হোয়াটসঅ্যাপে সাইবার হামলা, ২৪ দেশে সতর্কতা জারি

অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যক্তিগত ও পেশাগত যোগাযোগের জন্য বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ অ্যাপটি ব্যবহার করেন। সম্প্রতি জনপ্রিয় এই অ্যাপে সাইবার আক্রমণ এবং বিপজ্জনক সাইবার গুপ্তচরবৃত্তি চিহ্নিত করা হয়েছে। কমপক্ষে ২৪টি দেশের ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে এই আক্রমণ করা হয়েছে বলে মনে করছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা।

হোয়াটসঅ্যাপে সাইবার আক্রমণ ইসরায়েলের স্পাইওয়্যারের

ইসরায়েলের নজরদারি সংস্থা প্যারাগন সলিউশনের সাথে যুক্ত একটি স্পাইওয়্যার সম্প্রতি সাংবাদিক, কর্মী এবং নাগরিক সমাজের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে ব্যবহার করা হয়েছে। এই আক্রমণে জিরো-ক্লিক হ্যাকিং কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে। যার অর্থ হল ব্যবহারকারীর ডিভাইসে কোনো পদক্ষেপ ছাড়াই হ্যাক করা যেতে পারে। এই ধরণের হ্যাকিং অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে বিবেচিত করা হয়। কারণ এটি নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বাইপাস করে আক্রমণ চালায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হোয়াটসঅ্যাপের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে তৈরি স্পাইওয়্যারটি শনাক্ত করা হয়েছে এবং ইতালির জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা সংস্থাকে সতর্ক করেছে। ইতালির ব্যবহারকারীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।

যারা এই হ্যাকিংয়ের শিকার
লুকা ক্যাসারিনি এই হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছেন। তিনি একজন অভিবাসী উদ্ধারকর্মী এবং মেডিটেরেনিয়া সেভিং হিউম্যানসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়াও ফ্রান্সেস্কো ক্যান্সেলাটো নামে একজন সুপরিচিত অনুসন্ধানী সাংবাদিক হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে লুকা ক্যাসারিনি একটি হোয়াটসঅ্যাপ সতর্কতাও শেয়ার করেছেন, যেখানে তাকে সতর্ক করা হয়েছে, তার ডিভাইস হ্যাক করা হয়েছে।

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেক্টরের ফোরম্যান জামালের প্রতারণার শেষ কোথায়

স্টাফ রিপোর্টারঃ

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেক্টরের ফোরম্যান আওয়ামী লীগের দোষর জামাল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেক্টরে নানা প্রকার দুর্নীতি করেও রয়েছেন স্বপদে বহাল।
সরে জমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোরম্যান জামাল হোসেন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ভিসিকে ম্যানেজ করে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেক্টরের ফোরম্যানের পদটি বাগিয়ে নিয়েছিলেন।
তার পর থেকে এই দুর্নীতিবাজ জামাল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেক্টরকে নিজের বাপ দাদার প্রত্তিক সম্পদ মনে করে নিজের মন মতো পরিবহন সেক্টর কে পরিচালনা করে আসছেন।
ফোরম্যান জামাল হোসেন এর ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে আরো জানতে পাড়া যায় তিনি নিজের নামটি ভালো ভাবে সহি করতে না পারলেও ৮ ম শ্রেণী পাশ সার্টিভিকিট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেক্টরের ফোরম্যানের পদটি বাগিয়ে নিয়েছিলেন একেবারে অবৈধ নিয়োগের মাধ্যমে।
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি(২০১৫-২০১৯) ড. অহিদুজ্জামান আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তিনি কোন প্রকার নিয়োম নীতির তোয়াক্কা না করেই সম্পূর্ণ অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে তরিঘরি করে ফোরম্যান হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন জামাল হোসেনকে।
তার পর থেকে জামাল হোসেন পরিবহন সেক্টরে সকল প্রকার অনিয়ম পরিচালনা করে আসছেন।
এই অবৈধ নিয়োগ প্রাপ্ত ফোরম্যান জামাল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেক্টরের প্রতিটা বিআরটিসি পরিবহন খাত থেকে গাড়ি প্রতি মাসিক ২০ হাজার টাকা মাসোহারা গ্রহণ করতেন। বিআরটিসি পরিবহন সেক্টরের ম্যানেজার সে টাকার হিসাব পুজানোর জন্য অতিরিক্ত মেন্টেনেস খরচ দেখাতেন বলে একটি বিশ্বস্থ সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন গুলো থেকে প্রতিটি গাড়ি প্রতি মাসিক বাড়তি ১০ হাজার টাকা করে উৎকোচ গ্রহণ করে আসছেন এই অসৎ ফোরম্যান জামাল হোসেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন থেকে প্রতিনিয়তো তৈল- মবিল চুরি, পরিবহনে যন্ত্রনাংশ না লাগিয়ে তা বাহিরে বিক্রি সহ নিজের দ্বায়িত্ব পালনে এমন কোন অভিযোগ নেই যে তার বিরুদ্ধে নেই।
সাম্প্রতি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়লে ফোরম্যান জামাল হোসেনকে বারংবার এম্বুলেন্স এর জন্য শিক্ষার্থীরা ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করে বন্ধ করে থুয়েছিলো তার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সে অসুস্থ শিক্ষার্থী পথিমধ্যে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু বরণ করেন।

এ বিষয়ে পরিবহন সেক্টরের দ্বায়িত্বে থাকা আহ্বায়ক ড.কাওসার আহম্মেদ বলেন আগে জামাল পরিবহন সেক্টরে কি করেছে তা আমার জানা নেই, যন্ত্রনাংশ ক্রয়ে আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেক্টরে আহব্বায়ক প্যানালে আছি এবং জামাল সহ সকলে নিয়ে তার পরে যন্ত্রনাংশ কেনা হয়, অন্য কেউ দুর্নীতি করতে পারে আমার এখানে দুর্নীতি করার সুযোগ নেই।
জামালের নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন জামাল হোসেনের নিয়োগ হয়েছে আওয়ামী লীগের আমলে, যদি সে নিরক্ষর হয়ে থাকে তা হলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একটি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে একটি নিরক্ষর ব্যক্তিকে ফোরম্যান পোস্টে বসানো কতোটা দ্বায়িত্ব অবহেলার কাজ, এমনটাই আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় জুরে…….চলবে,

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম