দুর্নীতিতে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : জনপ্রশাসন সচিব

স্টাফ রিপোর্টার: যেসব কর্মকর্তার দুর্নীতিতে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেছ উর রহমান।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিনিয়র সচিব এ কথা জানান।

গত কয়েকদিন ধরে আওয়ামী লীগের আমলের বিতর্কিত তিনটি নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ডিসিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই মধ্যে ৬৫ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া এবং ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছে।

সিনিয়র সচিব বলেন, যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগুলো নেওয়া হয়েছে, যেমন- ওএসডি হয়েছে, বাধ্যতামূলক অবসর হয়েছে। আর এটা বলা হয়েছে, তারা এমন ঘৃণ্য অর্থ সংক্রান্ত অপরাধ করেছেন, আমাদের কলিগদের সম্পর্কে অনেক কথা বাজারে আছে। চার কোটি, পাঁচ কোটি, ৩০ কোটি এমন আছে। আমরা বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে এবং আমাদের নিজস্ব ব্যবস্থার মাধ্যমে যদি দেখি সত্যি সত্যি ঘটনা আছে, শুধু সেই কেসগুলো আমরা দুদকে পাঠাবো।

তিনি বলেন, যাদের নামে অপপ্রচার কিংবা কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত না, এ রকম কিছুই করেনি; সাময়িক ওএসডি হয়েছেন, তারা স্বাভাবিক জীবনযাপন করবেন, এটা কোনো সমস্যা নয়। এখানে সরকার বায়াসড না, সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে কাজটা করবে। যেন একজনও নিরীহ কর্মকর্তা কোনো সাজা বা অসম্মানিত না হন।

মোখলেস উর রহমান আরও বলেন, ২০২৪ সালের ভোটের দায়িত্ব পালনকারীদের তথ্য আমরা গোয়েন্দা সংস্থার কাছে পাঠিয়েছি, সেগুলো আসলে আমরা বিবেচনা করবো। আপনারা জানেন চারজন উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি কমিটি আছে। সেই কমিটিতে এগুলো বিশ্লেষণ হবে। বায়াসড কিংবা কোনো কিছুর বশবর্তী হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হবে না। সব সিদ্ধান্ত হবে নিয়মনীতির মাধ্যমে।

 

দুই স্ত্রীর তথ্য লুকিয়ে চিকিৎসককে বিয়ের অভিযোগ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে

স্টাফ রিপোর্টার:

দুই স্ত্রীর তথ্য লুকিয়ে এক চিকিৎসককে বিয়ের অভিযোগ উঠেছে মো. আহসান হাবীব নামে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। এমনকি তৃতীয় স্ত্রী ও সন্তানকে স্বীকৃতি দেননি বলেও অভিযোগ করেন ওই চিকিৎসক। শুধু এখা‌নেই শেষ না, এই প্রকৌশলীর বিরু‌দ্ধে র‌য়ে‌ছে নানান অ‌ভি‌যোগ। অপরা‌ধের কার‌নে এক বছর তি‌নি চাক‌রি থে‌কেও স্থ‌গিত ছি‌লেন। বর্তমা‌নে তি‌নি নোয়াখা‌লি‌তে কর্মরত র‌য়ে‌ছেন।

এ ঘটনায় গত ১০ আগস্ট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন ওই চিকিৎসক।

দুই নং ছ‌বির নি‌চে লি‌খে দি‌তেন ২য় স্ত্রীর সা‌থে

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে ওই প্রকৌশলীর মা চিকিৎসার জন্য পাবনা মেডিকেলে ভর্তি হলে সেখানকার এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। সেই পরিচয়ের সূত্রেই যোগাযোগ থেকে দুজনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে ওই চিকিৎসককে বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। এ সময় তিনি আগে একটি বিয়ে ও সেই স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন জানিয়ে তালাকের দুটি নোটিশ দেখান। ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি কাজী অফিসে তাদের বিয়ে হয়। ২০২২ সালের ২৭ জুন তাদের একটি কন্যাসন্তান হয়। তবে এরমধ্যেই ওই প্রকৌশলীর সন্দেহজনক আচরণ নজরে আসে ওই চিকিৎসকের। এরমধ্যেই তিনি মাঝেমধ্যেই বাসার বাইরে থাকতে শুরু করলে ওই চিকিৎসক জানতে পারেন আহসান হাবীব তার আরেক স্ত্রীর সঙ্গে থাকছেন। তখনই তিনি জানতে পারেন তার আগেও দুই স্ত্রী রয়েছে। এরমধ্যে একজনের সঙ্গে তালাক হলেও আরেকজনের সঙ্গে তিনি নিয়মিত বসবাস করছেন।

বিষয়টি নিয়ে ২০২১ সালের ৭ জুলাই ওই প্রকৌশলীর বাড়ি গেলে তিনি নির্যাতনের শিকার হন। পরবর্তীতে তিনি প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। সে সময় ওই নারী চিকিৎসক গর্ভধারণ করলে তাকে গর্ভপাতের জন্য চাপ দিতে থাকে। এমনকি বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখতেও চাপ দেয়। এছাড়াও ওই চিকিৎসকের কাছ থেকে তিনি ৫০ লাখ টাকাও হাতিয়ে নেন। এরপর থেকেই তিনি তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি আদালতে মামলা করেন।

গত ২ আগস্ট অজ্ঞাত দুই সন্ত্রাসী ওই চিকিৎসকের বাড়ি গিয়ে তাকে উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এর জেরে ভুক্তভোগী চিকিৎসক প্রধান প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগী চিকিৎসক বলেন, ’আমি আমার ও আমার সন্তানের স্বীকৃতি চাই। তার প্রতারণার বিচার চাই।’

অভিযোগের বিষয়ে প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব এর সাথে বার বার মুঠোফোনে ও ম্যাসেজে যোগাযোগ করার পরেও তিনি কোন জবাব দেননি।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ব‌লেন, আমি ঘটনা‌টি শু‌নে‌ছি এবং এক‌টি লি‌খিত অ‌ভি‌যোগও পে‌য়ে‌ছি। আদাল‌তে মামলা চলমান র‌য়ে‌ছে, সে‌ক্ষে‌ত্রে আমা‌দের কিছু করার থা‌কে না।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম