টাকা দিলেই হুবহু নকল পদক পাবেন, বাটপার আর কে রিপন এর প্রতারণার গল্প

স্টাফ রিপোর্টার:

সমাজে সৎ ও সম্মানিত মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন অত্যন্ত জরুরি। আমরা যারা প্রকৃত সম্মান প্রাপ্ত, তাদের অবমূল্যায়ন করে কোনো সমাজের উন্নতি সম্ভব নয়। দুঃখজনক হলেও, বর্তমানে কিছু অসৎ ব্যক্তি এই সুযোগ দান করে নকল পদক বা পুরস্কার বিক্রি করছেন, যা আসল সম্মানের মর্যাদাকে হেয় করে। কোন কাজ ছাড়াই ২/৩ হাজার টাকার বিনিময়ে এই পদক পাওয়া সম্ভব। সেরকমই একজন পদক বিক্রেতা আর কে রিপন। তার বিরুদ্ধে শুধু পদক বাণিজ্যের অভিযোগই নয়, বরং নকল পদক দেয়ার অভিযোগও রয়েছে। এছাড়াও আর কে রিপন দেহ ব্যবসা, মাদক বাণিজ্য, মানব পাচারের মতো ঘৃণিত কাজের সাথে জড়িত বলে জানা যায়।

আর কে রিপন এর জন্ম বরগুনা জেলায়। তিনি মো: হারুন মোল্লা ও সেলিনা বেগম এর সন্তান। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় তার কোন মনযোগ ছিল বলে এলাকাবাসী জানান। মারামারি ও ভয়ংকর সব কিশোর অপরাধে যুক্ত থাকায় পড়াশোনায় বেশিদূর এগোতে পারে নেই সে। তারপর গ্রামে টিকতে না পেরে চলে আসে ঢাকা শহরে। প্রতারণাকেই জীবিকার পেশা হিসেবে বেঁছে নেন তিনি। বড় বড় সংগঠনের সাথে নামের ২/১ টি শব্দের পরিবর্তন করে তৈরি করে নিজের মনগড়া হাজারো প্রতিষ্ঠান। সরকারি অনুমোদন তো দূরের কথা, তার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স পর্যন্ত নেই। জনপ্রিয় সংগঠনের সাথে নিজের মনগড়া সংগঠনের নামের মিল রেখে দাওয়াত দেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গদের। ব্যস্ততার এই দুনিয়ায়, সেসব লোকেরাও কোনকিছু যাচাই-বাছাই ছাড়াই উপস্থিত হয়ে যায় সেসব অনুষ্ঠানে। আর তাতেই জমে উঠে এই প্রতারনার ব্যবসা। ১০০ টি এওয়ার্ড বিক্রি করলোই লাভ হয় ২/৩ লাখ টাকা। সংবাদপত্রগুলোকে ঘোলা জল খাইয়ে যাচ্ছে এই আর কে রিপন। প্রধান অতিথির চেহেরা বিক্রি করে নিয়ে নেন মিডিয়া কভারেজ।

পুলিশ-প্রশাসন ও আমাদের অনুসন্ধান দল একযোগে কাজ করছে ভুয়া, প্রতারক আর কে রিপন বিরুদ্ধে প্রমান খোঁজার। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু অভিযোগের সত্যতার প্রমান প্রশাসন ও আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। একজন আর কে রিপন কে ধরতে পারলেই বাকি সব প্রতারক অনায়াসে শায়েস্তা হয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করি আমরা।

সমাজ বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের বাদপার আয়োজকদের জন্য দিনকে দিন কমে যাচ্ছে এওয়ার্ড এর মান। টাকার বিনিময়ে এরা যাকে তাকে সমাজসেবক বানিয়ে দিচ্ছে। সরকার শক্তহাতে এদের দমন না করলে অদূর ভবিষ্যতে সম্মানিত ব্যক্তিরা পেছনের সারিতে পড়ে যাবে আর সমাজে অন্ধকার ছড়িয়ে পড়বে।

এই ধরনের প্রতারণা শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতি নয়, বরং এটি সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। মানুষের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়ে যায়, এবং প্রকৃত মানুষের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়। আমাদের উচিত সচেতন হওয়া এবং এই ধরনের প্রতারণা প্রতিরোধে একসাথে কাজ করা, যেন সম্মান ও সঠিকতা বজায় থাকে। সমাজের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে, এবং আমরা এই প্রতারণার বিরুদ্ধে একসাথে লড়াই করব। প্রতারকের চক্রান্ত আমাদের সমাজকে কলুষিত করতে পারে না। আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, যে এমন অসৎ কর্মকাণ্ডের মুখোমুখি হলে আমরা তা উদঘাটন করব এবং প্রতিকার করব। এই প্রতারকের বিরুদ্ধে আরও তদন্ত চলছে, এবং আমরা নিশ্চিত যে, সত্যের জয় হবেই। আসুন, আমরা সকলে মিলে একটি ন্যায়পরায়ণ সমাজ গড়ে তুলি, যেখানে প্রতারক ও অসৎ ব্যক্তির স্থান নেই।

চলবে…..

মুজিবনগর হাসপাতাল দুর্নীতিবাজ জামাত শিবির নেতা জোহার হাতে বন্দী

 

নিজেস্ব প্ততিবেদক:
মেহেরপুর জেলার শালিকা গ্রামের জামাত-শিবির নেতা দুর্নীতিবাজ এসএম জোহার হাতে মুজিবনগর হাসপাতাল বন্দি। বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঐতিহাসিক মুজিবনগর হাসপাতালকে ব্যবহার করে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ টাকা লোপাট করছে দুর্নীতির মাধ্যমে। হাসপাতালের সমস্ত টেন্ডার জোহা নিয়ন্ত্রণ করে প্রতিবছর এবং বাজার দরের চেয়ে বেশি মুল্যে ক্রয় দরপত্রে। দুর্নীতিবাজ জোহার নিজের নামে ভুয়া একটা ট্রেড লাইসেন্স আছে। নেই ড্রাগ লাইসেন্স, আমদানি রপ্তানি লাইসেন্সও নেই এবং ব্যাংকে কোম্পানির একাউন্টে যে পরিমাণ স্থিতি থাকা দরকার দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী সেটাও ছিলোনা তারপরও তার কোম্পানি জোহা এন্টারপ্রাইজ কিভাবে টেন্ডার বরাদ্দ পায় বিগত দুই ২০২১- ২০২২ ও ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে । ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের এমএস আর সামগ্রী দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ৬ অক্টোবর২০২৩ ভোরের কাগজে। দরপত্র ক্রয়ের শেষ তারিখ ছিল ২২ অক্টোবর ও দরপত্র দাখিলের তারিখ ছিল ২৩ অক্টোবর২০২৩ এবং একইদিন দরপত্র খোলার সময় ছিল ১২.৩০ মিনিটে। এমএসআর সামগ্রী যেমন ( ক ) মেডিসিন (খ) যন্ত্রপাতি (গ) কেমিক্যাল রি- এজেন্ট (ঘ ) আসবাবপত্র ও কিচেন সামগ্রী (ঙ) লিলেন সামগ্রী (চ) গজ,ব্যান্ডেজ ও তুলা। যাহার ব্যাংক পে অর্ডার ছিল ক- ৫০০০০/-,খ-৩০০০০/-, গ- ১০০০০/-, ঘ- ১০০০০/-, ঙ- ২০০০০/-, চ- ২০০০০ টাকা, প্রতিবারের মত এবারও সিডিউল জমা সম্পন্ন হয়েছে তবে জনমনে বা এলাকাবাসী মনে করছে আাবারও দুর্নীতিবাজ জোহা মুজিবনগর হাসপাতালের বরাদ্দপত্র বা ওর্য়াক অর্ডার পাবে। এখানে পরিষ্কার জানা যাচ্ছে একই ব্যক্তি বারবার এক এক কোম্পানিকে ব্যবহার করে টেন্ডারের বরাদ্দ নিয়ে নিচ্ছে।
মুজিবনগর হাসপাতালে প্রতি বছর এমএসআর সামগ্রী টেন্ডারের টাকা দুর্নীতিবাজ জামাত শিবির নেতা এম এস জোহা দেদারসে গিলে খাচ্ছে হাসপাতালের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আসাদুজ্জামানের যোগসাজশে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন দেখার কেউ নেই নিম্নমানের ওষুধ এবং হাসপাতালে নিম্নমানের ব্যবহার্য সমস্ত এমএস আর সামগ্রী দিয়ে গিলে খাচ্ছে সমস্ত অর্থ।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে অবৈধভাবে হাসপাতাল কর্মকর্তা ও কতিপায় দালালের মাধ্যমে প্রতি বছর টেন্ডারের বিপুল পরিমাণ টাকা লুটপাট করছে। একদিকে হাসপাতাল যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অন্যদিকে নিম্নমানের ঔষধ এবং সার্জিকাল যন্ত্রপাত দিয়ে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর নিকট জানতে চাইলে তারা বলেন এই জোহা একজন জামাত-শিবির কর্মী তার পরিবারের সবাই জামাত শিবিরের সাথে জড়িত বিধায় এই দুর্নীতিবাজ জোহার নিকট থেকে মুজিবনগর হাসপাতালকে মুক্তি চায় আমরা এলাকা বাসী।

নিম্নমান ঔষধ ও সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে প্রতি বছর জোহা। রোগীদের কাছে ভয়ংকরুপি মানুষ হিসেবে ধারণ করেছে এই দুর্নীতিবাজ জামাত শিবির নতা জোহা থেকে হাসপাতাল মুক্ত না করলে হাসপাতাল আরো ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিধায় যথায টেন্ডারের সঠিক যাচাই-বাছাই পূর্বক সঠিক কোম্পানিকে কাজ দিয়ে হাসপাতাল থেকে দুর্নীতিবাজ মুক্ত করাজরুরি বলে মনে করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আসাদুজ্জামানকে বার বার কল দিযেও তার মন্তব্য পাওযা যায়নি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম