
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন:
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ৪৬ নং ওয়ার্ড উত্তরখান থানার অন্তর্গত মাস্টারপাড়া(শাই মসজিদ এলাকার) মোঃ সোহরাব হোসেন বাবলু স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী কৃষক লীগ নেতা ও তার সহযোগী আওয়ামী লীগ নেতা আদম আলী জমি বিক্রির নামে বিরুদ্ধে ৩৩ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ।
ভুক্তভোগী মোঃ রফিকুল ইসলাম (৩৭), পিতা- মৃত নুরুল আমিন,পঙ্গুরী, ঢাকা,সবুজ বাংলাদেশ কে বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর কৃষকলীগ নেতা সোহরাব হোসেন বাবুল একটি সাত তলা বাড়ি সহ ৪৯ শতাংশ জমি বন্দক রাখিয়া আইএফআইসি ব্যাংক উত্তরা শাখা থেকে হোম লোন ও পিওরি লোন গ্রহন করিয়াছেন।আর্থিক সমস্যার কারনে লোনের টাকা পরিশোধে অপারগ হওয়ায় বন্ধককৃত সম্পত্তির অংশ বিশেষ ১৩.২০ শতাংশ জমি বিক্রয় করিয়া পিতি লোন সম্পূর্ণ পরিশোধ করার ইচ্ছা পোষণ করিলে আমি মোঃ রফিকুল ইসলাম উত্ত ১৩.২০ শতাংশ জমি ক্রয় করিবার নিমিত্ত ২৮ /১১/ ২০২৪ ইং তারিখে ব্যাংকে বসিয়া ৩০০ টাকার নন- জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সোহরাব হোসেন বাবুলের সাথে বায়না চুক্তিতে আবদ্ধ হই।ব্যাংকের পরামর্শক্রমে আমরা উভয় পক্ষ নিজ নামে দুইটি নতুন হিসাব খুলি এবং সোহরাব হোসেন বাবুদের নামে তাহার নতুন হিসাবে সেটন স্টার লিমিটেড এর সিটি ব্যাংক পল্লবী শাখার ২২,০০,০০০/- (বাইশ লক্ষ) টাকা (যাহার চেক নং -৫৩৮৬২৬২,তারিখঃ ২৮/১১/২০১৪ ইং) এবং ৬,৫০,০০০/- (ছয় লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকার (যাহার চেক নং-৫৩৮৬২৬৩, তারিখঃ২৮/১১/২০২৪ ইং) দুইটি চেক প্রদান করি এবং নগদ ১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা প্রদান করি।পরবর্তীতে ১৪/০১/২০১৫ ইং তারিখে নগদ ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাল এবং ২১/০১/২০১৫ ইং তারিখে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা সহ সর্বমোট ৩৩,০০,০০০/- (তেত্রিশ লক্ষ) টাকা প্রদান করি। উক্ত জমি আমি
বায়না চুক্তিতে আবদ্ধ হয়ে ৩৬ জন শেয়ার হোল্ডারের সাথে শেয়ার বিজয়ের নিমিত্তে বায়না চুক্তিতে আবদ্ধ হই যাহা সোহরাব হোসেন বাবুল আগামী ০৫/০২/২০২৫ ইং তারিখের মধ্যে আমাদের মনোনীত ব্যাক্তিগন বরাবর রেজিষ্ট্রি দলিল সম্পাদন করিয়া দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত 05/02/2017 ইং তারিখে মোঃ সোহরাব হোসেন বাবুল জমি বিক্রয় করিবেন না বলে জানান। উনি রেজিস্ট্রি প্রদান না করে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আদম আলীর
যোগসাজসে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করছেন। আমাকে নারী নির্যাতন ও ধর্ষন মামলার হুমকি ও নানাবিধ ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। তিনি বলেন যে, আমি আপনাদের জমি দেবনা আপনারা যা পারেন করেন,সোহরাব হোসেন বাবুল ও তার সহযোগী আদম আলী দাঙ্গাবাজ, প্রতারক ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। এই সব কার্যক্রমে আমি আমার অপূরনীয় ক্ষতির আশংকা করছি। এছাড়াও ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম সবুজ বাংলাদেশ কে বলেন, আমি আমার জীবন ঝুকিপূর্ণ মনে করছি, তাই উত্তরখান থানায় প্রতারক সোহরাব হোসেন বাবুল বিরুদ্ধে গত ০৮/০২/২০২৫ ইং তারিখে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।