ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি হার্টের ক্ষতি করে

স্টাফ রিপোর্টার: ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি হলে তা আমাদের হৃদপিণ্ডকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে। এই গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান আমাদের হৃদপিণ্ডকে সুস্থ ও শক্তিশালী রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর অভাবে হার্টে কী সমস্যা হতে পারে চলুন জেনে নেওয়া যাক-

হৃৎপিণ্ডের ছন্দ ব্যাহত করে

আমাদের হৃদপিণ্ড ধ্রুবক ছন্দ বজায় রাখার জন্য যে বৈদ্যুতিক সংকেত ব্যবহার করে তার জন্য ম্যাগনেসিয়াম অপরিহার্য। ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা কমে গেলে এই বৈদ্যুতিক সংকেত ব্যাহত হয়, যার ফলে অ্যারিথমিয়া বা অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন দেখা দেয়। এর অভাবে অপ্রত্যাশিত হৃদস্পন্দন বা ঝাঁকুনি হতে পারে এবং আরও গুরুতর পরিস্থিতিতে মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ

ম্যাগনেসিয়াম আমাদের রক্তনালীকে স্বাভাবিকভাবেই শিথিল করে, যা এগুলোকে প্রসারিত করতে সাহায্য করে এবং রক্ত ​​প্রবাহ সহজ করে। পর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে আমাদের রক্তনালীগুলো সংকুচিত হয়ে যায়, যা রক্তচাপ বাড়ায়। এর ফলে আমাদের হৃৎপিণ্ড তীব্র চাপ অনুভব করতে পারে, যে কারণে তাকে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। দীর্ঘস্থায়ী উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের অন্যতম প্রধান কারণ এবং ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি আপনাকে সেই ঝুঁকির দিকে ঠেলে দেয়।

হৃৎপিণ্ডের পাম্প করার ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়

আমাদের হৃৎপিণ্ড একটি পেশী এবং সমস্ত পেশীর মতো দক্ষতার সাথে তার দায়িত্ব পালনের জন্য ম্যাগনেসিয়ামের প্রয়োজন। পর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে, হৃৎপিণ্ডের পেশী টিস্যু দুর্বল হয়ে যেতে পারে। ধীরে ধীরে এই দুর্বলতা কার্ডিওমায়োপ্যাথি নামক অবস্থার দিকে নিয়ে যেতে পারে, যেখানে হৃৎপিণ্ড রক্ত ​​পাম্প করার ক্ষেত্রে কম কার্যকর হয়ে পড়ে। এর ফলে আপনি ক্লান্ত, শ্বাসকষ্ট এবং হার্ট ফেইলিওরের ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।

রক্ত জমাট বাঁধা

রক্ত জমাট বাঁধা ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতির প্রভাব সবচেয়ে লুকানো ঝুঁকিগুলোর মধ্যে একটি। ম্যাগনেসিয়াম সুস্থ রক্ত ​​প্রবাহ বজায় রাখতে এবং অপ্রয়োজনীয় জমাট বাঁধা এড়াতে সাহায্য করে। ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা কমে গেলে তা রক্ত ​​জমাট বাঁধার ঝুঁকি বাড়াতে পারে, যা আমাদের হৃদপিণ্ডে রক্ত ​​সরবরাহকারী ধমনীগুলোকে ব্লক করে দিতে পারে।

ঘরে থাকা এই মসলা দূর করবে যত রোগ

ঘরে থাকা এই মসলা দূর করবে যত রোগ

ডেস্ক রিপোর্ট:
কম বেশি সবার ঘরেই থাকে ছোট্ট মসলা এলাচ। ঔষধীগুণে ভরা এই মসলা আবার অনেকেই মুখশুদ্ধি হিসাবেও খান। অনেকেই আছেন এলাচ পছন্দ করেন, অনেকে আবার করেন না। তবে খালি পেটে একটি করে এলাচ শরীরের জন্য অনেক উপকারী।

শরীরের নানা রকম সমস্যার সমাধানের জন্য রান্না ছাড়াও নিয়মিত একটি করে এলাচ খাবেন অন্তত দশটি কারণে-
১. এলাচ পেটের সমস্যা ও অ্যাসিডিটি দূর করে। বিপাকতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে এবং হজমে সাহায্য করে। বুক জ্বালা, বমি বমি ভাব থেকে মুক্তি পেতে এলাচ মুখে দিলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
২. দেহের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে দিতে এলাচের জুড়ি নেই। যাদের ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করেছে, তারা নিয়মিত সকালে খালি পেটে এলাচ ভেজানো জল খেলে বলিরেখা কমে ত্বক টানটান হয়।
৩. মধু, লেবুর রস ও গরম জলের সঙ্গে একটা এলাচ মিশিয়ে দিয়ে পান করলে শ্বাসকষ্ট দূর হবে। যারা হুপিংকাশি ও ফুসফুস সংক্রমণের মতো সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য এলাচ খুবই উপকারী।
৪. এলাচ হাঁপানি ও হৃদরোগ নিরাময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখে ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়া এলাচ রক্তসঞ্চালনেও সহায়ক। প্রতিদিন এলাচ খেলে রক্তের ঘনত্ব সঠিক থাকে।
৫. মুখে খুব বেশি দুর্গন্ধ হয়? একটি এলাচ নিয়ে চিবাতে থাকুন। এলাচ মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করে। এছাড়াও মাড়ির ইনফেকশন, মুখের ফোঁড়াসহ দাঁত ও মাড়ির নানা সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
৭. গবেষণায় দেখা যায় নিয়মিত এলাচ খাওয়ার অভ্যাস ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এলাচ দেহে ক্যানসারের কোষ গঠনে বাঁধা প্রদান করে থাকে।
৮. অনেক সময় ভারী কোনও জিনিস তুলতে গেলেই পেশিতে টান ধরে। এ ক্ষেত্রে ছোট বা বড় এলাচ গরম জলে ফুটিয়ে খেলে তত্‍ক্ষণাত্‍ উপশম হয়।
৯. গরম জলে চা পাতা, এলাচ গুঁড়া ও মধু দিয়ে ফুটিয়ে তৈরি করে নিন এলাচ চা। মাথা ব্যথা করলে এক কাপ গরম এলাচ চা খেয়ে দেখুন। ব্যথা নিমেষেই দূর হবে। এ ছাড়াও এলাচ মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে।
১০. এলাচ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর। সর্দি-কাশির সমস্যাতেও এলাচ খেলে সুফল পাবেন।
বর্ষায় মাথায় একটু পানি পড়লেই জ্বর-সর্দি, সঙ্গে মাথা ব্যথা লেগে যায়। আর সুস্থ হতেও অনেক সময় লাগে। ওষুধ খেলেও অনেক সময় কমতে চায় না। তবে রান্নাঘরে থাকা মসলাই আপনার মাথা ব্যথা দূর করতে পারে।

কোন মসলা কিভাবে উপকার করবে, জেনে নিন—
রান্নাঘরের একটি মসলা হচ্ছে লবঙ্গ। খুবই ঝাঁজালো, ঘ্রাণময় ও উপাদেয় এই মসলাটি লবঙ্গ গাছের ফুলের কুড়িকে শুকিয়ে তৈরি করা হয়। এটি মূলত ইন্দোনেশিয়ার গাছ। ইন্দোনেশিয়ায় এ মসলাটি বেশি ব্যবহার করা হয়।তবে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে এ ঝাঁজালো মসলাটির বেশ প্রচলন রয়েছে। কারণ এর রয়েছে যথেষ্ট পুষ্টিগুণ।
বৃষ্টির জমা পানি পায়ে লেগেছে? শুধু ধুলেই হবে না, আরো যা করতে হবে
বৃষ্টির জমা পানি পায়ে লেগেছে? শুধু ধুলেই হবে না, আরো যা করতে হবে

ডায়াবেটিক রোগীদের শরীরে প্রয়োজনীয় ইনসুলিন তৈরি হয় না। লবঙ্গের রস শরীরের ভেতরে ইনসুলিন তৈরিতে সাহায্য করে।
রুচির পরিবর্তন ও ক্ষুধা বাড়াতে লবঙ্গ বেশ উপকারী। এর গুঁড়া মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।
গর্ভবতী নারীদের বমি বমি ভাব দূর করতে একটি লবঙ্গ খেয়ে নিতে পারেন। শুধু লবঙ্গ খেতে ভালো না লাগলে অল্প পরিমাণ গুড় মিশিয়ে নিতে পারেন। এ ছাড়া বমি বমি ভাব দূর করতেও গুঁড়া লবঙ্গের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
প্রচণ্ড মাথা ব্যথা কমাতে কয়েক ফোঁটা লবঙ্গ তেল একটি পরিষ্কার কাপড়ে নিয়ে কপালের ওপরে রাখুন। ১৫ মিনিটেই সেরে যাবে মাথা ব্যথা।
দাঁত ব্যথা কমাতে লবঙ্গ বেশ কার্যকরী। লবঙ্গ মুখের ভেতরের সকল রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। তাই টুথপেস্টেও লবঙ্গ ব্যবহার করা হয়।
আরো পড়ুন
পেটের বায়ু চেপে রাখলে হতে পারে যে বিপদ
পেটের বায়ু চেপে রাখলে হতে পারে যে বিপদ

ব্রণের সমস্যা দূর করতে লবঙ্গের গুঁড়ার সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে ব্রণের ওপরে দিয়ে রাখুন। এর ফলে ব্রণের দাগও দূর হয়ে যাবে।
লবঙ্গের তেল নিয়মিত ব্যবহারের ফলে চুল পড়া রোধ করা সম্ভব। এ ছাড়া চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করবে। লবঙ্গ তেলে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া নামক জীবাণু ধ্বংসের ক্ষমতা। লবঙ্গ চা সর্দি-কাশি ও গলার খুশ খুশে ভাব দূর করতে সাহায্য করে। তাই সর্দি-কাশি কমাতে চায়ের সঙ্গে দুইটি লবঙ্গ খেয়ে নিতে পারেন।
পেট ব্যথা ও কৃমি জাতীয় রোগ প্রতিরোধে লবঙ্গ বেশ কার্যকরী।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম