প্রেমিকাকে না পেয়ে অভিমানে এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা

স্টাফ রিপোর্টারঃ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রেমিকাকে বিয়ে করতে না দেওয়ায় শাহাদাত ইফাম (১৪) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে প্রেমিকের বন্ধুরা প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের উকিলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ড পৌরসদরের দক্ষিণ মহাদেবপুর (নলুয়াপাড়া) এলাকার এক এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে পার্শ্ববর্তী মুরাদপুর ইউনিয়নের উকিলপাড়া গ্রামের মো. রফিক আলমের ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী শাহাদাত ইফামের। সম্প্রতি প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে ঠিক হলে প্রেমিক ইফাম তাকে বিয়ে করতে নিজ পরিবারের সম্মতি চায়। কিন্তু তার পরিবার এত অল্প বয়সের ছেলেকে এখনই বিয়ে করাতে রাজি না হয়ে বকাবকি করলে পরিবারের উপর অভিমান করে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইফাম আত্মহত্যা করে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্কুলছাত্রের লাশটি উদ্ধার করে। পরে লাশের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ থানায় নিয়ে আসে। এসময় ইফামের বন্ধুরা থানায় গিয়ে জড়ো হয়। পরে পরিবারের লোকজন ও বন্ধুরা লাশ ময়নাতদন্ত করবে না মর্মে লিখিত দিয়ে বিনা ময়নাতদন্তে বাড়িতে নিয়ে যায়।

এদিকে এ ঘটনার পর ইফামের বন্ধুরা ক্ষুব্ধ হয়ে সীতাকুণ্ড পৌরসদরের দক্ষিণ মহাদেবপুর (নলুয়াপাড়া) এলাকায় প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

সীতাকুণ্ড থানার (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ওসি মো. মজিবুর রহমান বলেন, পরিবারের বকুনি খেয়ে ছেলেটি নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে আমরা লাশ নিয়ে আসলে তার সহপাঠী ও অভিভাবকরা থানায় এসে ময়নাতদন্ত না করার জন্য লিখিত আবেদন করে নিয়ে যায়। পরে বন্ধুরা প্রেমিকার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। কিন্তু এ বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।

 

সবা:স:জু- ৭২৪/২৫

হঠাৎ গহীন পাহাড় ঘিরে ফেলল র‌্যাব-বিজিবি, লুকিয়ে ছিল ৮০ জন

হঠাৎ গহীন পাহাড় ঘিরে ফেলল র‌্যাব-বিজিবি, লুকিয়ে ছিল ৮০ জন

কক্সবাজার সাংবাদদাতা:

কক্সবাজারের টেকনাফের গহীন পাহাড়ে অপহরণ ও মানব পাচারকারী চক্রের আস্তানায় যৌথ অভিযান চালিয়েছে বিজিবি ও র‍্যাব। অভিযানে বিভিন্ন সময় অপহৃত এবং সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের জন্য জড়ো করা অন্তত ৮০ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার বিকেল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এ অভিযান চলে। এ সময় মানব পাচারকারীরা পাহাড় থেকে যৌথবাহিনীর ওপর গুলি ও পাথর নিক্ষেপ করে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-২) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান। তিনি বলেন, টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মানব পাচার, অপহরণ ও মুক্তিপণের প্রবণতা বেড়ে চলেছে। এগুলো বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় সক্রিয়। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি ও র‍্যাব যৌথ অভিযান চালায়।

লে. কর্নেল আশিক বলেন, রাজারছড়া গহীন পাহাড়ি এলাকায় একটি আস্তানা ঘিরে ফেললে পাচারকারীরা গুলি ও পাথর নিক্ষেপ করে। পরে অভিযানে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ অন্তত ৮০ জনকে উদ্ধার এবং চার পাচারকারীকে আটক করা হয়। তিনি আরও বলেন, অভিযান থেকে দুটি দেশীয় একনলা বন্দুক, একটি বিদেশি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানানো হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম