ফিলিস্তিনে আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশ

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্কঃ 

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার সম্প্রচার সাময়িকভাবে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।

ওয়াফা নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির সংস্কৃতি, স্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি ফিলিস্তিনে আলজাজিরার কার্যক্রম স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্ত গাজা ভূখণ্ডে কার্যকর হবে না।

কেননা গাজা শাসন করে না ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।

বিবৃতিতে বলা হয়, আলজাজিরা ফিলিস্তিনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভুল তথ্য ও উসকানিমূলক প্রতিবেদন প্রচার করায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আলজাজিরার বিষয়ে এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে হামাস।

এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ শহরে আলজাজিরার ব্যুরোতে হামলা চালায় ইসরায়েল।

সেই সময় এটি বন্ধেরও নির্দেশ দেয়। তারও আগে, গত বছরের মে মাসে একটি আদেশ জারি করে নিজেদের দেশে কার্যক্রম পরিচালনা ও সম্প্রচার নিষিদ্ধ করে ইসরায়েল।

 

সবা:স:জু- ৬১৪/২৫

‘২৬ জনের বদলে ২৬০০ মুসলিমকে হত্যা করব’

স্টাফ রিপোর্টার:

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতে বিভিন্ন জায়গায় মুসলমানদের ওপর উগ্র হিন্দুদের হামলা ও নির্যাতন বেড়েছে। সম্প্রতি আগ্রার বিখ্যাত এক বিরানির দোকানের মালিক দুই ভাইকে তাদেরই দোকানের সামনে গুলি করা হয়। এতে এক ভাই নিহত হয়েছেন এবং অন্যজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, শহীদ আলি চিকেন বিরিয়ানি হাউজ নামের সেই দোকান চালাতেন দুই গুলফাম আলি ও সাইফ আলি। রাতে বিক্রি শেষে গুলফাম দোকান বন্ধ করছিলেন এবং সাইফ আলি ঝাড়ু দিচ্ছিলেন। এসময় হঠাৎতই দু’জন এসে গুলফামে ওপর গুলি চালায়। গুলি খেয়ে গুলফাম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সাইফ পেছন থেকে এগিয়ে এলে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ঘটনাস্থালেই মারা যান গুলফাম। অল্পের জন্য বেঁচে যান সাইফ।

এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার একদিন পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও বার্তা দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন দুই যুবক। নিজেদের তারা ‘গো রক্ষা দলে’র সদস্য বলে দাবি করেন। ভিডিও বার্তায় তারা ঘোষণা করেন, পেহেলগামে ২৬ জনের বদলে ২৬০০ মুসলমান হত্যার করা হবে।

ভিডিওতে এক যুবক বলেন, আগ্রা শহরে আজ ২জন মুসলিমকে হত্যা করেছি- এর দায় আমি নিচ্ছি। ২৬ জনের বদলে যদি ২৬০০জন মুসলিমকে হত্যা করতে না পারি তাহলে আমি ভারত মায়ের সন্তান নই।’

ভিডিওতে ওই যুবকের কোমড়ে একটি পিস্তলসহ আরও দুটি চাকু দেখা যায়। তার সাথে যে যুবক ছিল তার কোমড়েও অস্ত্র ছিল।

ভারতের উগ্র সংগঠন রাষ্ট্রীয় সয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস) এবং সংঘ পরিবারের সঙ্গে এই গো রক্ষা দলের সংশিষ্টতা রয়েছে। ইতোমধ্যে এই গো রক্ষা দল দলিত হিন্দু ও মুসলমানদের ওপর বহু হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে।

তবে ভারতের গণমাধ্যমে এই হামলা তেমন জায়গা পায়নি। নিহত ব্যক্তির কোনো ছবিও প্রকাশ করা হয়নি।

অপরদিকে পেহেলগামের ঘটনা কেন্দ্র করে উত্তরপ্রদেশের বাড়িওয়ালারা কাশ্মীরি মুসলমানদের বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছেন। হিন্দু দোকানদাররা মুসলমানদের কাছে পণ্য বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। এছাড়াও দেশটির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে লেখা হয়েছে, ‘মুসলিম অ্যান্ড ডগস আর নট অ্যালাউড’।

এসব ঘটনায় ভারতের পুলিশ ও প্রসাশন একেবারে নীরব। এখন পর্যন্ত তাদের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম