মোহনপুরে পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের পরিকল্পনা সভা

রাজশাহী প্রতিনিধি:

রাজশাহীর মোহনপুরে পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি)’র উদ্যোগে ও দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর এমআইপএস প্রকল্পের সহযোগিতায় পিএফজির সম্মিলিত কার্যক্রম অগ্রগতি পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন সভা মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সিসিডিবি কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়। পিএফজির এ্যাম্বসেডর মোঃ আসাদ আলীর সভাপতিত্বে ও এ্যাম্বসেডর আব্দুল আলিম শেখের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর এমআইপিএস প্রকল্পের এরিয়া কোঅর্ডিনেটর এস এম শফিকুর রহমান।

সভায় জানানো হয়, নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেব মোহনপুর পিএফজির দ্বন্দ্ব নিরশনে কাজ করছে।

সভায় বক্তারা বলেন, পিএফজি উদার অসম্প্রাদায়িক, বহুত্ববাদী সহনশীল, মুক্ত, মানবিক সমাজ ও রাষ্ট্র নির্মাণের লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিকাশ, সহিংসতা নিরসন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলরে সহাবস্থান নিশ্চিতকরণ ও ইতিবাচক রাজনৈতিক সংস্কৃতি সমাজ বিনির্মান এবং সম্মিলিত উদ্যোগে সামাজিক সমস্যা নিরসন বিশেষ করে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগত সহিংসতা নিরসন এবং স্থানীয় পর্যায়ে শান্তি-সম্প্রীতি ও সহাবস্থান নিশ্চিতকরণে কাজ করে যাচ্ছে।
আলোচনা শেষে আব্দুল আলিম শেখকে কোঅর্ডিনেটর ও মোঃ আসাদ আলী, মোঃ ইলিয়াস হোসেন,মোছাঃ বানেছা বেগম এবং মোছাঃ সিমা খাতুন কে এম্বাসিডর করে মোহনপুর পিএফজি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পুনর্গঠন করা হয়েছে।

পরিকল্পনা সভায় বক্তব্য রাখেন,দি হাঙ্গার প্রজেক্টের রাজশাহী অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মোঃ মিজানুর রহমান, এম আই পি এস প্রকল্পের ফিল্ড কর্ডিনেটর মোঃ হেলাল উদ্দিন। আগামী তিন মাসের পরিকল্পনা করে সভাপতিির সমাপনের বক্তব্যর মধ্য দিয়ে ফলোআপ সভা শেষ হয়েছে।

বগুড়ায় পরকীয়ার টানে কোলের সন্তানকে রেখে স্বামীকে তালাক দিলেন স্ত্রী

 

এম.টি.আই স্বপন মাহমুদ, বগুড়া:
বগুড়ার ধুনটের চিকাশী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের জোড়শিমুল গ্রামে নগদ টাকা পয়সা,সোর্নালংকার ও ঘরের আসবাবপত্র সহ দামি কাপড়চোপড় নিয়ে উধাও হওয়ার পর স্বামীকে তালাক দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় বেশ চানচল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, জোড়শিমুল গ্রামের আশাদুল ইসলাম এর মেয়ে মোছাঃ ইতি আক্তার(২৮) কে বিয়ে করে একই গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে আব্দুস সালাম(৩০)। কিন্তু গত ইউপি নির্বাচনে ৩নং ওয়ার্ডের জোড়শিমুল গ্রামের মোঃ সেলিম রেজা (৩৫)। ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে একই গ্রামের আব্দুস সালাম স্ত্রী মোছাঃ ইতি আক্তার এর উপর কু- নজর পরে। এরপর তার সাথে বিভিন্ন সময়ে অন্তরংঙ্গ মুহূর্তের ছবি তুলে এলাকায় আলোচনায় আসেন।

এ ব্যাপারে ইতি আক্তার এর সাথে কথা হলে আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, আব্দুস সালামকে তালাক দিয়েছি এঘটনা সত্য। তবে ইউপি সদস্য সেলিম রেজা আমাকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করছি সে আমাকে ২য় বিয়ে করে ঘরে তুলবেন।

এ ব্যাপারে আব্দুস সালাম বলেন, ১৪ বছর আগে আমি ইতি আক্তার কে বিয়ে করেছিলাম। আমাদের ঘরে একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। তার নাম মোছাঃ সুমাইয়া আক্তার(৯)। বিয়ের প্রথম থেকে অভাব অনটনের কারণে বিয়ের ৩ বছর পর পরিবার পরিজনদের শশুর বাড়ীতে রেখে কাজের সন্ধানে পারি জমাই ঢাকায়। এ সুযোগে সে ইউপি সদস্য সেলিম রেজার সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। সে যে আমাকে তালাক দিবে এ কথা কোনো সময় ভাবিনি।

ইউপি সদস্য সেলিম রেজার সাথে যোগাযোগ করা হলে সেলিম রেজাকে পাওয়া যায়নি। তবে চিকাশী ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জুয়েল বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর সেলিম রেজা কে ঢেকে পাঠিয়েছিলাম। সে ইতি আক্তার কে বিয়ে করতে রাজি হয়েছেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম