ফের যুক্তরাষ্ট্রে বিধ্বস্ত যাত্রীবাহী বিমান, সবাই নিহত

স্টাফ রিপোর্টার: যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে উড়োজাহাজটির চালক এবং সেখানে থাকা ৯ জন যাত্রীর সবাই নিহত হয়েছেন।

এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি ব্ল্যাকহক চপার হেলিকপ্টারের সঙ্গে মুখোমুখী সংঘর্ষে টুকরো টুকরো হয়ে পোটোম্যাক নদীতে ডুবে গিয়েছিল একটি যাত্রীবাহী বাণিজ্যিক বিমান। এ ঘটনায় ওই বিমানের চালক এবং ৬৮ জন যাত্রীর সবাই নিহত হয়েছিলেন।

আলাস্কার পুলিশের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটি ছিল মার্কিন বিমান পরিষেবা সংস্থা বেরিং এয়ারের একটি সেসনা ক্যাটাগরির বিমান। এ ক্যাটাগরির বিমানগুলো ছোটো আকারের হয়।

বেরিং এয়ারের অপারেশন্স বিভাগের পরিচালক ডেভিড ওলসেন মার্কিন সংবাদামাধ্যম ডেভিড ওলসেন মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসিকে জানান, ৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর ২ টা ৩৭ মিনিটে আলাস্কার পশ্চিমাঞ্চলে উনালাকলিট থেকে নরটন সাউন্ড এলাকার উদ্দেশে রওয়না হয়েছিল উড়োজাহাজটি। উনালাকলিট থেকে নরটন সাউন্ডের দূরত্ব ১৪০ মাইল। যাত্রা শুরুর ৪৫ মিনিটের মধ্যেই উড়োজাহাজটি থেকে রাডারে সংকেত পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়।

মার্কিন কোস্টগার্ড আলাস্কা অঙ্গরাজ্য শাখার মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কমোডর বেঞ্জামিন ম্যাকলিনটায়ার-কোবল এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “রাডরের রেকর্ড বলছে, সর্বশেষ বিকেল ৩ টা ১৮ মিনিটে সংকেত এসেছিল বিমানটি থেকে। আমরা ধারণা করছি, বিমানটির ইঞ্জিনে এমন কোনো গুরুতর ত্রুটি ঘটেছিল, যার ফলে এটি বাতাসে ভেসে থাকার ক্ষমতা এবং ওড়ার গতি হারিয়ে ফেলেছিল।”

বেঞ্জামিন ম্যাকলিটায়ার কোবল সাংবাদিকদের জানান, আলাস্কার নোম এলাকা থেকে ৩৪ মাইল দক্ষিণপূর্বে মিলেছে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ। সেই ধ্বংসাবশেষ থেকে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। উড়োজাহাজটি যে অবস্থায় রয়েছে, তাতে বাকি ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

শুক্রবার এ ঘটনায় শোক জানিয়ে বার্তা দিয়েছেন আলাস্কার গভর্নর মাইক ডুনালিভি। শোকবার্তায় তিনি বলেন, “আমি এবং আমার স্ত্রী রোজ ডুনালেভি— আমরা বেরিং এয়ার ফ্লাইট বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় মর্মাহত। নিহত যাত্রীরা, বিমানচালক এবং তাদের স্বজনদের জন্য প্রার্থনা করছি।”

সূত্র : এনবিসি

 

শীতে কাবু ভারত, ফ্লাইট বাতিল

স্টাফ রিপোর্টারঃ

পর পর দুই দিন কুয়াশার দাপটে বিপর্যস্ত দিল্লিসহ গোটা উত্তর ভারত। বিমান পরিষেবাতেও ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। কুয়াশার কারণে কোনও কোনও বিমানবন্দরে দৃশ্যমানতা শূন্যে নেমে যাওয়ায় বিমান ওঠানামায় দেরি হচ্ছে। আবার পরিস্থিতি এমন পর্যায়েও পৌঁছেছে যে, বেশ কিছু বিমানের পথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

দিল্লি বিমানবন্দরে শনিবারও পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, শনিবার সকালে কুয়াশার কারণে ৩৮টি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। ১৭০টি প্লেনের ওঠানামায় দেরি হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ১৫টি বিমানের পথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবারেও কুয়াশার কারণে দিল্লি বিমানবন্দরে দুইশোটিরও বেশি বিমান ওঠানামায় দেরি হয়েছিল। ফলে ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। যদিও দিল্লি বিমানবন্দর এবং সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থাগুলির তরফে যাত্রীদের বার বার সতর্ক করা হচ্ছে।

শুধু দিল্লিই নয়, শ্রীনগর, চণ্ডীগড়, আগরা, লখনউ, অমৃতসর, হিন্দন এবং গোয়ালিয়র বিমানবন্দরেও দৃশ্যমানতা শূন্যে নেমে যাওয়ায় বিমান পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী বেশ কয়েক দিন উত্তর ভারত জুড়ে ঘন কুয়াশার দাপট থাকবে। বিশেষ করে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায়। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নামবে তাপমাত্রাও। ফলে দু’দিন ধরেই কুয়াশার দাপটে বিপর্যস্ত উত্তর ভারতের বিমান এবং ট্রেন পরিষেবা।

দিল্লিগামী ৫০টি দূরপাল্লার ট্রেন দেরিতে চলছে। তার মধ্যে রয়েছে নয়াদিল্লি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ট্রেনটি চার ঘণ্টা দেরিতে চলছে। ১৪ ঘণ্টা দেরিতে চলছে বারাণসী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ভারতের আবহাওয়া ভবন জানিয়েছে, আগামী ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত কুয়াশার দাপট চলবে দিল্লিতে। বৃষ্টি হতে পারে ৬ জানুয়ারি।

 

সবা:স:জু- ৬৪০/২৫

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম