বিদায়ী বছরে সড়কে ঝড়েছে ৮৫৪৩ প্রাণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

বিদায়ী বছরে ৬ হাজার ৩৫৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ৮ হাজার ৫৪৩ জন আর আহত হয়েছেন ১২ হাজার ৬০৮ জন। ২০২৪ সালে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

আজ শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত ‘২০২৪ সালের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, ২০২৪ সালে ৬ হাজার ৩৫৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৮ হাজার ৫৪৩ জন। এছাড়াও আহত হয়েছেন ১২ হাজার ৬০৮ জন। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ছয় হাজার ৯৭৪টি দুর্ঘটনায় ৯ হাজার ২৩৭ জন নিহত এবং ১৩ হাজার ১৯০ জন আহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, রেলপথে ৪৯৭টি দুর্ঘটনায় ৫১২ জন নিহত, ৩১৫ জন আহত হয়েছে। নৌ-পথে ১১৮টি দুর্ঘটনায় ১৮২ জন নিহত, ২৬৭ জন আহত এবং ১৫৫ জন নিখোঁজ রয়েছে। এই সময়ে ২ হাজার ৩২৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ হাজার ৫৭০ জন নিহত ও ৩ হাজার ১৫১ জন আহত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, সমাজ উন্নয়ন কর্মী আবদুল্লাহ আল-জহির স্বপন, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাওহীদুল হক, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্য মো. জিয়াউল হক চৌধুরী।

 

সবা:স:জু- ৬৩২/২৫

ইমামকে দিগম্বর করে ভিডিও ধারণকারী গ্রেফতার গাজীপুরের সেই মাদ্রাসায় এখনো তালা ঝুলছে

মোসাঃহাফসা আক্তার।

গাজীপুরে জুমার বয়ানে মাদকের কুফল নিয়ে আলোচনার জেরে মসজিদের ইমামকে মারধর ও দিগম্বর করে ভিডিও ধারণ করার মামলার প্রধান আসামী মফিজুর রহমান টুটুলকে মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতার করেছে মহানগর গাছা থানা পুলিশ। টুটুল গাছা থানার চান্দরা এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। টুটুল ও তার সহযোগীদের অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল। মঙ্গলবার বিকেলে গাছা থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জিএমপি দক্ষিণ বিভাগের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।
এদিকে সরেজমিনে চান্দরা আল আকসা জামে মসজিদ ও মসজিদ সংলগ্ন দারুল হাবিব মাদ্রাসায় গিয়ে ভুক্তভোগী ইমাম মুফতি শফিকুল ইসলাম তালুকদারকে পাওয়া যায়নি। মাদ্রাসাটির প্রধান ফটকে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। মুসল্লিরা জানান, আলোচিত ঘটনার পর তিনি দুই মাসের ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায় চলে গেছেন। তার পরিচালিত দারুল হাবিব মাদ্রাসাটিও সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আসরের নামাজের সময় কথা হয় মুসল্লি শামসুল হকের সাথে। তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ি অন্য মহল্লায়। আমাদের মহল্লার মসজিদের পরিবর্তে আমি এই মসজিদের ইমামের পেছনেই বেশি নামাজ পড়ি। এই ইমামের সূরা-কিরাত উচ্চারণ আমার খুব ভালো লাগে, তার বয়ান শুনলে হৃদয় কেঁপে উঠে।’
অপরদিকে মাদকের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, মাদক কারবারি টুটুল ও তার সহযোগীদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। টুটুল ও তার বড় ভাই সরকারি দল আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পান না। তাছাড়া টুটুল গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গাছা অঞ্চলের প্রভাবশালী একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ঘনিষ্ট লোক হিসেবে এলাকায় পরিচিত এবং একসময় সাবেক গাছা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের একজন প্রভাবশালী নেতার সাথে ঝুট ব্যবসাও করতেন টুটুল। মসজিদের একজন মুসল্লি মাদকের বাস্তব চিত্র দেখানোর জন্য সংবাদকর্মীদেরকে মসজিদে যাওয়ার রাস্তায় নিয়ে যান। এসময় ওই রাস্তার পাশে বাউন্ডারি বেষ্টিত একটি খালি জায়গায় ফেনসিডিলের খালি বোতল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, জুমার বয়ানে মাদকের কুফল নিয়ে আলোচনা করায় মসজিদের ইমামকে মারধর ও দিগম্বর করে ভিডিও ধারণ করার সংবাদ গত সোমবার বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ হওয়ার পর প্রশাসনের টনক নড়ে। এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে পুলিশের পক্ষ থেকে ওই এলাকায় মাদক বিরোধী সমাবেশ করা হয়। এ সমাবেশে একাধিক বক্তা পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘মাদক কারবারিদের কবল থেকে আমাদেরকে বাঁচান, আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে বাঁচতে চাই।’

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম