিহত

স্টাফ রিপোর্টার:

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মারধরে পাভেল মিয়া (৩০) নামের ছাত্রদলের এক নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার জেরে বিএনপির এক নেতা ও তার অনুসারীদের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।নিহত পাভেল কাঞ্চন পৌরসভা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক আহ্বায়ক। তিনি পৌরসভার কৃষ্ণনগর এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে।

পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল রাতে শুভ নামের পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার সঙ্গে কাঞ্চন পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলামের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে শুভর পক্ষ নিয়ে আমিনুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে তর্কে জড়ান পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. বায়জীদ। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ উত্তেজিত হয়ে পরস্পরকে কাঞ্চন পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে আসতে বলে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে মো. বায়জীদ, তার অনুসারী জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন আমিনুল ইসলামকে খুঁজতে পৌরসভার সামনে আসেন।

এ সময় পৌর কার্যালয় এলাকায় একটি মন্দিরের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন পাভেল মিয়া। তখন একা পেয়ে দলবল নিয়ে পাভেলকে মারধর করেন বায়জীদ। পরে স্থানীয় লোকজন পাভেলকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক পাভেলকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে রাতে পাভেলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার অনুসারী ও এলাকার লোকজন বায়জীদ, জাহাঙ্গীর ও শুভর বাড়িঘরে হামলা চালান এবং তিনটি টিনের ঘরে আগুন দেন। পরে কাঞ্চন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

নিহত পাভেলের বড় ভাই পৌরসভা বিএনপির নেতা শাহিন মিয়া বলেন, ‘গতকাল রাতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে আমি নিজে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানাই। আজ বুধবার সকালে দলের নেতাদের নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার কথা বলেছিলাম। কিন্তু বায়জীদ আমাকে উপেক্ষা করে দলবল নিয়ে আমিনুলকে খুঁজতে পৌরসভার সামনে আসেন। সেখানে তারা পাভেলকে একা পেয়ে হত্যা করেন।’

এ বিষয়ে জানতে বায়জীদ ও শুভর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের এলাকায় পাওয়া যায়নি। পাভেল নিহতের পর থেকে তাদের মুঠোফোন বন্ধ রয়েছে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আসামি গ্রেপ্তারের জন্য তৎপর রয়েছে পুলিশ।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (গ-সার্কেল) মেহেদী ইসলাম বলেন, বিএনপি নেতাদের হামলায় ছাত্রদল নেতা পাভেল নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত বিএনপি নেতার ঘরসহ তিনটি ঘরে আগুন দিয়েছেন। বাড়িতে কেউ না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। রাত থেকেই এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

 

সবা:স:জু- ৪৯২/২৪

নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় সার্ভেয়ার ফ্যাসিস্ট মামুনের দূর্নীতিতে অতিষ্ঠ সাধারণ গ্রাহকরা

স্টাফ রিপোর্টার:

সার্ভেয়ার মামুন নারায়ণগঞ্জ জেলার ভুমি অধিগ্রহণ শাখায় ২০১৯ সার্ভেয়ার পদে পোষ্টিং পায় তৎকালীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের ক্ষমতাধর এমপির তদবিরে নারায়ণগঞ্জ ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় বদলি হয়ে আসেন। গত ৫ আগষ্ট এর পরে বাংলাদেশের ভূমি প্রশাসনের সকল স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী বদলি হয়। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় সার্ভেয়ার মামুন,আনোয়ার, কানুণগো হাবিবুর রহমান তাদের কোনো ধরনের বদলি হয়নি। বিভিন্ন অনুসন্ধানে জানা যায়, ততকালীন আওয়ামীলীগ সরকার আমলে নিয়োগ প্রাপ্ত সার্ভেয়ার মামুন,আনোয়ার কানুনগো হাবিবুর রহমান বিভিন্ন উপায়ে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের জমি অধিগ্রহণ ক্ষেত্রে জমির মূল্য বেশী করে দেখানোর কথা বলে সাধারণ মানুষ এর কাছ থেকে নাল শ্রেণির জমিকে ভিটি এবং বাণিজ্যিক শ্রেণির জমি দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা উত্তোলন করছেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব এর মাধ্যমে জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনার ঢাকা বিভাগ ঢাকাকে মাসিক চাঁদা দিয়ে নারায়ণগঞ্জ এলএ শাখায় বহাল তবিয়তে আছেন।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, সার্ভেয়ার মামুনের ইচ্ছার বাহিরে নারায়ণগঞ্জ ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় কোনো সার্ভেয়ার বা কোনো ধরনের ষ্টাফ বদলি করা হয় না।মামুন এর তৎপরতায় আরও জানা যায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মোঃ জাহিদ হাসান সিদ্দিকী তার মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ ভুমি অধিগ্রহণ শাখায় সার্ভেয়ার মামুন নিয়ন্ত্রণ করে একটা বিশাল সিন্ডিকেট তৈরি করে রেখেছেন।সার্ভেয়ার মামুন ইতোমধ্যে তার চাকরি ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় ছয় বছরের অধিক হওয়ায় বর্তমানে এডিসি জাহিদ হাসান সিদ্দিকীর মাধ্যমে প্রায় কোটি টাকা খরচ করে। তার বদলি আদেশ নবায়ন করে নেন। বিভিন্ন অনুসন্ধানে দেখা যায় সার্ভেয়ার মামুন এর পূর্বাচল উপশহরে তার নামে পাঁচ কাঠা এবং তার স্ত্রীর নামে পাঁচ কাঠা, ঝিলমিল প্রকল্পে তিন কাঠা তার স্ত্রীর নামে,উত্তরা নিগার প্লাজায় রূপশী কালেকশন নামে তার একটি কসমেটিক্সের দোকান আছে। যার বর্তমান মূল্য ৩-৪ কোটি
টাকা। ঢাকার মিরহাজারি বাগের রূপশী কালেকশন নামে শীটের দোকান আছে।ঢাকার উত্তরাতে ৬ নম্বর সেক্টরের রোড নং ১১ বিথি অহির নামে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন, বর্তমানে ইনটোরিয়রের কাজ চলছে। ঢাকা উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টর, রোড নম্বর ৩, এ একটি বায়ইং হাউজ খুলছেন। তার বন্ধু সুলতানকে এমডি করছেন। আর তার নাম হচ্ছে ইকরা লাইট হাউজ। তাঁর নিজ বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানা শহরের মদনপুরা ইউনিয়নে তার বাপের নামে ১ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকার জমি কিনে দিয়েছেন। তার বাবা কিন্তু কৃষক! বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট এর লোককে সার্ভেয়ার মামুন কোটি টাকা খরচ করে চেয়ারম্যান বানিয়েছেন। বর্তমানে সে পলাতক অনেক মামলার আসামি মামুন তাকে বিভিন্ন ভাবে টাকা দিয়ে সহযোগিতা করতাছে।তাঁর সাথে এসব বিষয়ে কথা বললে আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করে। এবং সে বলে আমরা বিভাগীয়  কমিশনার,ডিসি,এডিসিকে ম্যানেজ করে থাকি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম